জলবিহীন গাজা: শিশুদের সামনে মৃত্যুর হুমকি

- আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 8
গাজায় পানীয় জলের অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যুদ্ধের ধাক্কায় জলের ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে; একে ‘মানবসৃষ্ট খরা’ বলে অভিহিত করেছে রাষ্ট্রসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।
শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, ‘শিশুরা তৃষ্ণায় মরতে শুরু করবে। বর্তমানে গাজায় মাত্র ৪০ শতাংশ পানীয় জল উৎপাদন কেন্দ্র সচল রয়েছে।’
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরাইল দাবি করেছে, তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে না, শুধু নিশ্চিত করছে যাতে এই সাহায্য হামাসের হাতে না পড়ে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তারা বলেছে, ইসরাইল ‘ক্ষুধাকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফিলিপ লাজারিনি, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা রাষ্ট্রসংঘ সংস্থার প্রধান, ত্রাণ বিতরণের বর্তমান ব্যবস্থাকে ‘লজ্জাজনক এবং আমাদের সামষ্টিক বিবেকের কলঙ্ক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
গাজায় চলমান ইসরাইলি সামরিক অভিযানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৫,৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাস্তুহারা হয়ে গেছেন প্রায় গোটা অঞ্চলটির মানুষ। একইসঙ্গে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্যসংকট।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার জানিয়েছে, তারা গত চার সপ্তাহে মাত্র ৯,০০০ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী গাজায় সরবরাহ করতে পেরেছে;যা প্রয়োজনের তুলনায় ‘অত্যন্ত সামান্য’। এক বিবৃতিতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায়, ‘ক্ষুধা ও অনাহারের আতঙ্কে মানুষ পরিচিত পরিবহনপথে ভিড় করছে; হয়তো সাহায্যের কিছু অংশ ছিনিয়ে নিতে পারবে সেই আশায়। যেকোনও সহিংসতা, যেখানে মানুষ জীবনরক্ষাকারী সাহায্য পেতে গিয়ে আহত বা নিহত হন, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’