২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে পরিণতি ভয়াবহ হবে: কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, বুধবার
  • / 34

তাশখন্দ, ২৯ মে: ইউক্রেনে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলার শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনীয় বাহিনীও পশ্চিমাদের দেয়া বিভিন্ন অস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন অবশ্য এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরেও হামলা চালাতে চায়। এমন অবস্থায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উজবেকিস্তান সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাতের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।’

 

আরও পড়ুন: আধার ভোটার সংযোগ না করলে ফল ভুগতে হবে, সাবধান করছেন বিশেষজ্ঞরা

তিনি আরও বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারা ‘আয়তনে ছোট’ এবং সেসব দেশের ‘ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা’ রয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এই বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়।’ এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালেও তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপরই বর্তাবে।’ এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা এরইমধ্যে ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসেবে গোপনে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকেও আরেকটি পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: ‘বিধ্বংসী পরিণতির’ সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

অন্যদিকে, বিশ্বকে যুদ্ধে ক্লান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডার গত সোমবার ঘোষণা করেছেন, তার দেশে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যারাই থাকুক না কেন আমরা যা প্রয়োজন মনে করব সেটিই করব।’

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে পরিণতি ভয়াবহ হবে: কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের

আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, বুধবার

তাশখন্দ, ২৯ মে: ইউক্রেনে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলার শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনীয় বাহিনীও পশ্চিমাদের দেয়া বিভিন্ন অস্ত্র রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। ইউক্রেন অবশ্য এসব অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরেও হামলা চালাতে চায়। এমন অবস্থায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন। পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়ায় আঘাত হানলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উজবেকিস্তান সফরে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘সংঘাতের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।’

 

আরও পড়ুন: আধার ভোটার সংযোগ না করলে ফল ভুগতে হবে, সাবধান করছেন বিশেষজ্ঞরা

তিনি আরও বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারা ‘আয়তনে ছোট’ এবং সেসব দেশের ‘ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা’ রয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এই বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়।’ এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালেও তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপরই বর্তাবে।’ এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা এরইমধ্যে ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসেবে গোপনে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকেও আরেকটি পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: ‘বিধ্বংসী পরিণতির’ সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

অন্যদিকে, বিশ্বকে যুদ্ধে ক্লান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডার গত সোমবার ঘোষণা করেছেন, তার দেশে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যারাই থাকুক না কেন আমরা যা প্রয়োজন মনে করব সেটিই করব।’