০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ায় আসন না জিতলেও খালি হাতে ফিরল না তৃণমূল কংগ্রেস

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 9

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগেই সৈকত রাজ্য গোয়ায় পা রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রথমবার লড়তে নেমে তেমন চমকপ্রদ ফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তাতে হতাশ হতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার কারণ প্রথমবার ভোটে লড়তে নেমে পাঁচ শতাংশের উপরে ভোট জমা পড়েছে দলের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, বেনিলোম সহ বেশ কয়েকটি আসনে যথেষ্টই লড়াই দিয়েছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা।

গোয়ায় সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা এক নেতার কথায়, ‘আগামী পাঁচ বছর যদি মাটি আঁকড়ে থাকা যায়, তাহলে পরের ভোটে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠবে দল।’ তবে দলের অন্দরেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর আচরণ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যেভাবে প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরে তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তা দলের বিপক্ষে গিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।

গত বছর বিপুল ভোটে নবান্ন দখলের পরেই ২০২৪ সালের লোকসভাকে পাখির চোখ করে ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। সৈকত রাজ্য গোয়াতেও সংগঠন খোলা হয়েছিল। প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে আঞ্চলিক দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছিলেন ঘাসফুলের নেতারা। কংগ্রেসের কাছেও জোট বার্তা পাঠানো হয়েছিল। যদিও তাতে সাড়া দেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সোনিয়া গান্ধি-রাহুল গান্ধিদের সিদ্ধান্তে কার্যত বিজেপিই রাজনৈতিক ফায়দা তুলেছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রথমবার ভোটে লড়তে নেমে পাঁচ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আলদোনা আসনে ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্দোলকর ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বেনালিউমে আপ প্রার্থীর কাছে হারলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিল। কোর্টালিম আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গিলবার্ট রডরিগস পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট। কামবারজুয়া আসনে ঘাসফুল প্রার্থী পেয়েছেন ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট। নাভেলিম আসনে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ানো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিলের কন্যা ভ্যালেঙ্কা আলেমাও পেয়েছেন ২২ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট।

তৃণমূলের এক নেতার কথায়, এবারের ভোটে আমাদের সবচেয়ে বড়প্রাপ্তি গোয়ার প্রতিটি ঘরে-ঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সৈকত রাজ্যের ভোটে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব রয়েছে। আমরা অর্থ ও পেশি শক্তিকে ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষের যে সমর্থন পেয়েছি, তা যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গোয়ায় আসন না জিতলেও খালি হাতে ফিরল না তৃণমূল কংগ্রেস

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগেই সৈকত রাজ্য গোয়ায় পা রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রথমবার লড়তে নেমে তেমন চমকপ্রদ ফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তাতে হতাশ হতে নারাজ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার কারণ প্রথমবার ভোটে লড়তে নেমে পাঁচ শতাংশের উপরে ভোট জমা পড়েছে দলের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, বেনিলোম সহ বেশ কয়েকটি আসনে যথেষ্টই লড়াই দিয়েছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা।

গোয়ায় সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা এক নেতার কথায়, ‘আগামী পাঁচ বছর যদি মাটি আঁকড়ে থাকা যায়, তাহলে পরের ভোটে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠবে দল।’ তবে দলের অন্দরেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর আচরণ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যেভাবে প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরে তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তা দলের বিপক্ষে গিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।

গত বছর বিপুল ভোটে নবান্ন দখলের পরেই ২০২৪ সালের লোকসভাকে পাখির চোখ করে ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। সৈকত রাজ্য গোয়াতেও সংগঠন খোলা হয়েছিল। প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে আঞ্চলিক দল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছিলেন ঘাসফুলের নেতারা। কংগ্রেসের কাছেও জোট বার্তা পাঠানো হয়েছিল। যদিও তাতে সাড়া দেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সোনিয়া গান্ধি-রাহুল গান্ধিদের সিদ্ধান্তে কার্যত বিজেপিই রাজনৈতিক ফায়দা তুলেছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রথমবার ভোটে লড়তে নেমে পাঁচ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। আলদোনা আসনে ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্দোলকর ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বেনালিউমে আপ প্রার্থীর কাছে হারলেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিল। কোর্টালিম আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গিলবার্ট রডরিগস পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট। কামবারজুয়া আসনে ঘাসফুল প্রার্থী পেয়েছেন ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোট। নাভেলিম আসনে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ানো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিলের কন্যা ভ্যালেঙ্কা আলেমাও পেয়েছেন ২২ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট।

তৃণমূলের এক নেতার কথায়, এবারের ভোটে আমাদের সবচেয়ে বড়প্রাপ্তি গোয়ার প্রতিটি ঘরে-ঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সৈকত রাজ্যের ভোটে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব রয়েছে। আমরা অর্থ ও পেশি শক্তিকে ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষের যে সমর্থন পেয়েছি, তা যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক।