পথচারীদের বাঁচাতে এসে বুনো হাতির তাড়া খেলো বনকর্মীরা

- আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
- / 6
শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: মঙ্গলবার দুপুরে ডুয়ার্সের মরাঘাট জঙ্গলের বনপথ ধরে লাল রঙের স্কুটি চালিয়ে গয়েরকাটা থেকে নাথুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন শান্তনু দাস নামে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী।স্কুটি নিয়ে আমবা ব্রিজের কাছে যেতেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে একটি মস্ত বড়ো দাঁতাল হাতি। আচমকাই বুনো দাঁতালের মুখোমুখি হয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খান তিনি। এরপর কোনক্রমে স্কুটি থামিয়ে লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমে স্কুটি ফেলে পেছন দিকে পালিয়ে যান তিনি। দেখতে পান দাঁতাল হাতির পেছনে ছানাপোনা নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক হাতির দল।
ইতিমধ্যেই হাতির দলের উগ্র রুপ দেখতে পেয়ে রাস্তার দু-পাশে প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে পরে। এরপর খবর দেওয়া হয় মোরাঘাট রেঞ্জ অফিসে।খবর পেয়ে বন কর্মীরাও একটি স্কুটি নিয়ে হাতি তাড়াতে আসে। তাদের দিকেও বুনো দাতাল তেরে আসে। বনকর্মীরাও তাদের স্কুটি ছেড়ে দৌড়ে পালায়।এরপর হাতির দলটিকে জঙ্গলে পাঠাবার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করতে থাকেন বন কর্মীরা। কিন্তু দাঁতাল হাতিটি কিছুতেই রাস্তা ছাড়েনি।প্রায় ৪০ মিনিট পর একে একে সব হাতি গুলি জঙ্গলে ডুকে গেলে তারপর দাঁতাল হাতিটিও জঙ্গলে চলে যায়।
স্কুটি চালক শান্তনু দাস বলেন কাজের জন্য আপন মনে স্কুটি চালিয়ে নাথুয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই জঙ্গল থেকে রাস্তার ওপর উঠে আসে বিশাল দাতাল। কোন ক্রমে স্কুটি ফেলে পালিয়ে বেঁচেছি। এমনকি বনকর্মীদের দিকেও তেড়ে আসে জঙ্গলি হাতিটি। হাতির পেছনে তার দল অপেক্ষা করছিল। মনে হচ্ছে দলটিকে পার করার জন্যই সে পাহারায় দাঁড়িয়েছিল। ভগবান কে অশেষ ধন্যবাদ আজকের এই যাত্রায় বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য।
তবে এদিন বনকর্মীদের তৎপরতার জন্য কোন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। হাতির দলটি জঙ্গলে প্রবেশ করে গেলে ফের একবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ওই রাস্তায়।মোরাঘাট রেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে এটি একটি হাতির করিডর। দিনে রাতে সবসময় এখান দিয়ে হাতির দল আপন মনে যাতায়াত করে থাকে।