১৪ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলিয়ার বঞ্চনা রুখতে চলবে আন্দোলন, হঁশিয়ারি পড়ুয়াদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার
  • / 115

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৪ দিন অতিক্রম করল। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে পড়ুয়াদের এই আন্দোলনে বহু ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্রদের বক্তব্য– করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বহু পড়ুয়া আন্দোলনে যোগদান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তাদের আপাতত আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামীতে এই অবস্থান মঞ্চে আরও ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করবেন। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।

রবিবার অবস্থান মঞ্চে আলিয়ার প্রাক্তনী– বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক– শিক্ষক ও সংখ্যালঘু নেতৃত্বরা উপস্থিত হন।

আরও পড়ুন: আলিয়ার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাহ’র শহিদ দিবস

ছাত্রদের দাবি– পড়ুয়াদের স্বার্থে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাক পরিদর্শন জরুরি। এর জন্য ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা আলিয়াকে দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাক করাতে সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যায়নি।

আরও পড়ুন: আলিয়ার সেমিনার হলে ৩ জুলাই পালিত হবে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাহ’র শহিদ দিবস

একই সঙ্গে ছাত্রদের আক্ষেপ–  পার্ক সার্কাসে আলিয়ার ছাত্র হস্টেল নেই।  প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়াদের ভাড়া বাড়িতে দূরে থাকতে হচ্ছে। আলিয়ার জায়গা থাকতেও সেই জায়গায় হস্টেল না করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংখ্যালঘু দফতরের ওই জমি কেন দেওয়া হচ্ছে– সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। একই সঙ্গে আলিয়ার গবেষকদের অভিযোগ– অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলিয়ার গবেষকরা যথাযথ স্কলারশিপ পান না। উপরন্তু কম দেওয়া হয়।  আলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা কন্যাশ্রী কে-থ্রি ফর্ম পূরণ করতে পারেন না। কারণ– ওই ফর্ম পূরণের তালিকায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি– তালতলার বেগম রোকেয়া ভবনকে গালর্স হস্টেলে রূপান্তর করতে হবে।

আরও পড়ুন: আলিয়ার স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা ১৮ এবং ২৩ জুলাই

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডব্লিউবিসিএস কোচিং শুরু হয়েছিল। এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আলিয়ার পড়ুয়ারা উপকৃত হতেন। সেই কোচিং বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় আলিয়ায় ডব্লিউবিসিএস কোচিং চালু করার দাবি জানান আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। পাশাপাশি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট অনুসারে ২৯৩ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন ১৮০ জন। তাই প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি তোলেন পড়ুয়ারা।

সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয়– তদন্তের নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অর্থ বর্ষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়ুয়াদের স্বার্থে সেই টাকা সংখ্যালঘু দফতরকে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রী-গবেষকরা।

এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ খাতে খরচের জন্য আলিয়াকে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর। বিদ্যুৎ বিল– নিরাপত্তারক্ষী–  অন্যান্য কর্মচারী ও বিভিন্ন খাতে খরচের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে।

আরও খবর পড়ুনঃ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আলিয়ার বঞ্চনা রুখতে চলবে আন্দোলন, হঁশিয়ারি পড়ুয়াদের

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অবস্থান বিক্ষোভ ১৪ দিন অতিক্রম করল। বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে পড়ুয়াদের এই আন্দোলনে বহু ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। ছাত্রদের বক্তব্য– করোনা পরিস্থিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বহু পড়ুয়া আন্দোলনে যোগদান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তাদের আপাতত আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামীতে এই অবস্থান মঞ্চে আরও ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করবেন। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।

রবিবার অবস্থান মঞ্চে আলিয়ার প্রাক্তনী– বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপক– শিক্ষক ও সংখ্যালঘু নেতৃত্বরা উপস্থিত হন।

আরও পড়ুন: আলিয়ার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাহ’র শহিদ দিবস

ছাত্রদের দাবি– পড়ুয়াদের স্বার্থে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাক পরিদর্শন জরুরি। এর জন্য ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা আলিয়াকে দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যাক করাতে সমস্যা হয়েছে বলে শোনা যায়নি।

আরও পড়ুন: আলিয়ার সেমিনার হলে ৩ জুলাই পালিত হবে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাহ’র শহিদ দিবস

একই সঙ্গে ছাত্রদের আক্ষেপ–  পার্ক সার্কাসে আলিয়ার ছাত্র হস্টেল নেই।  প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়াদের ভাড়া বাড়িতে দূরে থাকতে হচ্ছে। আলিয়ার জায়গা থাকতেও সেই জায়গায় হস্টেল না করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংখ্যালঘু দফতরের ওই জমি কেন দেওয়া হচ্ছে– সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। একই সঙ্গে আলিয়ার গবেষকদের অভিযোগ– অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আলিয়ার গবেষকরা যথাযথ স্কলারশিপ পান না। উপরন্তু কম দেওয়া হয়।  আলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা কন্যাশ্রী কে-থ্রি ফর্ম পূরণ করতে পারেন না। কারণ– ওই ফর্ম পূরণের তালিকায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। পাশাপাশি ছাত্রদের দাবি– তালতলার বেগম রোকেয়া ভবনকে গালর্স হস্টেলে রূপান্তর করতে হবে।

আরও পড়ুন: আলিয়ার স্নাতকোত্তরের প্রবেশিকা ১৮ এবং ২৩ জুলাই

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডব্লিউবিসিএস কোচিং শুরু হয়েছিল। এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আলিয়ার পড়ুয়ারা উপকৃত হতেন। সেই কোচিং বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় আলিয়ায় ডব্লিউবিসিএস কোচিং চালু করার দাবি জানান আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। পাশাপাশি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট অনুসারে ২৯৩ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন ১৮০ জন। তাই প্রতিটি বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি তোলেন পড়ুয়ারা।

সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয়– তদন্তের নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অর্থ বর্ষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়ুয়াদের স্বার্থে সেই টাকা সংখ্যালঘু দফতরকে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রী-গবেষকরা।

এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ খাতে খরচের জন্য আলিয়াকে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর। বিদ্যুৎ বিল– নিরাপত্তারক্ষী–  অন্যান্য কর্মচারী ও বিভিন্ন খাতে খরচের জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছে।

আরও খবর পড়ুনঃ