০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যই নিয়োগ করুন রাজ্যপাল, না হলে বিলুপ্ত হোক এই পদ: প্রাক্তন বিচারপতি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 14

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : রাজ্যপালের নাম রাজ্যের সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হওয়া উচিত, তা না হলে এই পদ বিলুপ্ত করে দেওয়াই ভালো, বলে মন্তব্য করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে চন্দ্রু। প্রাক্তন বিচারপতি কে. চন্দ্রু রাজ্যপালের পদ নিয়ে জোর সওয়াল করে বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে অস্থির করার জন্য এই পদগুলি কেন্দ্রের পাঠানো ‘ট্রোজান হর্স’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

শুক্রবার ‘সংবিধানের অধীনে মৈত্রীতন্ত্র, গভর্নরদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার উদ্বোধনের পর এই কথা বলেন প্রাক্তন বিচারপতি কে চন্দ্রু। এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবম অবসর গ্রহণের পরপরই গভর্নর পদ গ্রহণ করে সাংবিধানিক নৈতিকতার একটি নিম্ন মাপকাঠি স্থাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রাক্তন বিচারপতি।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রু রাজ্যপাল প্রসঙ্গে সওয়াল করে বলেন, নিন্দিত রাজনীতিবিদেরা রাজনীতির জন্য অযোগ্য ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের এখন গভর্নরের পদে বসাচ্ছেন। রাজ্যপাল পদ প্রসঙ্গে জোর সওয়াল করে প্রাক্তন বিচারপতি কে. চন্দ্রু বলেন, এই বিশেষ পদটির জন্য এবার রাজ্য সরকারের দ্বারা রাজ্যপালের নাম মনোনীত করা উচিত, না হলে এই পদ বিলুপ্ত হওয়াই ভালো।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিযোগ করেছেন যে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সুন্দররাজন নির্বাচিত সরকারগুলিকে অস্থিতিশীল করার জন্য অমিত শাহ হাতে বেছে নিয়েছিলেন।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে সোচ্চার হয়ে প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্য, কংগ্রেস রাজ্যপালের পদটি অপব্যবহার করেছে, আর বিজেপি সেই অপব্যবহারের বিষয়টিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিজেপির নিযুক্ত রাজ্যপালরা তাদের রাজনৈতিক এজেন্টের মতো কাজ করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যই নিয়োগ করুন রাজ্যপাল, না হলে বিলুপ্ত হোক এই পদ: প্রাক্তন বিচারপতি

আপডেট : ১ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : রাজ্যপালের নাম রাজ্যের সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হওয়া উচিত, তা না হলে এই পদ বিলুপ্ত করে দেওয়াই ভালো, বলে মন্তব্য করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে চন্দ্রু। প্রাক্তন বিচারপতি কে. চন্দ্রু রাজ্যপালের পদ নিয়ে জোর সওয়াল করে বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে অস্থির করার জন্য এই পদগুলি কেন্দ্রের পাঠানো ‘ট্রোজান হর্স’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

শুক্রবার ‘সংবিধানের অধীনে মৈত্রীতন্ত্র, গভর্নরদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার উদ্বোধনের পর এই কথা বলেন প্রাক্তন বিচারপতি কে চন্দ্রু। এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবম অবসর গ্রহণের পরপরই গভর্নর পদ গ্রহণ করে সাংবিধানিক নৈতিকতার একটি নিম্ন মাপকাঠি স্থাপন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রাক্তন বিচারপতি।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রু রাজ্যপাল প্রসঙ্গে সওয়াল করে বলেন, নিন্দিত রাজনীতিবিদেরা রাজনীতির জন্য অযোগ্য ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদের এখন গভর্নরের পদে বসাচ্ছেন। রাজ্যপাল পদ প্রসঙ্গে জোর সওয়াল করে প্রাক্তন বিচারপতি কে. চন্দ্রু বলেন, এই বিশেষ পদটির জন্য এবার রাজ্য সরকারের দ্বারা রাজ্যপালের নাম মনোনীত করা উচিত, না হলে এই পদ বিলুপ্ত হওয়াই ভালো।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিযোগ করেছেন যে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তামিলিসাই সুন্দররাজন নির্বাচিত সরকারগুলিকে অস্থিতিশীল করার জন্য অমিত শাহ হাতে বেছে নিয়েছিলেন।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে সোচ্চার হয়ে প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্য, কংগ্রেস রাজ্যপালের পদটি অপব্যবহার করেছে, আর বিজেপি সেই অপব্যবহারের বিষয়টিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিজেপির নিযুক্ত রাজ্যপালরা তাদের রাজনৈতিক এজেন্টের মতো কাজ করছেন।