০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপ নীতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের তিন বিচারকের একটি প্যানেল এই রায় দেয়।

আদালতের মতে, ট্রাম্প যে আইনের (আইইইপিএ) আওতায় এই শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা কেবল জাতীয় জরুরি অবস্থায় তঅসাধারণ ও অস্বাভাবিকদ হুমকি মোকাবিলায় ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প তা ব্যবহার করে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন, যা আদালতের মতে তার আইনগত ক্ষমতার বাইরে।

আরও পড়ুন: বহুমূল্য কাতারি জেট ‘উপহার’ গ্রহণ ট্রাম্পের, সবচেয়ে বড় ঘুষ দাবি বিরোধীদের

আদালত জানায়, ‘এই শুল্ক আদেশগুলি অবৈধ, কারণ সংশ্লিষ্ট আইন তা অনুমোদন করে না , এটি কাজের কার্যকারিতা নয়, বরং আইনি ভিত্তির প্রশ্ন।’ ট্রাম্প প্রশাসন এই শুল্ক আরোপের জন্য যুক্তি দিয়েছিল, আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতা (বাণিজ্য ঘাটতি) জাতীয় জরুরি অবস্থা তৈরি করছে। কিন্তু আদালত বলেছে, প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া এভাবে শুল্ক আরোপ করতে পারেন না।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কাছে এবার অপমানিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

আদালতের রায়ের পরে মার্কিন ডলার ও শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। ইউরোপের বাজারে জার্মান জার্মানির প্রধান শেয়ারবাজার সূচক ড্যাক্স ০.৯ শতাংশ এবং ফ্রান্সের ক্যাক ৪০ সূচক বেড়েছে। এশিয়ার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের, আদালতের নয়।’

হোয়াইট হাউসের উপ প্রধান স্টিফেন মিলার আদালতের রায়কে তবিচার বিভাগের বিদ্রোহদ বলেও অভিহিত করেছেন। এই রায় ট্রাম্পের মূল অর্থনৈতিক নীতির ওপর বড় ধাক্কা। কারণ তিনি শুল্কের মাধ্যমে আমেরিকায় উৎপাদন ফেরাতে, অন্য দেশের উপর চাপ বাড়াতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চেয়েছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আইইইপিএ বাতিল হলেও ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো সেকশন ২৩২ আইনের মতো অন্যান্য আইনি পথ ব্যবহার করতে পারে, যেটি ইতিমধ্যেই গাড়ি, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যে শুল্ক আরোপে ব্যবহৃত হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শুল্কনীতি অবৈধ, মার্কিন আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প

আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপ নীতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের তিন বিচারকের একটি প্যানেল এই রায় দেয়।

আদালতের মতে, ট্রাম্প যে আইনের (আইইইপিএ) আওতায় এই শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা কেবল জাতীয় জরুরি অবস্থায় তঅসাধারণ ও অস্বাভাবিকদ হুমকি মোকাবিলায় ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প তা ব্যবহার করে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন, যা আদালতের মতে তার আইনগত ক্ষমতার বাইরে।

আরও পড়ুন: বহুমূল্য কাতারি জেট ‘উপহার’ গ্রহণ ট্রাম্পের, সবচেয়ে বড় ঘুষ দাবি বিরোধীদের

আদালত জানায়, ‘এই শুল্ক আদেশগুলি অবৈধ, কারণ সংশ্লিষ্ট আইন তা অনুমোদন করে না , এটি কাজের কার্যকারিতা নয়, বরং আইনি ভিত্তির প্রশ্ন।’ ট্রাম্প প্রশাসন এই শুল্ক আরোপের জন্য যুক্তি দিয়েছিল, আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতা (বাণিজ্য ঘাটতি) জাতীয় জরুরি অবস্থা তৈরি করছে। কিন্তু আদালত বলেছে, প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া এভাবে শুল্ক আরোপ করতে পারেন না।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কাছে এবার অপমানিত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

আদালতের রায়ের পরে মার্কিন ডলার ও শেয়ার বাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। ইউরোপের বাজারে জার্মান জার্মানির প্রধান শেয়ারবাজার সূচক ড্যাক্স ০.৯ শতাংশ এবং ফ্রান্সের ক্যাক ৪০ সূচক বেড়েছে। এশিয়ার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: আবুধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের, আদালতের নয়।’

হোয়াইট হাউসের উপ প্রধান স্টিফেন মিলার আদালতের রায়কে তবিচার বিভাগের বিদ্রোহদ বলেও অভিহিত করেছেন। এই রায় ট্রাম্পের মূল অর্থনৈতিক নীতির ওপর বড় ধাক্কা। কারণ তিনি শুল্কের মাধ্যমে আমেরিকায় উৎপাদন ফেরাতে, অন্য দেশের উপর চাপ বাড়াতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চেয়েছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আইইইপিএ বাতিল হলেও ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো সেকশন ২৩২ আইনের মতো অন্যান্য আইনি পথ ব্যবহার করতে পারে, যেটি ইতিমধ্যেই গাড়ি, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যে শুল্ক আরোপে ব্যবহৃত হয়েছে।