০৮ জুন ২০২৫, রবিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ও সম্ভাব্য প্রতিরোধ, ভারতে সন্ধান মিলল চতুর্থ আক্রান্তর

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার
  • / 25

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট চারজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাদের মধ্যে তিনজনই কেরলের বাসিন্দা, চতুর্থ জন দিল্লির।

আরও পড়ুন: কঙ্গোয় ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলনের কথা বলছে হু

স্বভাবতই বাড়ছে উদ্বেগ। গত শনিবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু মাঙ্কিপক্সকে গ্লোবাল পাবলিক হেল্থ এমার্জেন্সি` ঘোষণা করেছে। তারা তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্ব জুড়ে ৭৫টি দেশে ১৭ হাজার মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের নাম বদলে, ‘ট্রাম্প-২২’ রাখার প্রস্তাব

কি এই মাঙ্কিপক্স? কি ভাবে তা সংক্রমিত হয়

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত হতে পারে আক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পশুর থেকে। সংশ্লিষ্ট সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুর শরীর থেকে নির্গত জলজ তরল ( হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত পার্টিকেল), আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক ক্ষত, তার ব্যবহৃত ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে।

এর আগে বেশ কয়েকপ্রকার কাঠবিড়ালি, বানরদের মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছে।

WHO এর সতর্কবার্তা

হু বলছে মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক নয় এই মাঙ্কিপক্স।। গুরুতর অসুস্থতার কারন হয় না এই সংক্রমণ । ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সংক্রমণ শুরু থেকে উপসর্গ শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়কাল ৬ থেকে ১৩দিন। যাইহোক, এটি কখনও কখনও পাঁচ থেকে, একুশ দিনের মধ্যেও সর্বোচ্চ সংক্রমণ হতে পারে।

কি কি উপসর্গ

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত একজন একজন ব্যক্তির জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, মায়ালজিয়া (পেশীতে ব্যথা), তীব্র অ্যাথেনিয়া (দুর্বলতা ) এবং লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি বা লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া উপসর্গগুলি একেএকে সামনে আসে। এই লক্ষণগুলি পাঁচ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

সাধারণত জ্বর হওয়ার এক থেকে তিন দিন পরে ত্বকের ফুসকুড়ি জাতীয় প্রদাহ দেখা যায় । ফুসকুড়ি মুখ এবং শরীরের অংশে বেশি দেখা যায়। মাঙ্কিপক্সের ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে, ফুসকুড়ি মুখের উপর প্রভাব ফেলে এবং ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি হাতের তালু এবং পায়ের তলায় দেখা যায়।

ফুসকুড়ি ম্যাকুলস বা ক্ষত গুলি থেকে চ্যাপ্টা প্যাপিউলস বা সামান্য উঁচু শক্ত ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তারপরে এটি পরিষ্কার তরল সহ vesicles বা ক্ষতগুলি

পরবর্তীকালে হলুদ তরল দিয়ে ভরা পুস্টুলস বা জলভরা ক্ষতে পরিণত হয়। ফুসকুড়ি অবশেষে শুকিয়ে যায় এবং পড়ে যায়।

সংক্রমণ ঠেকাতে কি করা উচিৎ

রান্না করা মাংস এবং অন্যান্য প্রাণীজ পণ্য খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সংক্রামিত ব্যক্তির বিছানা ব্যবহার করবেন না যা ভাইরাসের বাহক হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ও সম্ভাব্য প্রতিরোধ, ভারতে সন্ধান মিলল চতুর্থ আক্রান্তর

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট চারজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাদের মধ্যে তিনজনই কেরলের বাসিন্দা, চতুর্থ জন দিল্লির।

আরও পড়ুন: কঙ্গোয় ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলনের কথা বলছে হু

স্বভাবতই বাড়ছে উদ্বেগ। গত শনিবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু মাঙ্কিপক্সকে গ্লোবাল পাবলিক হেল্থ এমার্জেন্সি` ঘোষণা করেছে। তারা তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন বিশ্ব জুড়ে ৭৫টি দেশে ১৭ হাজার মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের নাম বদলে, ‘ট্রাম্প-২২’ রাখার প্রস্তাব

কি এই মাঙ্কিপক্স? কি ভাবে তা সংক্রমিত হয়

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত হতে পারে আক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পশুর থেকে। সংশ্লিষ্ট সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুর শরীর থেকে নির্গত জলজ তরল ( হাঁচি-কাশি থেকে নির্গত পার্টিকেল), আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক ক্ষত, তার ব্যবহৃত ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে।

এর আগে বেশ কয়েকপ্রকার কাঠবিড়ালি, বানরদের মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছে।

WHO এর সতর্কবার্তা

হু বলছে মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের মতো সংক্রামক নয় এই মাঙ্কিপক্স।। গুরুতর অসুস্থতার কারন হয় না এই সংক্রমণ । ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সংক্রমণ শুরু থেকে উপসর্গ শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়কাল ৬ থেকে ১৩দিন। যাইহোক, এটি কখনও কখনও পাঁচ থেকে, একুশ দিনের মধ্যেও সর্বোচ্চ সংক্রমণ হতে পারে।

কি কি উপসর্গ

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত একজন একজন ব্যক্তির জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, মায়ালজিয়া (পেশীতে ব্যথা), তীব্র অ্যাথেনিয়া (দুর্বলতা ) এবং লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি বা লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া উপসর্গগুলি একেএকে সামনে আসে। এই লক্ষণগুলি পাঁচ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

সাধারণত জ্বর হওয়ার এক থেকে তিন দিন পরে ত্বকের ফুসকুড়ি জাতীয় প্রদাহ দেখা যায় । ফুসকুড়ি মুখ এবং শরীরের অংশে বেশি দেখা যায়। মাঙ্কিপক্সের ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে, ফুসকুড়ি মুখের উপর প্রভাব ফেলে এবং ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি হাতের তালু এবং পায়ের তলায় দেখা যায়।

ফুসকুড়ি ম্যাকুলস বা ক্ষত গুলি থেকে চ্যাপ্টা প্যাপিউলস বা সামান্য উঁচু শক্ত ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। তারপরে এটি পরিষ্কার তরল সহ vesicles বা ক্ষতগুলি

পরবর্তীকালে হলুদ তরল দিয়ে ভরা পুস্টুলস বা জলভরা ক্ষতে পরিণত হয়। ফুসকুড়ি অবশেষে শুকিয়ে যায় এবং পড়ে যায়।

সংক্রমণ ঠেকাতে কি করা উচিৎ

রান্না করা মাংস এবং অন্যান্য প্রাণীজ পণ্য খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সংক্রামিত ব্যক্তির বিছানা ব্যবহার করবেন না যা ভাইরাসের বাহক হতে পারে।