হাত ছেড়ে ঘাসফুলে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক শংকর মালাকার

- আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 43
আবদুল ওদুদ: ২০২৬- এ রয়েছে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যের বিরোধী শিবিরে একের পর এক ধস নামছে ।উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা জন বার্লার পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন কংগ্রেসের শংকর মালাকার। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নযজ্ঞে আস্থা রেখে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এবার ‘দিদি’র সেই ‘উন্নয়নের উন্মাদনা’য় মুগ্ধ হয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন কংগ্রেসত্যাগী শংকর মালাকার। বুধবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।
গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের বৃদ্ধি হলেও আশানুরূপ ফল হয়নি । এই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । কয়েকদিন আগেই এই লক্ষ্যে চা-বলয়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাকে দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এবার তাদের আরেক হাতিয়ার হতে চলেছেন উত্তরের প্রভাবশালী নেতা শঙ্কর মালাকার । উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ তথা কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নাম শঙ্কর মালাকার এবার নাম লেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসে ।
৭০ বছর বয়সি শঙ্কর মালাকারের রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসি ঘরানার হাত ধরেই । উত্তরবঙ্গে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি এলাকার বিধায়ক ছিলেন তিনি ।২০২১ থেকে ২০২১ সাল, টানা ১০ বছর বিধানসভায় হাত শিবিরের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন । সেই সুবাদে উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে বিশেষত তফসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন তিনি । শংকর মালাকারের হাত ধরেই সেখানে কংগ্রেসের সংগঠন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী ।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বিপুল সাফল্য পেলেও উত্তরবঙ্গ সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি ঘাসফুল শিবির । তবে নিজের কেন্দ্রে জিততে পারেননি শঙ্কর মালাকারও । সেখানে জিতেছিলেন বিজেপির আনন্দময় বর্মন । তবে তাঁর সংগঠনের সঙ্গে নিবিড় যোগ এতটুকুও কমেনি । এবার শংকর মালাকার এবং জন বার্লার হাত ধরে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট আরো বাড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা