২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদিয়ায় তৃণমূল নেতার পিছনে ধাওয়া করে খুন, কোচবিহারে কুপিয়ে হত্যা দুই নেতা সহ দম্পতির কন্যা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার
  • / 46

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তিন তৃণমূল নেতাকে খুনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। আজ সকালে নদিয়ার হাঁসখালি ও কোচবিহারের শীতলকুচিতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নদিয়ায় সাতসকালেই বাজারের চায়ের দোকানের সামনে গুলি করে খুন করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস (৪৫)।  রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বাজার করার জন্য কাছেই রামনগর বড় চুপড়িয়া বাজারে গিয়েছিলেন তিনি আমোদ আলি। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন।

হঠাৎ করেই সেখানে আট-দশজন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। আচমকা আমোদ আলিকে লক্ষ্য করে পর গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই অবস্থায় প্রাণ হাতে করে দৌড়াতে থাকেন আমোদ। কিন্তু দুষ্কৃতীরা গুলি করতে করতে তার পিছনে ধাওয়া করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে বাজারেই লুটিয়ে পড়েন আমোদ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ঘটনাস্থল থেকে পালান স্থানীয়রা। আমোদ আলিকে কেউ বাঁচাতে আসতে পারেননি সাহস করে। হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। আমোদ আলিকে কেন খুন করা হল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও কারণ আছে, নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।দুষ্কৃতীদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা

 

আরও পড়ুন: কোচবিহার: গণনায় পিছিয়ে পড়তেই ব্যালটে জল ঢাললেন প্রার্থী 

অন্যদিকে কাকভোরে এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল কোচবিহারের শীতলকুচি। বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। দম্পতির আরও এক মেয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শীতলকুচির হসপিটাল পাড়ার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গোটা এলাকা থমথমে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রণয়ঘটিত কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: আজ কোচবিহার থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রীর ভোট প্রচার

মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি।  প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নদিয়ায় তৃণমূল নেতার পিছনে ধাওয়া করে খুন, কোচবিহারে কুপিয়ে হত্যা দুই নেতা সহ দম্পতির কন্যা

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তিন তৃণমূল নেতাকে খুনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। আজ সকালে নদিয়ার হাঁসখালি ও কোচবিহারের শীতলকুচিতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নদিয়ায় সাতসকালেই বাজারের চায়ের দোকানের সামনে গুলি করে খুন করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস (৪৫)।  রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বাজার করার জন্য কাছেই রামনগর বড় চুপড়িয়া বাজারে গিয়েছিলেন তিনি আমোদ আলি। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন।

হঠাৎ করেই সেখানে আট-দশজন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। আচমকা আমোদ আলিকে লক্ষ্য করে পর গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই অবস্থায় প্রাণ হাতে করে দৌড়াতে থাকেন আমোদ। কিন্তু দুষ্কৃতীরা গুলি করতে করতে তার পিছনে ধাওয়া করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে বাজারেই লুটিয়ে পড়েন আমোদ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এদিকে দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ঘটনাস্থল থেকে পালান স্থানীয়রা। আমোদ আলিকে কেউ বাঁচাতে আসতে পারেননি সাহস করে। হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার। আমোদ আলিকে কেন খুন করা হল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও কারণ আছে, নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।দুষ্কৃতীদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা

 

আরও পড়ুন: কোচবিহার: গণনায় পিছিয়ে পড়তেই ব্যালটে জল ঢাললেন প্রার্থী 

অন্যদিকে কাকভোরে এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল কোচবিহারের শীতলকুচি। বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর স্বামী ও এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। দম্পতির আরও এক মেয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শীতলকুচির হসপিটাল পাড়ার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গোটা এলাকা থমথমে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রণয়ঘটিত কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: আজ কোচবিহার থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রীর ভোট প্রচার

মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি।  প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।