২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিড ডে মিলে ডিম কেন দেওয়া হচ্ছে! নিরামিষভোজী পড়ুয়ারা তা হলে কী খাবে? টুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 72

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ স্কুলের মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে ডিম, ঘোর আপত্তি জানিয়ে টুইট করলেন কর্ণাটকের বিজেপি নেত্রী তথা মৃত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের স্ত্রী তেজস্বিনী অনন্ত কুমার। এদিনের টুইট বার্তায় তিনি জানান,মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের জন্য ডিম দেওয়া হচ্ছে কেন? নিরামিষভোজী পড়ুয়ারা তা হলে কী খাবে? তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে না কি?

 

আরও পড়ুন: কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও এসআইআর বোর্ড নিয়ে হাজির হচ্ছে তৃণমূল: বিএলওদের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নেতা

এদিনের টুইটে গেরুয়া নেত্রী আরও জানিয়েছেন, অনেক নিরামিষভোজীরা মাছ-মাংস বাঁ ডিম খান না তারা এগুলো দেখলে ইতস্ততবোধ করে।রাজ্য সরকারকে তারা অনুরোধ করেছে, এই বিষয়ে যেন বৈষম্য না হয়। সকলের সঙ্গে যেন ন্যায় করা হয়।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

তেজস্বিনী অনন্ত কুমারের ভাষ্যে, কেন কর্ণাটক সরকার স্কুলের দুপুরের খাবারে ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এগুলিই পুষ্টির একমাত্র উৎস নয়। অনেক ছাত্রই যারা নিরামিষভোজী তাদের জন্যও ডিম নিষিদ্ধ।তাই আমাদের উচিৎ এমন নিয়ম বানানও যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ থাকে।

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, গ্রেফতার বিজেপি নেতা

 

প্রসঙ্গত,গত বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটক সরকার মিড ডে মিলে ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি  দিলেও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সংগঠনের অনেক নেতা।এমনকি সরকারের আহ্বানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন লিঙ্গায়ত সংগঠনের সম্পাদক ও নানান কর্মীবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য, গত মাসেই কর্ণাটক স্কুল শিক্ষা দফতর ঘোষণা করে যে, এবার থেকে মিড ডে মিলে ডিম, কলা ও বাদাম চাক থাকবে।  প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।স্কুলে পাঠরত  প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির  পড়ুয়াদের  এই খাবার দেওয়া হবে।এই প্রসঙ্গে,শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেন, “ডিম খাওয়ার জন্য কোনও ছাত্রকে জোর করা হবে না। যারা ডিম খাবে না, তারা কলা ও বাদাম চাক বেছে নিতে পারবে।”

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিড ডে মিলে ডিম কেন দেওয়া হচ্ছে! নিরামিষভোজী পড়ুয়ারা তা হলে কী খাবে? টুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী  

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ স্কুলের মিড ডে মিলে দেওয়া হচ্ছে ডিম, ঘোর আপত্তি জানিয়ে টুইট করলেন কর্ণাটকের বিজেপি নেত্রী তথা মৃত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের স্ত্রী তেজস্বিনী অনন্ত কুমার। এদিনের টুইট বার্তায় তিনি জানান,মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের জন্য ডিম দেওয়া হচ্ছে কেন? নিরামিষভোজী পড়ুয়ারা তা হলে কী খাবে? তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে না কি?

 

আরও পড়ুন: কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও এসআইআর বোর্ড নিয়ে হাজির হচ্ছে তৃণমূল: বিএলওদের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি নেতা

এদিনের টুইটে গেরুয়া নেত্রী আরও জানিয়েছেন, অনেক নিরামিষভোজীরা মাছ-মাংস বাঁ ডিম খান না তারা এগুলো দেখলে ইতস্ততবোধ করে।রাজ্য সরকারকে তারা অনুরোধ করেছে, এই বিষয়ে যেন বৈষম্য না হয়। সকলের সঙ্গে যেন ন্যায় করা হয়।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

তেজস্বিনী অনন্ত কুমারের ভাষ্যে, কেন কর্ণাটক সরকার স্কুলের দুপুরের খাবারে ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এগুলিই পুষ্টির একমাত্র উৎস নয়। অনেক ছাত্রই যারা নিরামিষভোজী তাদের জন্যও ডিম নিষিদ্ধ।তাই আমাদের উচিৎ এমন নিয়ম বানানও যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ থাকে।

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, গ্রেফতার বিজেপি নেতা

 

প্রসঙ্গত,গত বছরের শেষের দিকে অর্থাৎ ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটক সরকার মিড ডে মিলে ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি  দিলেও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং সংগঠনের অনেক নেতা।এমনকি সরকারের আহ্বানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন লিঙ্গায়ত সংগঠনের সম্পাদক ও নানান কর্মীবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য, গত মাসেই কর্ণাটক স্কুল শিক্ষা দফতর ঘোষণা করে যে, এবার থেকে মিড ডে মিলে ডিম, কলা ও বাদাম চাক থাকবে।  প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।স্কুলে পাঠরত  প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির  পড়ুয়াদের  এই খাবার দেওয়া হবে।এই প্রসঙ্গে,শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেন, “ডিম খাওয়ার জন্য কোনও ছাত্রকে জোর করা হবে না। যারা ডিম খাবে না, তারা কলা ও বাদাম চাক বেছে নিতে পারবে।”