২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা’ প্রসঙ্গে, বিতর্কে সামাল দিতে আসরে প্রধানমন্ত্রী, বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন, বিজেপি কর্মীদের বার্তা মোদির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ মে ২০২২, শনিবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দিভাষা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষের মাঝে এবার বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্যত বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার একটি বিশেষ বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, নাগরিকদের সতর্ক করুন’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমরা প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু ভাষা নিয়ে যে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে তা বন্ধ হওয়া দরকার। শুক্রবার জয়পুরে বিজেপি কর্মীদের এই ভাবেই বার্তা দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

সম্প্রতি হিন্দিভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই অন্যান্য রাজ্য সরব হয় এই প্রসঙ্গের বিরুদ্ধে। বিজেপি দলের অন্দরেও এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

সম্প্রতি দেশজুড়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে উত্তপ্ত পরিবেশ। এই নিয়ে রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতে সবাই একযোগে সোচ্চার হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ,  দেশের বৈচিত্রে আঘাত হেনে আরএসএস-এর ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান’ নীতি কার্যকর করে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তার মাঝেই দেশের মানুষের ঘাড়ে আঞ্চলিকভাষাগুলিকে প্রাধান্য না দিয়ে হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রবণতা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ

দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার বিরোধিতায় আসরে নামেন দক্ষিণের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান।

আরও পড়ুন: ভোটদানের পর মধ্যমা প্রদর্শন! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বিতর্কে বিজেপি প্রার্থী

বিতর্কে শামিল হয়ে ‘মক্ষি’ খ্যাত কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপ বলেন, হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নয়। তার পালটা যুক্তিতে নামেন বলিউড তারকা অজয় দেবগণ। সেই বিতর্ক আরও উসকে সুদীপকে সমর্থন করে এগিয়ে আসেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

এদিকে বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। সবই বিরোধীদের চক্রান্ত।

গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে   নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষাগুলি গুরুত্বের উপর জোর দেন। তার পরেই বিরোধীদের বক্তব্য ছিল যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অযথা বিভ্রান্তি বাড়ানো হচ্ছে কেন?

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা’ প্রসঙ্গে, বিতর্কে সামাল দিতে আসরে প্রধানমন্ত্রী, বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন, বিজেপি কর্মীদের বার্তা মোদির

আপডেট : ২১ মে ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হিন্দিভাষা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষের মাঝে এবার বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কার্যত বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার একটি বিশেষ বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, নাগরিকদের সতর্ক করুন’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমরা প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু ভাষা নিয়ে যে সংঘাত তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে তা বন্ধ হওয়া দরকার। শুক্রবার জয়পুরে বিজেপি কর্মীদের এই ভাবেই বার্তা দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

সম্প্রতি হিন্দিভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সোচ্চার হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই অন্যান্য রাজ্য সরব হয় এই প্রসঙ্গের বিরুদ্ধে। বিজেপি দলের অন্দরেও এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

সম্প্রতি দেশজুড়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে উত্তপ্ত পরিবেশ। এই নিয়ে রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতে সবাই একযোগে সোচ্চার হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ,  দেশের বৈচিত্রে আঘাত হেনে আরএসএস-এর ‘হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান’ নীতি কার্যকর করে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তার মাঝেই দেশের মানুষের ঘাড়ে আঞ্চলিকভাষাগুলিকে প্রাধান্য না দিয়ে হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রবণতা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ

দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার বিরোধিতায় আসরে নামেন দক্ষিণের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান।

আরও পড়ুন: ভোটদানের পর মধ্যমা প্রদর্শন! কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বিতর্কে বিজেপি প্রার্থী

বিতর্কে শামিল হয়ে ‘মক্ষি’ খ্যাত কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপ বলেন, হিন্দি আর রাষ্ট্রভাষা নয়। তার পালটা যুক্তিতে নামেন বলিউড তারকা অজয় দেবগণ। সেই বিতর্ক আরও উসকে সুদীপকে সমর্থন করে এগিয়ে আসেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

এদিকে বিজেপির দাবি, হিন্দি নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। সবই বিরোধীদের চক্রান্ত।

গত এপ্রিল মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে   নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষাগুলি গুরুত্বের উপর জোর দেন। তার পরেই বিরোধীদের বক্তব্য ছিল যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অযথা বিভ্রান্তি বাড়ানো হচ্ছে কেন?