০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতা SSKM হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আগুন

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আচমকাই আগুন লাগায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জরুরি বিভাগে ডিসপ্লে বোর্ড ধরাশায়ী হয় আগুনে, পরেই ব্যাপক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।

 

রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; অনেকেই দ্রুত নিজেই উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে অবতরণের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে আগুন

 

আরও পড়ুন: পোদ্দার কোর্টের দোকানে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন

হাসপাতালের নিজস্ব ফায়ার ব্রিগেড সাথে কলকাতা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পীর কেবিনে বসে সময় কাটালেন মমতা

 

আগুন ব্যাপকহারে ছড়াতে পারার আগেই আগুন নির্বীজন করা হয়।

 

আগুন লাগার পর ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে দড়ি দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়, কোনো কোন রোগী বা ব্যক্তি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

 

জরুরি বিভাগের সেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও, রোগীরা সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দ্রুত পুনরায় চালু করা হয়।

 

SSKM/IPGMER হাসপাতাল কলকাতার সবচেয়ে পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে অতীতে 2016 ও 2022 সালে আগুন লেগে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল চেষ্টার প্রয়োজন হয়েছিল ।

 

২০২২ সালের আগুন মূলত CT‑স্ক্যান ও এক্স‑রে বিভাগে শুরু হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ শর্ট‑সার্কিট এর সম্ভাবনাও তত্ত্ব বহন করে ।

 

কোনও আঘাত অথবা মৃত্যু হয়নি — রোগী ও কর্মীরা নিরাপদে সরিয়ে আনা হয় এবং কোনো অসুস্থতা বা গুরুতর পরিস্থিতির শিকার হয়নি।

 

আগুন থাকার পরও জরুরি বিভাগ এক ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় সচল করা হয়, রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

 

আগামিতে 24×7 থাকা ফায়ার টেন্ডার, ফায়ার অডিট, এবং নিয়মিত অনিদান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার অংশ হবে — যা পূর্ববর্তী ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

 

দ্রুত নিয়ন্ত্রণ, রোগীদের ক্ষতি থেকে রক্ষা, কার্যকর উদ্ধার কার্যক্রম — এই ঘটনায় SSKM‑এর তৎপরতা প্রশংসনীয়।

 

ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি রোধে আরও শক্তিশালী আগুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশনা প্রয়োজন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতা SSKM হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আগুন

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আচমকাই আগুন লাগায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের মধ্যে। জরুরি বিভাগে ডিসপ্লে বোর্ড ধরাশায়ী হয় আগুনে, পরেই ব্যাপক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।

 

রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; অনেকেই দ্রুত নিজেই উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে অবতরণের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে আগুন

 

আরও পড়ুন: পোদ্দার কোর্টের দোকানে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন

হাসপাতালের নিজস্ব ফায়ার ব্রিগেড সাথে কলকাতা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পীর কেবিনে বসে সময় কাটালেন মমতা

 

আগুন ব্যাপকহারে ছড়াতে পারার আগেই আগুন নির্বীজন করা হয়।

 

আগুন লাগার পর ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের বাইরে দড়ি দিয়ে এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়, কোনো কোন রোগী বা ব্যক্তি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

 

জরুরি বিভাগের সেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও, রোগীরা সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দ্রুত পুনরায় চালু করা হয়।

 

SSKM/IPGMER হাসপাতাল কলকাতার সবচেয়ে পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে অতীতে 2016 ও 2022 সালে আগুন লেগে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল চেষ্টার প্রয়োজন হয়েছিল ।

 

২০২২ সালের আগুন মূলত CT‑স্ক্যান ও এক্স‑রে বিভাগে শুরু হয়েছিল এবং বিদ্যুৎ শর্ট‑সার্কিট এর সম্ভাবনাও তত্ত্ব বহন করে ।

 

কোনও আঘাত অথবা মৃত্যু হয়নি — রোগী ও কর্মীরা নিরাপদে সরিয়ে আনা হয় এবং কোনো অসুস্থতা বা গুরুতর পরিস্থিতির শিকার হয়নি।

 

আগুন থাকার পরও জরুরি বিভাগ এক ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় সচল করা হয়, রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

 

আগামিতে 24×7 থাকা ফায়ার টেন্ডার, ফায়ার অডিট, এবং নিয়মিত অনিদান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার অংশ হবে — যা পূর্ববর্তী ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

 

দ্রুত নিয়ন্ত্রণ, রোগীদের ক্ষতি থেকে রক্ষা, কার্যকর উদ্ধার কার্যক্রম — এই ঘটনায় SSKM‑এর তৎপরতা প্রশংসনীয়।

 

ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি রোধে আরও শক্তিশালী আগুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশনা প্রয়োজন।