উৎসব শেষে রুফটপ রেস্তরাঁ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ: রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা শুরু করছে নবান্ন

- আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
- / 59
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে উৎসবের মরশুম শেষ হতেই এবার রুফটপ রেস্তরাঁগুলির নিরাপত্তা ও নিয়মবিধি মানার বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত এসওপি বা নির্দেশিকা জারির প্রায় তিন মাস পর, এবার সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ শুরু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য জুড়ে পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে সমীক্ষা শুরু করবে। আগামী সপ্তাহেই নবান্নের সঙ্গে আলোচনা করে জেলাগুলির থেকে ছাদ রেস্তরাঁর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ইতিমধ্যেই কালীপুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষে সল্টলেক পুর এলাকায় রুফটপ রেস্তোরাঁ খোলার সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে জানা যায়, নিউটাউন, রাজারহাট, সল্টলেক, লেকটাউন এলাকায় অধিকাংশ বহুতলের ছাদে রেস্তরাঁ চলে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে এই তথ্য পাওয়ার পর পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর বিধাননগর কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানায়। এরপরেই নিরাপত্তার স্বার্থে ১৯-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত সন্ধ্যা ছ’টার পর কোনও রুফটপ রেস্তরাঁ খোলা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘প্রথম দফায় সাতটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং কয়েকটি জেলাকে আওতায় আনা হবে। ক্রমশ রাজ্যের সব পুর ও পঞ্চায়েত এলাকায় এই নিয়ম বলবৎ হবে।’ ওই আধিকারিক আরও জানান, কলকাতার ৮২টি রুফটপ রেস্তরাঁর মধ্যে মাত্র ২১টি মুচলেকা দিয়ে তিন মাসের জন্য খুলেছিল। বাকিগুলির বর্তমান অবস্থা জানতে আগামী সপ্তাহে পুর লাইসেন্স, দমকল এবং কলকাতা পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানা পথে নামবে। রাজ্য সরকারের এসওপি না মানা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে বিধাননগর, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি পুরসভার থেকেও ছবি-সহ তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও দমকলের দপ্তরে জমা দিতে হবে।
🔴জেলাগুলিতে পাঠানো এসওপিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
🔴কোনও ছাদ রেস্তরাঁয় আগুন জ্বালানো যাবে না।
🔴ছাদ খোলা রাখতে হবে।
🔴ছাদের সিঁড়িতে কোনও গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যাবে না।
🔴ছাদের দরজা সব সময় খোলা রাখতে হবে।
🔴অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলে যাতে অন্য সিঁড়ি বা ছাদের বাইরে থেকে মই দিয়ে আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ও সময় দেওয়া হবে।
🔴রাজ্য প্রশাসন চাইছে জানুয়ারির আগেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে।
নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্তার কথায়, বর্তমানে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে এবং পঞ্চায়েত এলাকায়ও হোটেল, রেস্তরাঁ তৈরি হচ্ছে। তাই সব জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এইসব নিরাপত্তা ও নিয়ম মানার পরই পুরসভা বা পঞ্চায়েত লাইসেন্স দেবে। পাশাপাশি চলবে সারপ্রাইজ ভিজিটও। কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, লাইসেন্স নেওয়ার পর সরকারি নিয়ম লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যায়। তাই ন্যূনতম বিচ্যুতি দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।