০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তাব গৃহীত রাষ্ট্রসংঘে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জুলাই ২০২২, শনিবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাইছে রাষ্ট্রসংঘ। চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেনেভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

 

স্থায়ী মিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক জোট ওআইসির পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মায়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।

 

এছাড়া রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। স্থায়ী মিশন জানায়, গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তাব গৃহীত রাষ্ট্রসংঘে

আপডেট : ৯ জুলাই ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাইছে রাষ্ট্রসংঘ। চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেনেভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন।

 

স্থায়ী মিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক জোট ওআইসির পক্ষ থেকে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মায়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।

 

এছাড়া রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। স্থায়ী মিশন জানায়, গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সব ধরনের নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়।