০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসি গ্রুপসি তদন্তও গ্রুপ-ডি কমিটির হাতেই, সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 36

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির নানান নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার গ্রুপ সি মামলায় তদন্ত কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। সেই কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

গ্রুপ সি দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: এসএসসি ২০২৫ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা চাকরিহারা শিক্ষকদের

প্রসঙ্গত এই কমিটিই গ্রুপ ডি মামলার তদন্ত করেছিল। বৃহস্পতিবার আদালত এক পর্যবেক্ষণে বলেছে কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। যে আইন ভাঙবে তাকে শাস্তি পেতে হবে বৃহত্তর স্বার্থে।

আরও পড়ুন: এসএসসি: আজ থেকে পরীক্ষার আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু

জানা গিয়েছে, এসএসসির তরফে দাবি করা হয় তারা কোনও রেকমেন্ড করেনি। তবে কারা নিয়োগ করল? সেই প্রশ্ন থাকছেই।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও একটা দুর্নীতি হয়েছে ঠিকই।  সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের প্রয়োজন আছে।

এর জন্য আদালতের প্রথম পছন্দ স্বাধীন সংস্থা। আদালত এমন কাউকে কমিটির প্রধান করছে যিনি রাজ্যের সঙ্গে কোনও কাজে যুক্ত নন। স্থগিতাদেশ থাকছে সিবিআই তদন্তের উপর। আর কে বাগের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কে বাগ পাবেঅ, এক লক্ষ টাকা বেতন।

এ দিন শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণত অর্থ দফতর বেতন দেওয়ার আগে অনেক স্ক্রুটিনি করে। রাজ্যের কোষাগারের টাকা দেওয়ার আগে কেন সেটা করা হয়নি। অর্থাৎ রাজ্য সব জানত। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ভাঙার দরকার আছে। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, আমরা কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের তরফে কিছু বলতে আসছি না। পালটা সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এটা তো আরও ভালো রাজ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কিছু বলতে চাইছে না। বলছে সিবিআই দিয়ে তদন্তের করাবে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে গ্রুপ সিতেও দুর্নীতি হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে গ্রুপ- ডির অনুসন্ধান কমিটির হাতেই দেওয়া হচ্চে তদন্তভার।

উল্লেখ্য এসএসসির গ্রুপ-ডির মতো গ্রুপ সিতেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৩৫০ জন গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ ঘিরেই যত শোরগোল। ওই সাড়ে তিনশোজনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সিবিআই অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেন। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধ করার কথাও বলেন বিচারপতি। এরপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। তারা স্থগিতাদেশ দেন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে। তারপর বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আদালত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এসএসসি গ্রুপসি তদন্তও গ্রুপ-ডি কমিটির হাতেই, সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির নানান নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার গ্রুপ সি মামলায় তদন্ত কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। সেই কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

গ্রুপ সি দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: এসএসসি ২০২৫ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা চাকরিহারা শিক্ষকদের

প্রসঙ্গত এই কমিটিই গ্রুপ ডি মামলার তদন্ত করেছিল। বৃহস্পতিবার আদালত এক পর্যবেক্ষণে বলেছে কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। যে আইন ভাঙবে তাকে শাস্তি পেতে হবে বৃহত্তর স্বার্থে।

আরও পড়ুন: এসএসসি: আজ থেকে পরীক্ষার আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু

জানা গিয়েছে, এসএসসির তরফে দাবি করা হয় তারা কোনও রেকমেন্ড করেনি। তবে কারা নিয়োগ করল? সেই প্রশ্ন থাকছেই।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও একটা দুর্নীতি হয়েছে ঠিকই।  সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের প্রয়োজন আছে।

এর জন্য আদালতের প্রথম পছন্দ স্বাধীন সংস্থা। আদালত এমন কাউকে কমিটির প্রধান করছে যিনি রাজ্যের সঙ্গে কোনও কাজে যুক্ত নন। স্থগিতাদেশ থাকছে সিবিআই তদন্তের উপর। আর কে বাগের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কে বাগ পাবেঅ, এক লক্ষ টাকা বেতন।

এ দিন শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণত অর্থ দফতর বেতন দেওয়ার আগে অনেক স্ক্রুটিনি করে। রাজ্যের কোষাগারের টাকা দেওয়ার আগে কেন সেটা করা হয়নি। অর্থাৎ রাজ্য সব জানত। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ভাঙার দরকার আছে। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, আমরা কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের তরফে কিছু বলতে আসছি না। পালটা সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এটা তো আরও ভালো রাজ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কিছু বলতে চাইছে না। বলছে সিবিআই দিয়ে তদন্তের করাবে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে গ্রুপ সিতেও দুর্নীতি হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে গ্রুপ- ডির অনুসন্ধান কমিটির হাতেই দেওয়া হচ্চে তদন্তভার।

উল্লেখ্য এসএসসির গ্রুপ-ডির মতো গ্রুপ সিতেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৩৫০ জন গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ ঘিরেই যত শোরগোল। ওই সাড়ে তিনশোজনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সিবিআই অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেন। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধ করার কথাও বলেন বিচারপতি। এরপরই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। তারা স্থগিতাদেশ দেন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে। তারপর বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আদালত।