২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উইঘুররা খুব সুখে আছে, দাবি চিনের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার
  • / 43

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ৩০টি ইসলামি দেশের ৩২ রাষ্ট্রদূত ও শীর্ষ কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল শিনজিয়াংয়ের উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চল সফরের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, এমনই দাবি চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং-এর। শিনজিয়াং অঞ্চলের চিনা পার্টি কমিটির সেক্রেটারি মা জিংরুই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেছেন।

 

আরও পড়ুন: হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে ধনখড়কে: বিস্ফোরক দাবি কল্যাণের

এরপর বেজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চারদিনের এ সফরে প্রতিনিধিদল কাশগর, আকসু ও উরুমকি সফরে গিয়ে সেখানকার মসজিদ, ইসলামিক স্কুল, জাদুঘর, প্রাচীন শহর, প্রযুক্তি উদ্যোগ, সবুজায়ন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তারা স্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্নাতকদের সাথেও কথা বলেন। প্রতিনিধি দলটি স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জাতিগত ঐক্য, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কে অবগত হন।’

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার

 

আরও পড়ুন: চিনের সতর্কবার্তা: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বিশ্বে বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে

মা জিংরুই আরও বলেন, ‘চিন সরকার জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলে এবং শিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। সব জাতির লোকেরা এখানে সম্প্রীতি ও সুখে-শান্তিতে বাস করে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে।’ প্রতিনিধি দল জানায়, শিনজিয়াংয়ে তারা যা দেখেছেন-শুনেছেন, তা মিডিয়ার প্রচারের থেকে ভিন্ন ছিল।

 

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, এই কূটনীতিকদের সফর নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি। তাই সত্যিই এই সফর হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এর আগে বহু আন্তর্জাতিক স্বীধান তদন্ত সংস্থা তাদের রিপোর্টে শিনজিয়াংয়ে বসবাসরত উইঘুরদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছে।

 

চিনা আধিকারিকরা প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে জেলে বন্দি রেখে পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে চলার নীতি নিয়েছে চিন। আর এবার চিন সরকার প্রমাণ করতে চাইছে উইঘুরদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সব রিপোর্ট ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। চিনের দাবি, উইঘুরদের নির্যাতন করা হচ্ছে না বরং তাদেরকে বিভিন্ন শিবিরে রেখে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উইঘুররা খুব সুখে আছে, দাবি চিনের

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ৩০টি ইসলামি দেশের ৩২ রাষ্ট্রদূত ও শীর্ষ কূটনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল শিনজিয়াংয়ের উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চল সফরের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, এমনই দাবি চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং-এর। শিনজিয়াং অঞ্চলের চিনা পার্টি কমিটির সেক্রেটারি মা জিংরুই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেছেন।

 

আরও পড়ুন: হুমকি দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে ধনখড়কে: বিস্ফোরক দাবি কল্যাণের

এরপর বেজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চারদিনের এ সফরে প্রতিনিধিদল কাশগর, আকসু ও উরুমকি সফরে গিয়ে সেখানকার মসজিদ, ইসলামিক স্কুল, জাদুঘর, প্রাচীন শহর, প্রযুক্তি উদ্যোগ, সবুজায়ন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তারা স্থানীয় ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্নাতকদের সাথেও কথা বলেন। প্রতিনিধি দলটি স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করে এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জাতিগত ঐক্য, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কে অবগত হন।’

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার

 

আরও পড়ুন: চিনের সতর্কবার্তা: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বিশ্বে বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে

মা জিংরুই আরও বলেন, ‘চিন সরকার জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলে এবং শিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। সব জাতির লোকেরা এখানে সম্প্রীতি ও সুখে-শান্তিতে বাস করে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে।’ প্রতিনিধি দল জানায়, শিনজিয়াংয়ে তারা যা দেখেছেন-শুনেছেন, তা মিডিয়ার প্রচারের থেকে ভিন্ন ছিল।

 

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, এই কূটনীতিকদের সফর নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি। তাই সত্যিই এই সফর হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এর আগে বহু আন্তর্জাতিক স্বীধান তদন্ত সংস্থা তাদের রিপোর্টে শিনজিয়াংয়ে বসবাসরত উইঘুরদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছে।

 

চিনা আধিকারিকরা প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে জেলে বন্দি রেখে পাশবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে চলার নীতি নিয়েছে চিন। আর এবার চিন সরকার প্রমাণ করতে চাইছে উইঘুরদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সব রিপোর্ট ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। চিনের দাবি, উইঘুরদের নির্যাতন করা হচ্ছে না বরং তাদেরকে বিভিন্ন শিবিরে রেখে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।