অমৃতসরে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১৭ জনের মৃত্যু

- আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 78
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত ১৭ জন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে পাঞ্জাবের অমৃতসরে। মদ খেয়ে ছয় জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে ভাঙালি, পাতালপুরী, মারারি, কালান এবং থেরওয়াল গ্রামে হুচ জাতীয় বিষাক্ত মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশ সূত্রে খবর হুচ তৈরির জন্য অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে মিথানল সংগ্রহ করা হয়েছিল।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পিছনে যারা দায়ী তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। এগুলি মৃত্যু নয়, এগুলি খুন। আপ মদ মাফিয়াদের রুখতে ব্যর্থ বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং আবগারি মন্ত্রী হরপাল সিং চিমানর পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধীরা। অমৃতসর জেলা প্রশাসনের তরফে মেডিক্যাল টিম গ্রামগুলিতে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের পরীক্ষা করে দেখছে। অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনার সাক্ষী সাহনি বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই দিনমজুর।
এক বছররের মধ্যে দ্বিতীয় বার এই ঘটনাটি ঘটল। ২০২৪ সালের মার্চ মসে সাংরুর জেলায় বিষাক্ত মদ পান করে ২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০২০ সালে, তারন তারান, অমৃতসর এবং বাটালায় বিষাক্ত মদের কারণে মোট ১২০ জন মারা গেছেন। ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং স্টেশন হাউস অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঞ্জাবের পুলিশ অধিকর্তা গৌরব যাদব এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছেন, “পাঞ্জাব পুলিশ বিষাক্ত মদের কারণে মর্মান্তিক প্রাণহানির পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। অবৈধ মদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই চক্রের মূল হোতা এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথানল ব্যবহার করে ভেজাল মদ তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে সহজেই তদন্তের আওয়াত আনা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রভজিৎ সিং, পাশাপাশি কুলবীর সিং, সাহেব সিং, গুরুজন্ত সিং এবং নিন্দর কৌর রয়েছেন। ডেপুটি কমিশনার সাক্ষী সাহনি, ডেপুটি ইন্সপেক্ট জেলারেল অফ পুলিশ সতীন্দর সিং এবং জলন্ধর গ্রামীণ সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ মনিন্দর সিং আক্রান্ত গ্রামগুলি ঘুরে দেখেছেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেছেন বলে খবর।
এসএসপি মনিন্দর সিং বলেন, প্রধান অভিযুক্ত প্রভজিৎ সিং ৫০ লিটার মিথানলের সরবরাহ করেছিল। দুই লিটারের প্যাকেটে করে লোকেদের কাছে বিক্রি করেছিল। প্রতিটি প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সাহেব সিং নামে একজন অনলাইনে মিথানলের অর্ডার দিয়েছিল। তারপর সরবরাহ করা হয়েছিল।