২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের জালে ২ অভিযুক্ত

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তৃণমূল নেতা অসীম দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। একটানা জেরার পর দোষ কবুল করে দু’জনে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাদের।

আরও পড়ুন: বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

প্রসঙ্গত,  সোমবার সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় আটকে গুলি করে খুন করা হয় লাকুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাসকে। তারপর থেকে এখনও ওই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে। যদিও নিহতের পরিবারের সন্দেহ, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে ও এলাকায় ঘুরে যায় সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি বা ‘সিট’ গঠন করা হয়। পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

এদিকে, বুধবার বিকেলে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকেই শাস্তি পাবেন বলেই আশ্বাস দেন তিনি। আগামী তিনদিনেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। একটানা জেরার পর দোষ কবুল করে দু’জনে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, খুনে দু’জনের ভূমিকাই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার পর আসল সত্য উদঘাটন হবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

বিহার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসায় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের জালে ২ অভিযুক্ত

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তৃণমূল নেতা অসীম দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। একটানা জেরার পর দোষ কবুল করে দু’জনে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাদের।

আরও পড়ুন: বৌদির মুন্ডু কেটে ধারাল অস্ত্র-সহ হাঁটতে হাঁটতে সোজা থানায় হাজির দেওর!

প্রসঙ্গত,  সোমবার সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় আটকে গুলি করে খুন করা হয় লাকুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাসকে। তারপর থেকে এখনও ওই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে। যদিও নিহতের পরিবারের সন্দেহ, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে ও এলাকায় ঘুরে যায় সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

আরও পড়ুন: ক্রেতার হাতে ‘খুন’ বিক্রেতা! ৫০ টাকার জেরে খুন বলে অভিযোগ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি বা ‘সিট’ গঠন করা হয়। পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

আরও পড়ুন: বিহারে খুন পুনের ব্যবসায়ী, সাইবার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

এদিকে, বুধবার বিকেলে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকেই শাস্তি পাবেন বলেই আশ্বাস দেন তিনি। আগামী তিনদিনেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের আশ্বাসের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে দুই অভিযুক্ত। ধৃতেরা হল সাবুল শেখ এবং সামু শেখ। অভিযুক্তরা যথাক্রমে কল্যাণপুর এবং কোটালঘোষ এলাকার বাসিন্দা। একটানা জেরার পর দোষ কবুল করে দু’জনে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, খুনে দু’জনের ভূমিকাই বা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার পর আসল সত্য উদঘাটন হবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।