০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষের সেবায় নিয়োজিত ২০ প্রকল্পকে স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 9

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  কেন্দ্রের কাছে সরব হয়েছেন।

এ বার সার্বিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে জেলাগুলি থেকে সমন্বয় পোর্টালে পাঠানো সফল প্রকল্পগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের নিরিখে রাজ্য আরও ২০টি প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। অন্যান্য জেলায় ওই মডেলগুলিকে রেপলিকেট করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

বাঁকুড়ার ‘অপারেশন পুষ্টি কর্মসূচি’  রয়েছে এই তালিকার অন্যতম। গঙ্গাজলঘাঁটিতে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে ১ হাজার ৬২৭ জন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বড় অংশকেই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানে এখন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৫-এ। কলকাতার লিভার ফাউন্ডেশন একাজে সহযোগিতা করেছে। এই প্রকল্পের প্রজেক্টের নোডাল অফিসার ছিলেন অরিত্র খান।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা ২ নম্বর ব্লকে বেরাবেরি গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ইউরোপের বাজের রফতানি করে নজির গড়েছে আরও একটি প্রকল্প। এক হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।

আলিপুরদুায়ারে কালচিনি ব্লকে বক্সা পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় চিকিৎসার জন্য ‘পাল্কি অ্যাম্বুল্যান্স’ চালু করার প্রকল্পও স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরিষেবা সর্বক্ষণ চালু থাকে। বিশেষ করে ওই এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে এনে প্রসব করার কাজে উৎসাহিত করতেই এই বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।

বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহার উদ্যোগে ‘আনন্দপাঠ’ সাফল্যের শিরোনামে উঠে এসেছে। জেলার পিছিয়ে পড়া এলাকায় মহামারি পরবর্তীকালে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভুলে যাওয়া পঠন-পাঠনের অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই আনন্দপাঠ প্রকল্প বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।

হুগলির ‘উত্তরন’  প্রকল্প বেকারদের কর্মসংস্থানে আরও সুস্থায়ী উন্নয়নের নজির গড়েছে। জেলার আরামবাগ মহকুমা শাসকের উদ্যোগে পাঁচটি কর্মশালা করে ৭২৬ জন মহকুমার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখিয়েছে বলে প্রশাসনিক তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মানুষের সেবায় নিয়োজিত ২০ প্রকল্পকে স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  কেন্দ্রের কাছে সরব হয়েছেন।

এ বার সার্বিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে জেলাগুলি থেকে সমন্বয় পোর্টালে পাঠানো সফল প্রকল্পগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের নিরিখে রাজ্য আরও ২০টি প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। অন্যান্য জেলায় ওই মডেলগুলিকে রেপলিকেট করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

বাঁকুড়ার ‘অপারেশন পুষ্টি কর্মসূচি’  রয়েছে এই তালিকার অন্যতম। গঙ্গাজলঘাঁটিতে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে ১ হাজার ৬২৭ জন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বড় অংশকেই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানে এখন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৫-এ। কলকাতার লিভার ফাউন্ডেশন একাজে সহযোগিতা করেছে। এই প্রকল্পের প্রজেক্টের নোডাল অফিসার ছিলেন অরিত্র খান।

উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা ২ নম্বর ব্লকে বেরাবেরি গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ইউরোপের বাজের রফতানি করে নজির গড়েছে আরও একটি প্রকল্প। এক হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত।

আলিপুরদুায়ারে কালচিনি ব্লকে বক্সা পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় চিকিৎসার জন্য ‘পাল্কি অ্যাম্বুল্যান্স’ চালু করার প্রকল্পও স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরিষেবা সর্বক্ষণ চালু থাকে। বিশেষ করে ওই এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে এনে প্রসব করার কাজে উৎসাহিত করতেই এই বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।

বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহার উদ্যোগে ‘আনন্দপাঠ’ সাফল্যের শিরোনামে উঠে এসেছে। জেলার পিছিয়ে পড়া এলাকায় মহামারি পরবর্তীকালে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভুলে যাওয়া পঠন-পাঠনের অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই আনন্দপাঠ প্রকল্প বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।

হুগলির ‘উত্তরন’  প্রকল্প বেকারদের কর্মসংস্থানে আরও সুস্থায়ী উন্নয়নের নজির গড়েছে। জেলার আরামবাগ মহকুমা শাসকের উদ্যোগে পাঁচটি কর্মশালা করে ৭২৬ জন মহকুমার বেকার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের দিশা দেখিয়েছে বলে প্রশাসনিক তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।