১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রায়দান স্থগিত রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ

এসএসসির নুতন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুনানি শেষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, সোমবার
  • / 344

মোল্লা জসিমউদ্দিন: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে একাধিক মামলা দাখিল হয়েছে । অতি সম্প্রতি ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না’ বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার বাকি মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়ার পর ২০২৫ সালে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু নতুন নিয়ম সংযোজিত হয়েছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, -’শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হবে’। ২০১৬-র প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের দাবি, -’এ ক্ষেত্রে তারা ওই নম্বর পাবেন না, ফলে শুরু থেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা’। এছাড়াও মামলাকারীদের প্রশ্ন, -’২০২৫-এ নতুন রুল তৈরি করা হল কেন?’সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, -’ নতুন রুল জারি করা যাবে না, এ কথা বলেনি শীর্ষ আদালত’।

আরও পড়ুন: হাইকোর্ট – সুপ্রিম কোর্ট একযোগে এসএসসি পরীক্ষায় দাগিদের আবেদন খারিজ করলো

 

আরও পড়ুন: ২০ হাজার আবেদনপত্র বাদ পড়ল এসএসসিতে

রাজ্য আরও জানিয়েছে, -’সরকার শূন্যপদের হিসেব রাখতে থাকে, শেষ পর্যন্ত যখন নিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সব শূন্যপদ একসঙ্গে করে ঘোষণা করা হয়। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের আছে’।এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, -’২০১৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত নানা আইনি জটিলতায় অনেক যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি, ফলে তাদেরকেও সেই সুযোগ দিতে হবে ‘।

 

কমিশনের স্পষ্ট দাবি, -’সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই নিয়োগ হলেও ২০১৬ সালের রুল সংশোধন না করলে সেটা সম্ভব নয়। তাই নতুন করে রুল তৈরি করা হয়েছে’।কমিশনের আইনজীবী বলেন, তযারা ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে ছিল, তারা এত বছরেও চাকরিতে ঢুকতে পারেনি, তাদের ডাক আসেনি। তাহলে কোন যুক্তিতে ধরব যে তারা যোগ্য প্রার্থী? কোনও কোর্টের কোনও নির্দেশে ২০১৬ সালের রুল ধরে নিয়োগ করতে হবে বলেনি। অন্য কোনও স্কুল থেকে বা বেসরকারি স্কুল থেকে কেউ এসএসসি তে আবেদন করলে, তিনি পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়েই আসছেন, তাই তিনি ওই অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাওয়ার উপযোগী। কমিশনের অধিকার আছে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ করার।

 

নতুনদের জায়গা দিতে হবে তো!’রাজ্য জানিয়েছে, -’কমিশনের কাছে বর্তমানে তিনটি বিধি আছে। ২০১৬ সালের বিধি, ২০১৯ সালের বিধি এবং ২০২৫ সালের বিধি। যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হোক না কেন, সেটা পড়ুয়াদের ভালর কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে। ফলে, কমিশন যদি পড়ুয়াদের ভালর জন্য ২০২৫ সালের বিধিকে উপযুক্ত বলে মনে করে, তাহলে কোনও চাকরিপ্রার্থী সেটাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না’।

 

এদিকে, মামলাাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, -’আসলে আযোগ্যদের ফের সুযোগ করে দিতে নতুন করে রুল তৈরি করে পড়ানোর পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর করে পাইয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে’।স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলার শুনানি সোমবার শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

 

বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল। সোমবারের শুনানিপর্বে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত।এসএসসির পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মামলাকারী আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অনিন্দ্য মিত্র।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রায়দান স্থগিত রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ

এসএসসির নুতন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুনানি শেষ

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, সোমবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে একাধিক মামলা দাখিল হয়েছে । অতি সম্প্রতি ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না’ বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার বাকি মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়ার পর ২০২৫ সালে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু নতুন নিয়ম সংযোজিত হয়েছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, -’শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হবে’। ২০১৬-র প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের দাবি, -’এ ক্ষেত্রে তারা ওই নম্বর পাবেন না, ফলে শুরু থেকেই পিছিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা’। এছাড়াও মামলাকারীদের প্রশ্ন, -’২০২৫-এ নতুন রুল তৈরি করা হল কেন?’সোমবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, -’ নতুন রুল জারি করা যাবে না, এ কথা বলেনি শীর্ষ আদালত’।

আরও পড়ুন: হাইকোর্ট – সুপ্রিম কোর্ট একযোগে এসএসসি পরীক্ষায় দাগিদের আবেদন খারিজ করলো

 

আরও পড়ুন: ২০ হাজার আবেদনপত্র বাদ পড়ল এসএসসিতে

রাজ্য আরও জানিয়েছে, -’সরকার শূন্যপদের হিসেব রাখতে থাকে, শেষ পর্যন্ত যখন নিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সব শূন্যপদ একসঙ্গে করে ঘোষণা করা হয়। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের আছে’।এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, -’২০১৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত নানা আইনি জটিলতায় অনেক যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি, ফলে তাদেরকেও সেই সুযোগ দিতে হবে ‘।

 

কমিশনের স্পষ্ট দাবি, -’সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই নিয়োগ হলেও ২০১৬ সালের রুল সংশোধন না করলে সেটা সম্ভব নয়। তাই নতুন করে রুল তৈরি করা হয়েছে’।কমিশনের আইনজীবী বলেন, তযারা ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে ছিল, তারা এত বছরেও চাকরিতে ঢুকতে পারেনি, তাদের ডাক আসেনি। তাহলে কোন যুক্তিতে ধরব যে তারা যোগ্য প্রার্থী? কোনও কোর্টের কোনও নির্দেশে ২০১৬ সালের রুল ধরে নিয়োগ করতে হবে বলেনি। অন্য কোনও স্কুল থেকে বা বেসরকারি স্কুল থেকে কেউ এসএসসি তে আবেদন করলে, তিনি পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়েই আসছেন, তাই তিনি ওই অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাওয়ার উপযোগী। কমিশনের অধিকার আছে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ করার।

 

নতুনদের জায়গা দিতে হবে তো!’রাজ্য জানিয়েছে, -’কমিশনের কাছে বর্তমানে তিনটি বিধি আছে। ২০১৬ সালের বিধি, ২০১৯ সালের বিধি এবং ২০২৫ সালের বিধি। যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করা হোক না কেন, সেটা পড়ুয়াদের ভালর কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে। ফলে, কমিশন যদি পড়ুয়াদের ভালর জন্য ২০২৫ সালের বিধিকে উপযুক্ত বলে মনে করে, তাহলে কোনও চাকরিপ্রার্থী সেটাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না’।

 

এদিকে, মামলাাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, -’আসলে আযোগ্যদের ফের সুযোগ করে দিতে নতুন করে রুল তৈরি করে পড়ানোর পূর্ব অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর করে পাইয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে’।স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলার শুনানি সোমবার শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

 

বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল। সোমবারের শুনানিপর্বে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত।এসএসসির পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মামলাকারী আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অনিন্দ্য মিত্র।