০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা, বাঙ্কার বাস্টার ও বি-২ বম্বার ব্যবহার করে বিস্ফোরণ

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার
  • / 248

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মিসৌরি থেকে যাত্রা শুরু করে টানা ৩৭ ঘণ্টার উড়ানে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকার বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান। মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে এই আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত হয় অত্যাধুনিক বাঙ্কার বাস্টার বোমা এবং বি-২ বম্বার। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার ভোরে ইরানের ফরডো, নাতানজ় ও ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্রে এই সুনির্দিষ্ট হামলা হয়। ফরডো ইরানের সবচেয়ে নিরাপদ এবং মাটির গভীরে অবস্থিত পরমাণু কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সেই কেন্দ্রে হামলার পর ট্রাম্প বলেন, “ফরডো গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ইরান যদি এখনই শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে না আসে, তাহলে আমেরিকা আরও আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আরও পড়ুন: Breaking: ট্রাম্পের নতুন টার্গেট: রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের শুল্ক বাড়লো ৫০%

এই সামরিক অভিযানে মার্কিন বাহিনী ছ’টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ফরডো কেন্দ্রে আঘাত হানে। এই বোমাগুলির প্রযুক্তিগত নাম ‘জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি), যা ১৫ টন ওজনের এবং গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম। বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমানই এই বোমা ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, আমেরিকার নৌবাহিনীও টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নাতানজ় ও ইসফাহানে অতিরিক্ত হামলা চালায় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ৭ মাসে ১৭০০ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা

এর আগে, ১৩ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলিতে হামলা চালায় ইসরাইল। সেই হামলায় ইরানের নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ একাধিক সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এর জবাবে ইরান পাল্টা ইসরাইলে হামলা শুরু করে। এই দ্বিপাক্ষিক সংঘাতের আবহেই এবার যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি ইরানবিরোধী হামলায় জড়িয়ে পড়ল।

আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ভারতের তেল-অস্ত্র আমদানি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট আমেরিকা, ট্রাম্পের হুমকি: কেন এত ক্ষোভ?

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরানকে আগে থেকেই দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিল আমেরিকা। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কি না। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকা সক্রিয় হয়ে ইরানে হামলা চালিয়ে দেয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা, বাঙ্কার বাস্টার ও বি-২ বম্বার ব্যবহার করে বিস্ফোরণ

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মিসৌরি থেকে যাত্রা শুরু করে টানা ৩৭ ঘণ্টার উড়ানে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকার বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান। মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে এই আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত হয় অত্যাধুনিক বাঙ্কার বাস্টার বোমা এবং বি-২ বম্বার। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী রবিবার ভোরে ইরানের ফরডো, নাতানজ় ও ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্রে এই সুনির্দিষ্ট হামলা হয়। ফরডো ইরানের সবচেয়ে নিরাপদ এবং মাটির গভীরে অবস্থিত পরমাণু কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সেই কেন্দ্রে হামলার পর ট্রাম্প বলেন, “ফরডো গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ইরান যদি এখনই শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে না আসে, তাহলে আমেরিকা আরও আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আরও পড়ুন: Breaking: ট্রাম্পের নতুন টার্গেট: রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের শুল্ক বাড়লো ৫০%

এই সামরিক অভিযানে মার্কিন বাহিনী ছ’টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ফরডো কেন্দ্রে আঘাত হানে। এই বোমাগুলির প্রযুক্তিগত নাম ‘জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি), যা ১৫ টন ওজনের এবং গভীর ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম। বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমানই এই বোমা ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, আমেরিকার নৌবাহিনীও টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নাতানজ় ও ইসফাহানে অতিরিক্ত হামলা চালায় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ৭ মাসে ১৭০০ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা

এর আগে, ১৩ জুন ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলিতে হামলা চালায় ইসরাইল। সেই হামলায় ইরানের নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ একাধিক সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এর জবাবে ইরান পাল্টা ইসরাইলে হামলা শুরু করে। এই দ্বিপাক্ষিক সংঘাতের আবহেই এবার যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি ইরানবিরোধী হামলায় জড়িয়ে পড়ল।

আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ভারতের তেল-অস্ত্র আমদানি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট আমেরিকা, ট্রাম্পের হুমকি: কেন এত ক্ষোভ?

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরানকে আগে থেকেই দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছিল আমেরিকা। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এই সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কি না। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকা সক্রিয় হয়ে ইরানে হামলা চালিয়ে দেয়।