১১ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একঘেয়েমি কর্মজীবনের মুক্তি দেবে নিউ টাউনের ‘ওয়ার্কিং পড’

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 58

ফারুক আলমঃ করোনার গেরোয় এখনও চলছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম! একঘেয়েমি কাজে ঘরে দমবন্ধ হয়ে আসছে? মহানন্দে কাজ করতে ব্যাগে অফিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। বাড়িতে একঘেয়েমি কর্মজীবনের বিকল্প পথ দেখাচ্ছে নিউ টাউন কর্তৃপক্ষ হিডকো। উপনগরী শহরে রাস্তার ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ‘ওয়ার্কিং পড’।  কি এই ওয়ার্কিং পড?

 

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে নিউ টাউনে এবার ৫.৯৭ একর জমি নিলাম করবে রাজ্য সরকার

হিডকো সূত্রে খবর– এটি হলুদ রঙের বিশেষ মনোরম একটি ঘর। যেখানে ঠান্ডা ঘরে বসে অফিসের কাজ করার পাশাপাশি রয়েছে বই পড়ার সুযোগ। থাকছে– বসার ডেস্ক– ওয়াই-ফাই– সিসিক্যামেরা– বাথরুম– মোবাইল-ল্যাপটপের চাজিং পয়েন্টের বন্দোবস্ত। সেই সঙ্গে মিলবে স্বল্প খরচে দরকারি নথিপত্র প্রিন্ট নেওয়া– চা– কফি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। এখানে বসেই করা যাবে অফিসের কাজ। তবে– এই শীতের মরশুমে কেউ চাইলে পডের বাইরের খোলা আকাশের নিচে রোদ পোহাতে পোহাতেও অফিসের কাজ সারতে পারবেন। পডে বসে কাজের জন্য একটি ভাড়া ঠিক করেছে হিডকো। প্রথম ৯০ মিনিটের জন্য ৩০ টাকা ভাড়া ধার্য হয়েছে। এর পরের প্রতি ঘন্টার জন্য গুনতে হবে মাত্র ২০ টাকা। সেই সঙ্গে ওয়ার্কিং পডে রয়েছে পৃথক কনফারেন্স রুম। ওই রুমের বিরাট আকারের টেবিলে বসে সারা যাবে বৈঠক– মিটিং। এক্ষেত্রে কনফারেন্স রুমের ভাড়া ঘন্টায় ২০০ টাকা। পডগুলি পরিচালনের দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: ফার্মাথন ২০২৫ শিরোনামে ম্যারাথন দৌড়

 

আরও পড়ুন: দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে পাইপে রান্নার গ্যাস, আশ্বাস গেইল-এর

বিষয়টি নিয়ে হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন জানান– ইদানীং বাড়িতে থেকে কাজ করার একটা পন্থা চালু হয়েছে। ঘরের সেই একঘেয়েমি কাটানোর বিকল্প ব্যবস্থাই এই পড। যা অল্প সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 

হিডকো সংস্থা সূত্রে খবর– নিউ টাউন উপনগরীতে তিনটি জায়াগায় এই ওয়ার্কিং পড তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে নজরুল তীর্থের উল্টোদিকে এই পডের পথ চলা শুরু হয়েছিল। যার সূচনা হয়েছিল রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে।

হাল-আমলে আরও দু’টি ওয়ার্কিং পড চালু হয়েছে। একটি হল ইকোপার্কের সপ্তম আশ্চর্যের বিপরীতে। অপরটি বিশ্ববাংলা গেটের অদূরে সংকল্প ২-এর কাছে।

প্রসঙ্গত– বিদেশের অনেক জায়গায় রাস্তার ধারে এধরনের পড দেখা যায়। সেই ভাবনায় এবার এরাজ্যেও গড়ে উঠেছে ওয়ার্কিং পড।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

একঘেয়েমি কর্মজীবনের মুক্তি দেবে নিউ টাউনের ‘ওয়ার্কিং পড’

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

ফারুক আলমঃ করোনার গেরোয় এখনও চলছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম! একঘেয়েমি কাজে ঘরে দমবন্ধ হয়ে আসছে? মহানন্দে কাজ করতে ব্যাগে অফিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। বাড়িতে একঘেয়েমি কর্মজীবনের বিকল্প পথ দেখাচ্ছে নিউ টাউন কর্তৃপক্ষ হিডকো। উপনগরী শহরে রাস্তার ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ‘ওয়ার্কিং পড’।  কি এই ওয়ার্কিং পড?

 

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়তে নিউ টাউনে এবার ৫.৯৭ একর জমি নিলাম করবে রাজ্য সরকার

হিডকো সূত্রে খবর– এটি হলুদ রঙের বিশেষ মনোরম একটি ঘর। যেখানে ঠান্ডা ঘরে বসে অফিসের কাজ করার পাশাপাশি রয়েছে বই পড়ার সুযোগ। থাকছে– বসার ডেস্ক– ওয়াই-ফাই– সিসিক্যামেরা– বাথরুম– মোবাইল-ল্যাপটপের চাজিং পয়েন্টের বন্দোবস্ত। সেই সঙ্গে মিলবে স্বল্প খরচে দরকারি নথিপত্র প্রিন্ট নেওয়া– চা– কফি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। এখানে বসেই করা যাবে অফিসের কাজ। তবে– এই শীতের মরশুমে কেউ চাইলে পডের বাইরের খোলা আকাশের নিচে রোদ পোহাতে পোহাতেও অফিসের কাজ সারতে পারবেন। পডে বসে কাজের জন্য একটি ভাড়া ঠিক করেছে হিডকো। প্রথম ৯০ মিনিটের জন্য ৩০ টাকা ভাড়া ধার্য হয়েছে। এর পরের প্রতি ঘন্টার জন্য গুনতে হবে মাত্র ২০ টাকা। সেই সঙ্গে ওয়ার্কিং পডে রয়েছে পৃথক কনফারেন্স রুম। ওই রুমের বিরাট আকারের টেবিলে বসে সারা যাবে বৈঠক– মিটিং। এক্ষেত্রে কনফারেন্স রুমের ভাড়া ঘন্টায় ২০০ টাকা। পডগুলি পরিচালনের দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: ফার্মাথন ২০২৫ শিরোনামে ম্যারাথন দৌড়

 

আরও পড়ুন: দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে পাইপে রান্নার গ্যাস, আশ্বাস গেইল-এর

বিষয়টি নিয়ে হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন জানান– ইদানীং বাড়িতে থেকে কাজ করার একটা পন্থা চালু হয়েছে। ঘরের সেই একঘেয়েমি কাটানোর বিকল্প ব্যবস্থাই এই পড। যা অল্প সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 

হিডকো সংস্থা সূত্রে খবর– নিউ টাউন উপনগরীতে তিনটি জায়াগায় এই ওয়ার্কিং পড তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে নজরুল তীর্থের উল্টোদিকে এই পডের পথ চলা শুরু হয়েছিল। যার সূচনা হয়েছিল রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে।

হাল-আমলে আরও দু’টি ওয়ার্কিং পড চালু হয়েছে। একটি হল ইকোপার্কের সপ্তম আশ্চর্যের বিপরীতে। অপরটি বিশ্ববাংলা গেটের অদূরে সংকল্প ২-এর কাছে।

প্রসঙ্গত– বিদেশের অনেক জায়গায় রাস্তার ধারে এধরনের পড দেখা যায়। সেই ভাবনায় এবার এরাজ্যেও গড়ে উঠেছে ওয়ার্কিং পড।