০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মা দিলেন কিডনি, বোন লিভার ডাবল অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে উত্তরাখন্ডের যুবককে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকরা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১১ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 9

Representative image

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ডাবল অর্গান ট্রান্সপ্ল্যাট করে উত্তরাখন্ডের এক ২২ বছর বয়সী রোগীকে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকরা।মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই এক বিরল জেনেটিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই তরুণ। যার একমাত্র  সমাধান ছিল কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপন করা। ওই তরুণের ২৭ বছর বয়সি বোন দিয়েছেন লিভার এবং ৪৬ বছর বয়সি মা দান করেছেন কিডনি।

চিকিৎসকরা বলেন  হাইপারক্সিলুরিয়া টাইপ ১ নামক এই অবস্থাটি একটি জিনের ত্রুটি।  যেখানে এজিএক্স-টি  জিনের একটি মিউটেশন করে। যার ফলে  লিভারের এনজাইম তৈরির ক্ষমতা হ্রাস পায়।  এই জিনটি  শরীরে অনুপস্থিত হলে বিপাকীয় হার ক্রমশ কমতে থাকে। ফলত লিভার তার বিপাকীয় কাজের হার ক্রমশ কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে কিডনিতে দেখা যায় পাথর। অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট, হাড়, রক্তনালী ইত্যাদিতে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল জমার ফলে সেগুলিও ক্রমশ কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এর একমাত্র বিকল্প হচ্ছে অঙ্গ প্রতিস্থাপন।   গত ৬ জুন ওই তরুণকে দিল্লিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কিডনি ক্রমশ কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছিল। চিকিৎসকরা শুরু করেন হোমো ডায়ালিসিস।  হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নেফ্রোলজি এবং মাল্টি-অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান  ডাঃ কৈলাশ নাথ সিং-এর  পরামর্শের ভিত্তিতে, একটি অবিলম্বে কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপনের  সুপারিশ করা হয়।

ডা সন্দীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বে এবং নীরভ গোয়েলের তত্বাবধানে দীর্ঘ ১৬ ঘ্ন্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২১ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই তরুণ। আপাতত তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। ওই তরুণের শরীর গ্রহণ করেছে নতুন অঙ্গ দুটি। ( ২৩৩)

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মা দিলেন কিডনি, বোন লিভার ডাবল অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে উত্তরাখন্ডের যুবককে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকরা

আপডেট : ১১ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ডাবল অর্গান ট্রান্সপ্ল্যাট করে উত্তরাখন্ডের এক ২২ বছর বয়সী রোগীকে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকরা।মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই এক বিরল জেনেটিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই তরুণ। যার একমাত্র  সমাধান ছিল কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপন করা। ওই তরুণের ২৭ বছর বয়সি বোন দিয়েছেন লিভার এবং ৪৬ বছর বয়সি মা দান করেছেন কিডনি।

চিকিৎসকরা বলেন  হাইপারক্সিলুরিয়া টাইপ ১ নামক এই অবস্থাটি একটি জিনের ত্রুটি।  যেখানে এজিএক্স-টি  জিনের একটি মিউটেশন করে। যার ফলে  লিভারের এনজাইম তৈরির ক্ষমতা হ্রাস পায়।  এই জিনটি  শরীরে অনুপস্থিত হলে বিপাকীয় হার ক্রমশ কমতে থাকে। ফলত লিভার তার বিপাকীয় কাজের হার ক্রমশ কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে কিডনিতে দেখা যায় পাথর। অন্যান্য অঙ্গ যেমন হার্ট, হাড়, রক্তনালী ইত্যাদিতে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল জমার ফলে সেগুলিও ক্রমশ কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে। এর একমাত্র বিকল্প হচ্ছে অঙ্গ প্রতিস্থাপন।   গত ৬ জুন ওই তরুণকে দিল্লিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কিডনি ক্রমশ কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছিল। চিকিৎসকরা শুরু করেন হোমো ডায়ালিসিস।  হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নেফ্রোলজি এবং মাল্টি-অর্গান ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের প্রধান  ডাঃ কৈলাশ নাথ সিং-এর  পরামর্শের ভিত্তিতে, একটি অবিলম্বে কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপনের  সুপারিশ করা হয়।

ডা সন্দীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বে এবং নীরভ গোয়েলের তত্বাবধানে দীর্ঘ ১৬ ঘ্ন্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। প্রায় ২১ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই তরুণ। আপাতত তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। ওই তরুণের শরীর গ্রহণ করেছে নতুন অঙ্গ দুটি। ( ২৩৩)