১৯ মে ২০২৫, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লি হাইকোর্টে সাকেতের আবেদন খারিজ, গুনতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 157

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানহানির মামলায় আরও চাপে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য সাকেতের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ফলে সেই নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। ২০২১ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী পুরীর সুইজারল্যান্ডে কেনা একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরী দুর্নীতির টাকায় ওই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন: Madhyamik Result 2025 : মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলার জয় জয়কার, চতুর্থ মুহাম্মদ সেলিম, দশম হামিদা বানু

আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে বড়সড় রদবদল

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী পুরীর করা মানহানির মামলায় আরও চাপের মুখে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ফলে সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য সাকেতের বিরুদ্ধে যে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, সেটা বহাল রইল। ওই ঘটনায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ট্যাগ করে ইডির তদন্ত দাবি করেন সাকেত গোখলে। তৃণমূল সাংসদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন পুরী দম্পতি। পাল্টা সাকেতের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী John Barla-র

২০২৪ সালের জুন মাসে দিল্লি হাইকোর্ট ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তৃণমূল সাংসদ সাকেত। পুরী দম্পতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। ওই জরিমানা না মেটানোয় দিল্লির এক আদলত সাকেতের একাংশ বেতন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। প্রতিমাসে সাকেতের বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ কেটে নিতে বলে আদালত। এরপরই মূল রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব জানিয়েছেন, আইন মেনে ১৮০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর কথা। কিন্তু সাকেত তা করেননি। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। আর্জি খারিজ করার অর্থ, আর্থিকভাবে রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন তৃণমূল সাংসদ। অবশ্য তাঁর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। সংসদের বাইরে এবং ভিতরে তৃণমূলের সাংসদরা কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই তাঁদের রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসার’ শিকার হতে হচ্ছে বলেই মনে করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিলেন জন বার্লা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লি হাইকোর্টে সাকেতের আবেদন খারিজ, গুনতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা

আপডেট : ২ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানহানির মামলায় আরও চাপে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য সাকেতের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ফলে সেই নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। ২০২১ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী পুরীর সুইজারল্যান্ডে কেনা একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরী দুর্নীতির টাকায় ওই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন: Madhyamik Result 2025 : মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলার জয় জয়কার, চতুর্থ মুহাম্মদ সেলিম, দশম হামিদা বানু

আরও পড়ুন: বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে বড়সড় রদবদল

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী এবং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী পুরীর করা মানহানির মামলায় আরও চাপের মুখে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ফলে সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য সাকেতের বিরুদ্ধে যে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, সেটা বহাল রইল। ওই ঘটনায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ট্যাগ করে ইডির তদন্ত দাবি করেন সাকেত গোখলে। তৃণমূল সাংসদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন পুরী দম্পতি। পাল্টা সাকেতের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী John Barla-র

২০২৪ সালের জুন মাসে দিল্লি হাইকোর্ট ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তৃণমূল সাংসদ সাকেত। পুরী দম্পতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। ওই জরিমানা না মেটানোয় দিল্লির এক আদলত সাকেতের একাংশ বেতন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। প্রতিমাসে সাকেতের বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ কেটে নিতে বলে আদালত। এরপরই মূল রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব জানিয়েছেন, আইন মেনে ১৮০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর কথা। কিন্তু সাকেত তা করেননি। তাই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। আর্জি খারিজ করার অর্থ, আর্থিকভাবে রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন তৃণমূল সাংসদ। অবশ্য তাঁর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। সংসদের বাইরে এবং ভিতরে তৃণমূলের সাংসদরা কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই তাঁদের রাজনৈতিক ‘প্রতিহিংসার’ শিকার হতে হচ্ছে বলেই মনে করছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিলেন জন বার্লা