০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিমাচলে ভোট পড়ল ৬৫ শতাংশ, বিজেপির কোন্দলে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শনিবার সম্পন্ন হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোট। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৯২ শতাংশ। ফল ঘোষণা হবে ৮ ডিসেম্বর। সেদিনই গুজরাত বিধানসভারও ভোটের ফল ঘোষণা। শনিবার মোট ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৫ টায়। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা। একদিকে রয়েছে শাসক দল বিজেপি, আগামী পাঁচ বছরও যাতে ক্ষমতা তাদের দখলেই থাকে, তার জন্য জোরকদমে প্রচার ও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসও পুরনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

বিজেপির বিরুদ্ধে হিমাচলে জনরোষ প্রবল। তাই মানুষ বিজেপিকে বদলাতে চাইছে। এখন বিজেপি তাদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনই দাবি কংগ্রেসের। ২০১৭ বিধানসভা ভোটে ৬৮ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ২১ টি আসন। হিমাচলে বিজেপির স্লোগান সেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। তারা ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের যে কাজগুলি অধরা রয়েছে সেগুলি সম্পাৎ হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি।কংগ্রেসের দাবি, এটি বিধানসভা ভোট। তাই কেবল মোদিকে দেখিয়ে কাজ হবে না। বিজেপি এখানে দলীয় কোন্দলে ভুগছে। একই সঙ্গে রয়েছে নেতৃত্বের সংকট।

২১ বিদ্রোহী নেতা অবশ্য বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনভাবেই সামাল দিতে পারেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে বিজেপি প্রধান নাদ্দার আকছেও এটি প্রেস্টিজ ইস্যু। এবারের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি বর্ষীয়ান নেতা প্রেম কুমার ধুমালকে। তা নিয়ে বিজেপির ভিতরে বিস্তর ক্ষোভ। একসময় এই ধূমালের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন জেপি নাড্ডা। যদিও ধুমাল প্রকাশে বলেছেন তিনি নিজেই টিকিট নিতে চাননি। কিন্তু বিজেপির কর্মী সমর্থকরাম,না করছে এটি আসলে ধূমালের নিজের কথা নয়। তাঁকে দল চাপ দিয়ে এই কথা বিলিয়ে নিয়েছে। হিমাচলে টিকিট দেওয়া নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।

এতো গেল রাজনীতির বিষয়। তবে অন্য কারণেই এই ভোট গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটকেন্দ্র তাশিগাং এ ৫২ জন ভোটারই এদিন ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ এখানে ১০০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন১৫,২৫৬ ফুট উচ্চতায় সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্র স্থাপন করেছিল।সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে এই ভোটকেন্দ্রে পোলিং টিম পাঠানো হয়।তীব্র ঠান্ডা সত্ত্বেও ভোটাররা তাঁদের ভোট দিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ বুথে পৌঁছন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিমাচলে ভোট পড়ল ৬৫ শতাংশ, বিজেপির কোন্দলে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শনিবার সম্পন্ন হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোট। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৯২ শতাংশ। ফল ঘোষণা হবে ৮ ডিসেম্বর। সেদিনই গুজরাত বিধানসভারও ভোটের ফল ঘোষণা। শনিবার মোট ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। সকাল আটটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৫ টায়। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা। একদিকে রয়েছে শাসক দল বিজেপি, আগামী পাঁচ বছরও যাতে ক্ষমতা তাদের দখলেই থাকে, তার জন্য জোরকদমে প্রচার ও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসও পুরনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

বিজেপির বিরুদ্ধে হিমাচলে জনরোষ প্রবল। তাই মানুষ বিজেপিকে বদলাতে চাইছে। এখন বিজেপি তাদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনই দাবি কংগ্রেসের। ২০১৭ বিধানসভা ভোটে ৬৮ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ২১ টি আসন। হিমাচলে বিজেপির স্লোগান সেই ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। তারা ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের যে কাজগুলি অধরা রয়েছে সেগুলি সম্পাৎ হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি।কংগ্রেসের দাবি, এটি বিধানসভা ভোট। তাই কেবল মোদিকে দেখিয়ে কাজ হবে না। বিজেপি এখানে দলীয় কোন্দলে ভুগছে। একই সঙ্গে রয়েছে নেতৃত্বের সংকট।

২১ বিদ্রোহী নেতা অবশ্য বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনভাবেই সামাল দিতে পারেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে বিজেপি প্রধান নাদ্দার আকছেও এটি প্রেস্টিজ ইস্যু। এবারের নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি বর্ষীয়ান নেতা প্রেম কুমার ধুমালকে। তা নিয়ে বিজেপির ভিতরে বিস্তর ক্ষোভ। একসময় এই ধূমালের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন জেপি নাড্ডা। যদিও ধুমাল প্রকাশে বলেছেন তিনি নিজেই টিকিট নিতে চাননি। কিন্তু বিজেপির কর্মী সমর্থকরাম,না করছে এটি আসলে ধূমালের নিজের কথা নয়। তাঁকে দল চাপ দিয়ে এই কথা বিলিয়ে নিয়েছে। হিমাচলে টিকিট দেওয়া নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।

এতো গেল রাজনীতির বিষয়। তবে অন্য কারণেই এই ভোট গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোটকেন্দ্র তাশিগাং এ ৫২ জন ভোটারই এদিন ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ এখানে ১০০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন১৫,২৫৬ ফুট উচ্চতায় সবচেয়ে উঁচু ভোটকেন্দ্র স্থাপন করেছিল।সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে এই ভোটকেন্দ্রে পোলিং টিম পাঠানো হয়।তীব্র ঠান্ডা সত্ত্বেও ভোটাররা তাঁদের ভোট দিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ বুথে পৌঁছন।