ফিলিস্তিনে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করছে রাষ্ট্রসংঘ

- আপডেট : ৮ মে ২০২৩, সোমবার
- / 17
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তহবিল ঘাটতির কারণে ফিলিস্তিনে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। আগামী জুন মাস থেকেই কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত। ফিলিস্তিন অঞ্চলে কাজ করা ডব্লিউএফপির এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। চলমান সংঘাত ও ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজা এবং পশ্চিম তীরের দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে অর্থাভাবে সেখানে খাদ্য সহায়তা বন্ধা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এ সহযোগী সংস্থা। ফিলিস্তিনে ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি সামার আধেলজাবের বলেন, ‘তহবিলের তীব্র ঘাটতির জন্য আমরা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের সহায়তা সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে। এর ফলে ডব্লিউএফপি ২ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে সহায়তা করতে পারবে না, যা মোট সহায়তা পাওয়া লোকের ৬০ শতাংশ।’
ডব্লিউএফপির এ সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গাজার মানুষ। ফিলিস্তিনের মধ্যে অবরুদ্ধ এই শহরটিতে খাদ্যাভাব ও দারিদ্র্য সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থা দরিদ্র ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০.৩০ মার্কিন ডলার মূল্যের মাসিক ভাউচার এবং খাবারের প্যাকেট সহায়তা হিসেবে দিয়ে থাকে। তবে সহায়তা স্থগিতের এ সিদ্ধান্তের ফলে দুর্ভোগ বাড়বে গাজাবাসীর।
২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা শাসন করে আসছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ কারণে সেই সময় থেকেই ভূখণ্ডটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি এবং রাষ্ট্রসংঘের রেকর্ড অনুসারে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ২৩ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। গাজার বিপুল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বেকার এবং ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক সহায়তায় ওপর নির্ভরশীল।