১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের বঙ্গোপসাগরে ডুবল ইলিশ ভর্তি ট্রলার, প্রাণরক্ষা ১৩ জনের

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 134

পুবের কলম প্রতিবেদক, রায়দিঘি: বঙ্গোপসাগরে ফের ট্রলার ডুবি। তবে প্রাণে রক্ষা পেল রায়দিঘির ১৩ জন মৎস্যজীবী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভাই ভাই নামের একটি ইলিশ ধরার ট্রলার রায়দিঘি থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। শুক্রবার তারা ফিরছিল। জালে উঠেছিল প্রচুর ইলিশ। কিন্তু কে জানতো পথেই তাদের জন্য ওৎ পেতে বসে আছে বিপদ। শুক্রবার দুপুরে জম্বুদ্বীপ থেকে পশ্চিম দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। ফেটে যায় পাটাতন। হু হু করে ঢুকতে থাকে জল। চোখের পলকে ডুবতেও শুরু করে। খুব অল্প সময়েই ট্রলার ভারসাম্য হারিয়ে সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

তবে সৌভাগ্যবশত পাশে থাকা আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার, ‘আব্বা মায়ের দোয়া’ বিপদের সংকেত পেয়ে দ্রুত পৌঁছায় সেখানে। ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা এবং একে একে ১৩ জনকেই নিরাপদে জল থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে দ্রুত উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। মৎস্যজীবী শেখ জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘সমুদ্র উত্তাল ছিল, পাঠাতন ছিঁড়ে যাওয়ার পর আমাদের ট্রলারে দ্রুত জল ঢুকতে থাকে। আমরা ওয়্যারলেসে বিপদ সংকেত পাঠাই। ভাগ্য ভালো, পাশে ট্রলার ছিল বলে প্রাণে বেঁচে গেলাম।’ যদিও ‘ভাই ভাই’ ট্রলারটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছে। তবু ১৩টি প্রাণ ফিরে আসায় এলাকায় এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে কীভাবে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বাংলায় আসছে ৩০০০ মেট্রিক টন ইলিশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের বঙ্গোপসাগরে ডুবল ইলিশ ভর্তি ট্রলার, প্রাণরক্ষা ১৩ জনের

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক, রায়দিঘি: বঙ্গোপসাগরে ফের ট্রলার ডুবি। তবে প্রাণে রক্ষা পেল রায়দিঘির ১৩ জন মৎস্যজীবী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভাই ভাই নামের একটি ইলিশ ধরার ট্রলার রায়দিঘি থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। শুক্রবার তারা ফিরছিল। জালে উঠেছিল প্রচুর ইলিশ। কিন্তু কে জানতো পথেই তাদের জন্য ওৎ পেতে বসে আছে বিপদ। শুক্রবার দুপুরে জম্বুদ্বীপ থেকে পশ্চিম দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। ফেটে যায় পাটাতন। হু হু করে ঢুকতে থাকে জল। চোখের পলকে ডুবতেও শুরু করে। খুব অল্প সময়েই ট্রলার ভারসাম্য হারিয়ে সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

তবে সৌভাগ্যবশত পাশে থাকা আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার, ‘আব্বা মায়ের দোয়া’ বিপদের সংকেত পেয়ে দ্রুত পৌঁছায় সেখানে। ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা এবং একে একে ১৩ জনকেই নিরাপদে জল থেকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে দ্রুত উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। মৎস্যজীবী শেখ জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘সমুদ্র উত্তাল ছিল, পাঠাতন ছিঁড়ে যাওয়ার পর আমাদের ট্রলারে দ্রুত জল ঢুকতে থাকে। আমরা ওয়্যারলেসে বিপদ সংকেত পাঠাই। ভাগ্য ভালো, পাশে ট্রলার ছিল বলে প্রাণে বেঁচে গেলাম।’ যদিও ‘ভাই ভাই’ ট্রলারটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রে ডুবে গিয়েছে। তবু ১৩টি প্রাণ ফিরে আসায় এলাকায় এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে কীভাবে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বাংলায় আসছে ৩০০০ মেট্রিক টন ইলিশ