০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গবেষণাগারে জন্মাবে হাজার হাজার শিশু !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 53

বিশেষ প্রতিবেদন: বিশাল গবেষণাগারে পাশাপাশি রয়েছে হাজার হাজার কাচের গোলাকার যন্ত্র। এই আধুনিক যন্ত্রগুলির ভেতরেই তৈরি হচ্ছে মানবশিশু। এমন ভবিষ্যতের কথা শোনালেন ইয়েমেনের মলিকিউলার বায়োটেকনোলজিস্ট হাশেম আল-ঘাইলি। সম্প্রতি হাশেম অ্যানিমেশনে তৈরি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে এমন গবেষণাগার তৈরি করা খুব কঠিন নয়। ভিডিয়োটি ইতিধ্যেই অনলাইনে ভাইরাল। হাসেম তার কল্পনাপ্রসূত এই গবেষণাগারটির নাম রেখেছেন ‘এক্টোলাইফ’। এই গবেষণাগারে থাকবে মোট ৭৫টি কক্ষ।

 

আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্মানোর হার হু-হু করে কমছে, কারণটা কী?

প্রতিটি কক্ষে থাকবে ৪০০টি কৃত্রিম গর্ভ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গবেষণাগারে একইসঙ্গে ৩,০০০ শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। যে কাচের গোলকের মতো জিনিস ভিডিয়োতে দেখা গেছে, সেগুলোই হল কৃত্রিম গর্ভ বা গ্রোথপড। এই কৃত্রিম গর্ভের ভিতরে আইভিএফ পদ্ধতিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে তৈরি করা হবে ভ্রূণ। সেই ভ্রূণ বড় হয়ে উঠবে এরই ভিতরে। জন্মের আগে পর্যন্ত শিশুর রক্তচাপ থেকে হৃদ্‌স্পন্দন, সবই মাপা যাবে এই যন্ত্রে।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: ২৫ দিনে গাজায় ৫০০ শিশুকে খুন ইসরাইলের

বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ নারীর মৃত্যু হয় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে। বিভিন্ন জটিলতায় মৃত্যু হয় বহু নবজাতকেরও। নতুন এই পদ্ধতিতে সেই সমস্যা কাটবে। শুধু তাই নয়, নিজের সন্তানের মধ্যে বাবা-মা কোন কোন গুণ দেখতে চান তাও ঠিক করা যাবে শিশুর জন্মের আগেই। কৃত্রিমভাবে জিনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঠিক করা যাবে হবু সন্তানের গায়ের রং, উচ্চতা, শারীরিক গঠন, গলার স্বর কিংবা বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে অনেক জিনগত রোগও নির্মূল করা যাবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানী।

 

এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে যে দম্পতিরা সন্তান নিতে পারছেন না ও যেসব দেশ জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি হতে পারে এই ব্যবস্থা। কিন্তু আপাতত গোটা বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে কোনও কল্পবিজ্ঞানের ছবির অংশ। বাস্তবে কি আদৌ এমনটা সম্ভব?  বিষয়টি এখনও আইনসিদ্ধও নয়। প্রকৃতিকে এড়িয়ে মানবদেহে জিনগত বদল আনা বিবর্তনের পথে ঝুঁকির কাজ হতে পারে বলেও মত অনেকের। কোনও মানুষকে জন্মের আগেই একটি গবেষণার বস্তু করে তোলা নিয়েও আপত্তি রয়েছে নানা মহলে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গবেষণাগারে জন্মাবে হাজার হাজার শিশু !

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: বিশাল গবেষণাগারে পাশাপাশি রয়েছে হাজার হাজার কাচের গোলাকার যন্ত্র। এই আধুনিক যন্ত্রগুলির ভেতরেই তৈরি হচ্ছে মানবশিশু। এমন ভবিষ্যতের কথা শোনালেন ইয়েমেনের মলিকিউলার বায়োটেকনোলজিস্ট হাশেম আল-ঘাইলি। সম্প্রতি হাশেম অ্যানিমেশনে তৈরি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছেন, ভবিষ্যতে এমন গবেষণাগার তৈরি করা খুব কঠিন নয়। ভিডিয়োটি ইতিধ্যেই অনলাইনে ভাইরাল। হাসেম তার কল্পনাপ্রসূত এই গবেষণাগারটির নাম রেখেছেন ‘এক্টোলাইফ’। এই গবেষণাগারে থাকবে মোট ৭৫টি কক্ষ।

 

আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্মানোর হার হু-হু করে কমছে, কারণটা কী?

প্রতিটি কক্ষে থাকবে ৪০০টি কৃত্রিম গর্ভ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গবেষণাগারে একইসঙ্গে ৩,০০০ শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। যে কাচের গোলকের মতো জিনিস ভিডিয়োতে দেখা গেছে, সেগুলোই হল কৃত্রিম গর্ভ বা গ্রোথপড। এই কৃত্রিম গর্ভের ভিতরে আইভিএফ পদ্ধতিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে তৈরি করা হবে ভ্রূণ। সেই ভ্রূণ বড় হয়ে উঠবে এরই ভিতরে। জন্মের আগে পর্যন্ত শিশুর রক্তচাপ থেকে হৃদ্‌স্পন্দন, সবই মাপা যাবে এই যন্ত্রে।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: ২৫ দিনে গাজায় ৫০০ শিশুকে খুন ইসরাইলের

বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ নারীর মৃত্যু হয় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে। বিভিন্ন জটিলতায় মৃত্যু হয় বহু নবজাতকেরও। নতুন এই পদ্ধতিতে সেই সমস্যা কাটবে। শুধু তাই নয়, নিজের সন্তানের মধ্যে বাবা-মা কোন কোন গুণ দেখতে চান তাও ঠিক করা যাবে শিশুর জন্মের আগেই। কৃত্রিমভাবে জিনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঠিক করা যাবে হবু সন্তানের গায়ের রং, উচ্চতা, শারীরিক গঠন, গলার স্বর কিংবা বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে অনেক জিনগত রোগও নির্মূল করা যাবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানী।

 

এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে যে দম্পতিরা সন্তান নিতে পারছেন না ও যেসব দেশ জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি হতে পারে এই ব্যবস্থা। কিন্তু আপাতত গোটা বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে কোনও কল্পবিজ্ঞানের ছবির অংশ। বাস্তবে কি আদৌ এমনটা সম্ভব?  বিষয়টি এখনও আইনসিদ্ধও নয়। প্রকৃতিকে এড়িয়ে মানবদেহে জিনগত বদল আনা বিবর্তনের পথে ঝুঁকির কাজ হতে পারে বলেও মত অনেকের। কোনও মানুষকে জন্মের আগেই একটি গবেষণার বস্তু করে তোলা নিয়েও আপত্তি রয়েছে নানা মহলে।