২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরভূমের তিনটি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর 

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 49

দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বীরভূমের তিনটি প্রকল্পের (সেতু ও রাস্তা) ভার্চুয়াল উদ্বোধনে খুশির জোয়ার বীরভূম জেলাজুড়ে। মঙ্গলবার এইসব প্রকল্পের সূচনায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প’র স্থানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক থেকে প্রশাসনিক কর্তারা।

জানা গিয়েছে,  এইসব সেতু বীরভূম জেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সংযোগ স্থাপন করবে। স্বভাবতই বীরভূমবাসীর কাছে এটা বিরাট পাওনা। এদিন লাভপুরের কুঁয়ে নদীর উপর কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামাঙ্কিত লাঘাটা সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা, নানুরের বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহা প্রমুখ।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, লাঘাটা সেতু না থাকার কারণে মানুষের দুর্ভোগ ছিল ব্রিটিশ আমল থেকেই। এই সেতুর ফলে লাভপুর এলাকার ২১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। প্রায় পৌনে এক কিমি বিস্তৃত এই সেতু বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদকে যুক্ত করল।

আরও পড়ুন: জঙ্গি যেন আশ্রয় নিতে না পারে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রাথমিক পর্যায়ে চল্লিশ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় পঞ্চাশ কোটি অর্থ মূল্যে এই সেতু নির্মাণ হয়। স্থানীয় মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: জওয়ান ‘পুনম সাউকে ফিরিয়ে আনতেই হবে’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন বীরভূম জেলার বাহিনা মোড় থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার আন্দি (ভায়া কামরাঘাট ও হাজিপুর) পর্যন্ত ২২.৩৫ কিমি দীর্ঘ সড়কের প্রশস্তকরণ এবং দৃঢ়করণ প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ময়ুরেশ্বর বিধায়ক অভিজিৎ রায়, হাঁসনের বিধায়ক অশোক চ্যাটার্জি,  রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস প্রমুখ।

এছাড়াও জেলাবাসীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী একইভাবে উদ্বোধন করেন পানাগড়-ইলামবাজার ২২ কিমি রাস্তায় অজয় নদের ওপর ৫৮৬ মিটার দীর্ঘ ২ লেন বিশিষ্ট সেতু।

উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বীরভূমের তিনটি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর 

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার

দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বীরভূমের তিনটি প্রকল্পের (সেতু ও রাস্তা) ভার্চুয়াল উদ্বোধনে খুশির জোয়ার বীরভূম জেলাজুড়ে। মঙ্গলবার এইসব প্রকল্পের সূচনায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প’র স্থানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক থেকে প্রশাসনিক কর্তারা।

জানা গিয়েছে,  এইসব সেতু বীরভূম জেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সংযোগ স্থাপন করবে। স্বভাবতই বীরভূমবাসীর কাছে এটা বিরাট পাওনা। এদিন লাভপুরের কুঁয়ে নদীর উপর কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামাঙ্কিত লাঘাটা সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা, নানুরের বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহা প্রমুখ।

আরও পড়ুন: কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, লাঘাটা সেতু না থাকার কারণে মানুষের দুর্ভোগ ছিল ব্রিটিশ আমল থেকেই। এই সেতুর ফলে লাভপুর এলাকার ২১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। প্রায় পৌনে এক কিমি বিস্তৃত এই সেতু বীরভূম-বর্ধমান-মুর্শিদাবাদকে যুক্ত করল।

আরও পড়ুন: জঙ্গি যেন আশ্রয় নিতে না পারে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রাথমিক পর্যায়ে চল্লিশ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় পঞ্চাশ কোটি অর্থ মূল্যে এই সেতু নির্মাণ হয়। স্থানীয় মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: জওয়ান ‘পুনম সাউকে ফিরিয়ে আনতেই হবে’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন বীরভূম জেলার বাহিনা মোড় থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার আন্দি (ভায়া কামরাঘাট ও হাজিপুর) পর্যন্ত ২২.৩৫ কিমি দীর্ঘ সড়কের প্রশস্তকরণ এবং দৃঢ়করণ প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ময়ুরেশ্বর বিধায়ক অভিজিৎ রায়, হাঁসনের বিধায়ক অশোক চ্যাটার্জি,  রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস প্রমুখ।

এছাড়াও জেলাবাসীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী একইভাবে উদ্বোধন করেন পানাগড়-ইলামবাজার ২২ কিমি রাস্তায় অজয় নদের ওপর ৫৮৬ মিটার দীর্ঘ ২ লেন বিশিষ্ট সেতু।

উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী।