০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুণেতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ মলের ছাদ, ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু ৭ জন শ্রমিকের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
  • / 138

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুণেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ মলের ছাদ। ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু ৭ জন শ্রমিকের। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। আহত বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে সরব সমাজকর্মী পাতিল

বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুণের ইয়ারবদা শাস্ত্রীনগর এলাকায়। এখনও পাওয়ার খবর অনুযায়ী জানা গেছে, আহতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। বেশ কয়েকজনের ধবংস্তূপের তলায় আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য।

পুণে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি শপিং মল তৈরির কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার  রাতে তারই একতলায় দুর্ঘটনা হয়।

পুণের ডিসিপি রহিদাস পওয়ার জানিয়েছে, প্রথমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। সঙ্গে আরও পাঁচ জনের আহত হওয়ার খবর রয়েছে। পরে আরও এক জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

পুণের ট্র্যাফিক পুলিশ কমিশনার রাহুল শ্রীরাম জানান,  লোহা দিয়ে নির্মীয়মাণ বাড়ির ঢালাইয়ের কাজের প্রস্তুতি হচ্ছিল। রাতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়  ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই সময় ওখানে ১০ জন শ্রমিক সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন। হুড়মুড়িয়ে পড়ার শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে আসে। তারাই দমকল ও পুলিশে খবর দেয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক সুনীল টিংড়ে। স্থানীয় বিধায়ক জানান, ‘উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, এখানে ২৪ ঘন্টাই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়ে থাকে। শ্রমিকরা খুব ক্লান্ত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে আবাসন ভেঙে পড়ার শব্দ তারা শুনতে পায়নি। এখানে উপস্থিত শ্রমিকরা আমাকে জানিয়েছেন আহতরা বিহারের বাসিন্দা।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুন মাসে শহরের কোন্ধওয়া এলাকায় একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। দেওয়াল ধসে ১৫ জন শ্রমিক সহ তাদের চার শিশুসন্তান নিহত হয়।

২০১৭ সালে, পুণের দত্তওয়াড়ি এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ভবন ধসে তিন জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত হয় একজন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বালেওয়াড়ি এলাকায় নির্মীয়মাণ ভবনের স্ল্যাব ধসে তিন ৯ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। ২০১২ সালেও ওয়াঘোলিতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। নির্মীয়মাণ ভবনের স্ল্যাব ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ১৩ জন শ্রমিকের। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সহকার নগর এলাকায় একটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।বার বার নির্মীয়মাণ আবাসন ধসে পড়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুণেতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ মলের ছাদ, ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু ৭ জন শ্রমিকের

আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ পুণেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ মলের ছাদ। ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু ৭ জন শ্রমিকের। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। আহত বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে সরব সমাজকর্মী পাতিল

বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুণের ইয়ারবদা শাস্ত্রীনগর এলাকায়। এখনও পাওয়ার খবর অনুযায়ী জানা গেছে, আহতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। বেশ কয়েকজনের ধবংস্তূপের তলায় আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য।

পুণে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি শপিং মল তৈরির কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার  রাতে তারই একতলায় দুর্ঘটনা হয়।

পুণের ডিসিপি রহিদাস পওয়ার জানিয়েছে, প্রথমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। সঙ্গে আরও পাঁচ জনের আহত হওয়ার খবর রয়েছে। পরে আরও এক জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

পুণের ট্র্যাফিক পুলিশ কমিশনার রাহুল শ্রীরাম জানান,  লোহা দিয়ে নির্মীয়মাণ বাড়ির ঢালাইয়ের কাজের প্রস্তুতি হচ্ছিল। রাতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়  ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই সময় ওখানে ১০ জন শ্রমিক সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন। হুড়মুড়িয়ে পড়ার শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে আসে। তারাই দমকল ও পুলিশে খবর দেয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক সুনীল টিংড়ে। স্থানীয় বিধায়ক জানান, ‘উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, এখানে ২৪ ঘন্টাই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়ে থাকে। শ্রমিকরা খুব ক্লান্ত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে আবাসন ভেঙে পড়ার শব্দ তারা শুনতে পায়নি। এখানে উপস্থিত শ্রমিকরা আমাকে জানিয়েছেন আহতরা বিহারের বাসিন্দা।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুন মাসে শহরের কোন্ধওয়া এলাকায় একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। দেওয়াল ধসে ১৫ জন শ্রমিক সহ তাদের চার শিশুসন্তান নিহত হয়।

২০১৭ সালে, পুণের দত্তওয়াড়ি এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ভবন ধসে তিন জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত হয় একজন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বালেওয়াড়ি এলাকায় নির্মীয়মাণ ভবনের স্ল্যাব ধসে তিন ৯ জন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। ২০১২ সালেও ওয়াঘোলিতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। নির্মীয়মাণ ভবনের স্ল্যাব ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ১৩ জন শ্রমিকের। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সহকার নগর এলাকায় একটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।বার বার নির্মীয়মাণ আবাসন ধসে পড়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।