০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুকন্যার বিরল রোগের চিকিৎসায় ১৬ কোটি টাকার ওষুধ প্রদান করল সুইস কোম্পানি নোভার্টিস

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 25

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : এসএমএ-১ বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি-১ একটি বিরল জিন গত সমস্যা। এই বিরল জেনেটিক রোগ বিশ্বব্যাপী ১০,হাজার শিশুর মধ্যে প্রায় ১ জনকে প্রভাবিত করে। এই রোগটি শিশুর স্নায়ু এবং পেশীতে থাবা বসায়। আক্রান্ত শিশুর জন্য বসা, মাথা তোলা, দুধ গিলে ফেলা, শ্বাস নেওয়ার মতো স্বাভাবিক কাজগুলি সম্পাদন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

হায়দরাবাদের ভদ্রাদ্রি কোঠাগুদেম জেলার রেগুবাল্লি গ্রামের বাসিন্দা রায়পুরী প্রবীণ ও স্টেলার ২৩ মাসের কন্যা অ্যালেন এই বিরল রোগে আক্রান্ত।  রবিবার হায়দরাবাদের রেইনবো চিলড্রেনস হাসপাতালে তাকে জোলজেনসমা জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এই চিকিৎসার জন্য একটি ইনজেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা। তবে এবার অ্যালেনের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সুইৎজারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি নোভার্টিস। ২৩ মাসের শিশুকে বাঁচাতে ১৬ কোটি টাকার ওষুধ প্রদান করল এই সুইস ফার্মা কোম্পানি।

আরও পড়ুন: ব্রণর হাতে থেকে রেহাই পেতে খান এই ৩ খাবার

কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট, ডা. রমেশ কোনানকি জানিয়েছেন, এসএমএ-১ আক্রান্ত শিশুদের বয়স অনুযায়ী গ্রোথ, বা বিকাশ হয় না। আক্রান্ত অ্যালেন নড়াচড়া করতে পারে না। বিশেষ করে মাথা, ঘাড়, হাত-পা, খাবার গিলতে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। পেশিগুলি খুব দুর্বল হওয়ার কারণে ঘাড় সোজা করে বসতে পারে না।

আরও পড়ুন: বেহালায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে পাশে মুখ্যমন্ত্রী, জখম বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার

এসএমএ-১ প্রাণঘাতী হতে পারে, যদি না আক্রান্ত শিশুর দু’বছর বয়সেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই রোগের কোনও চিকিৎসা ছিল না। তবে নোভার্টিস একটি চিকিৎসা নিয়ে এসেছে,যা ত্রুটিপূর্ণ জিন প্রতিস্থাপণ করতে সহায়তা করবে। হাসপাতালে এটি চতুর্থ কেস।

আরও পড়ুন: সুজয় ভদ্রের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ বিচারপতি ঘোষের

প্রবীণ একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। প্রবীণ এবং তার স্ত্রী স্টেলা তাদের সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অর্থ সংগ্রহের জন্য লড়াই করছিলেন। সেই সময় এই দম্পতি তাদের ২৩ মাসের কন্যার জন্য নোভার্টিস পরিচালিত অ্যাক্সেস প্রোগ্রামে নাম নথিভুক্ত করেন। তার তাদের নাম বেছে নেয় কোম্পানি। তার পরেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নোভার্টিস।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শিশুকন্যার বিরল রোগের চিকিৎসায় ১৬ কোটি টাকার ওষুধ প্রদান করল সুইস কোম্পানি নোভার্টিস

আপডেট : ১০ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : এসএমএ-১ বা স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি-১ একটি বিরল জিন গত সমস্যা। এই বিরল জেনেটিক রোগ বিশ্বব্যাপী ১০,হাজার শিশুর মধ্যে প্রায় ১ জনকে প্রভাবিত করে। এই রোগটি শিশুর স্নায়ু এবং পেশীতে থাবা বসায়। আক্রান্ত শিশুর জন্য বসা, মাথা তোলা, দুধ গিলে ফেলা, শ্বাস নেওয়ার মতো স্বাভাবিক কাজগুলি সম্পাদন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।

হায়দরাবাদের ভদ্রাদ্রি কোঠাগুদেম জেলার রেগুবাল্লি গ্রামের বাসিন্দা রায়পুরী প্রবীণ ও স্টেলার ২৩ মাসের কন্যা অ্যালেন এই বিরল রোগে আক্রান্ত।  রবিবার হায়দরাবাদের রেইনবো চিলড্রেনস হাসপাতালে তাকে জোলজেনসমা জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। এই চিকিৎসার জন্য একটি ইনজেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা। তবে এবার অ্যালেনের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সুইৎজারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি নোভার্টিস। ২৩ মাসের শিশুকে বাঁচাতে ১৬ কোটি টাকার ওষুধ প্রদান করল এই সুইস ফার্মা কোম্পানি।

আরও পড়ুন: ব্রণর হাতে থেকে রেহাই পেতে খান এই ৩ খাবার

কনসালটেন্ট পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট, ডা. রমেশ কোনানকি জানিয়েছেন, এসএমএ-১ আক্রান্ত শিশুদের বয়স অনুযায়ী গ্রোথ, বা বিকাশ হয় না। আক্রান্ত অ্যালেন নড়াচড়া করতে পারে না। বিশেষ করে মাথা, ঘাড়, হাত-পা, খাবার গিলতে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। পেশিগুলি খুব দুর্বল হওয়ার কারণে ঘাড় সোজা করে বসতে পারে না।

আরও পড়ুন: বেহালায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে পাশে মুখ্যমন্ত্রী, জখম বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল রাজ্য সরকার

এসএমএ-১ প্রাণঘাতী হতে পারে, যদি না আক্রান্ত শিশুর দু’বছর বয়সেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই রোগের কোনও চিকিৎসা ছিল না। তবে নোভার্টিস একটি চিকিৎসা নিয়ে এসেছে,যা ত্রুটিপূর্ণ জিন প্রতিস্থাপণ করতে সহায়তা করবে। হাসপাতালে এটি চতুর্থ কেস।

আরও পড়ুন: সুজয় ভদ্রের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ বিচারপতি ঘোষের

প্রবীণ একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ। প্রবীণ এবং তার স্ত্রী স্টেলা তাদের সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অর্থ সংগ্রহের জন্য লড়াই করছিলেন। সেই সময় এই দম্পতি তাদের ২৩ মাসের কন্যার জন্য নোভার্টিস পরিচালিত অ্যাক্সেস প্রোগ্রামে নাম নথিভুক্ত করেন। তার তাদের নাম বেছে নেয় কোম্পানি। তার পরেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নোভার্টিস।