০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিদেবপুর খুনে ধৃত আরও ১, গল্ফগ্রিন এলাকায় দেহ উদ্ধার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 6

পুবের কলম প্রতিবেদক: মঙ্গলবার হরিদেবপুরের জীবনমোহিনী ঘোষ পার্কে রাস্তার ধার থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অর্জুন দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অরুণাভ পাত্রকে জেরা করেই অর্জুনের নাম প্রকাশ্যে আসে। তারপর তাকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।

মঙ্গলবার মহিলার দেহ উদ্ধারের পর রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে অরুনাভ পাত্র নামের একজন গ্রেফতার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা অর্জুন দাসের হদিশ পান তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে দত্তপুকুরে হানা দিয়ে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ডালিয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে অরুণাভ পাত্র। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে সে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য অর্জুনককে ফোন করে অরুণাভ। সেই মতো দু’জনে দোলের দিন ভোরে ডালিয়ার দেহ নিয়ে হরিদেবপুরে ফেলে রেখে যায়। অরুণাভর কাছ থেকে করে উদ্বার হয়েছে একটি ওড়না ও নিহত ডালিয়া চক্রবর্তীর জুতো। ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত যুবক লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।

জানা গিয়েছে, বিক্রমগড়ের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লিটন দাসের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। একই কামরা থেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রীতি সর্দার নামক এক মহিলাকে। তাঁকে প্রথমে এম আর বাঙুর পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রীতির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, ১৪ বছর আগে সৌমেন সর্দার নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রীতির। কিন্তু, সেই সম্পর্ক টেকেনি। ১১ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। গত চার বছর ধরে লিটনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ৩১ বছরের প্রীতি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হরিদেবপুর খুনে ধৃত আরও ১, গল্ফগ্রিন এলাকায় দেহ উদ্ধার

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মঙ্গলবার হরিদেবপুরের জীবনমোহিনী ঘোষ পার্কে রাস্তার ধার থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে অর্জুন দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত অরুণাভ পাত্রকে জেরা করেই অর্জুনের নাম প্রকাশ্যে আসে। তারপর তাকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।

মঙ্গলবার মহিলার দেহ উদ্ধারের পর রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে অরুনাভ পাত্র নামের একজন গ্রেফতার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা অর্জুন দাসের হদিশ পান তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে দত্তপুকুরে হানা দিয়ে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ডালিয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে অরুণাভ পাত্র। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে সে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য অর্জুনককে ফোন করে অরুণাভ। সেই মতো দু’জনে দোলের দিন ভোরে ডালিয়ার দেহ নিয়ে হরিদেবপুরে ফেলে রেখে যায়। অরুণাভর কাছ থেকে করে উদ্বার হয়েছে একটি ওড়না ও নিহত ডালিয়া চক্রবর্তীর জুতো। ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত যুবক লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।

জানা গিয়েছে, বিক্রমগড়ের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লিটন দাসের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। একই কামরা থেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রীতি সর্দার নামক এক মহিলাকে। তাঁকে প্রথমে এম আর বাঙুর পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রীতির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, ১৪ বছর আগে সৌমেন সর্দার নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রীতির। কিন্তু, সেই সম্পর্ক টেকেনি। ১১ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। গত চার বছর ধরে লিটনের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ৩১ বছরের প্রীতি।