২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্যুইটার ব্যবহার করায় ৩৪ বছরের জেল সউদি নারীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট  থেকে ভিন্নমতালম্বী ও অ্যাক্টিভিস্টদের অনুসরণ করার দায়ে এক নারীকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিল সউদি আরবের এক আদালত। ব্রিটেনের লিডস ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্রী নিজ দেশ সউদিতে ফেরার পরই গ্রেফতার হন। সালমা আল-সেহাব (৩৪) নামের ওই নারী বর্তমানে দুই সন্তানে মা।

 

আরও পড়ুন: চরম গরমে হেরা গুহা যাওয়ার সময় কমাল সউদি

ইন্টারনেট ব্যবহার করে ‘মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি এবং নাগরিক ও জাতীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নের কারণ’ হওয়ার জন্য তাকে প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।তবে গত সোমবার একটি আপিল আদালত তাকে নতুন করে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই সাজা শেষ হলে তার ওপর আরও ৩৪ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

আরও পড়ুন: এক্স বিক্রি করলেন ইলন মাস্ক!

 

আরও পড়ুন: ৪০-এর রোনাল্ডোর সঙ্গে নতুন চুক্তি আল নাসরের

উল্লেখ্য, সউদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কথা বললেই তাদের ওপর নেমে আসে শাস্তি। এ নিয়ে বহু ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ আরও অন্যান্য পেশার মানুষ কঠোর সাজার মুখোমুখি হয়েছেন। কথা বলার অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সমলোচিত হয়েছে সউদি আরব।

 

জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা আল-সেহাব নিজে কোনও মানবাধিকারকর্মী নন। ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৫৯।  ট্যুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ৫৯৭। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যুইটারে তিনি নিজের সন্তানদের ছবি প্রকাশ করেছেন।

 

মাঝে মাঝে রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়ে নির্বাসিত সউদি অ্যাক্টিভিস্টদের ট্যুইট শেয়ার করেছেন তিনি। আর এ কারণেই সউদির চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। নির্বাসনে থাকা সউদি অ্যাক্টিভিস্ট খালিদ আল-জাবরি বলেন, সালমা আল-সেহাবের মামলায় প্রমাণ হয় ভিন্নমতালম্বীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ মনে করে করে সউদি।

 

যুবরাজ সালমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ট্যুইটের জন্য সালমার এই কঠোর সাজা যুবরাজের দমনমূলক নীতির সর্বশেষ বহি:প্রকাশ।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্যুইটার ব্যবহার করায় ৩৪ বছরের জেল সউদি নারীর

আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট  থেকে ভিন্নমতালম্বী ও অ্যাক্টিভিস্টদের অনুসরণ করার দায়ে এক নারীকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিল সউদি আরবের এক আদালত। ব্রিটেনের লিডস ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্রী নিজ দেশ সউদিতে ফেরার পরই গ্রেফতার হন। সালমা আল-সেহাব (৩৪) নামের ওই নারী বর্তমানে দুই সন্তানে মা।

 

আরও পড়ুন: চরম গরমে হেরা গুহা যাওয়ার সময় কমাল সউদি

ইন্টারনেট ব্যবহার করে ‘মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি এবং নাগরিক ও জাতীয় শৃঙ্খলা বিঘ্নের কারণ’ হওয়ার জন্য তাকে প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।তবে গত সোমবার একটি আপিল আদালত তাকে নতুন করে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই সাজা শেষ হলে তার ওপর আরও ৩৪ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

আরও পড়ুন: এক্স বিক্রি করলেন ইলন মাস্ক!

 

আরও পড়ুন: ৪০-এর রোনাল্ডোর সঙ্গে নতুন চুক্তি আল নাসরের

উল্লেখ্য, সউদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কথা বললেই তাদের ওপর নেমে আসে শাস্তি। এ নিয়ে বহু ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ আরও অন্যান্য পেশার মানুষ কঠোর সাজার মুখোমুখি হয়েছেন। কথা বলার অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সমলোচিত হয়েছে সউদি আরব।

 

জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা আল-সেহাব নিজে কোনও মানবাধিকারকর্মী নন। ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৫৯।  ট্যুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ৫৯৭। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যুইটারে তিনি নিজের সন্তানদের ছবি প্রকাশ করেছেন।

 

মাঝে মাঝে রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়ে নির্বাসিত সউদি অ্যাক্টিভিস্টদের ট্যুইট শেয়ার করেছেন তিনি। আর এ কারণেই সউদির চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি। নির্বাসনে থাকা সউদি অ্যাক্টিভিস্ট খালিদ আল-জাবরি বলেন, সালমা আল-সেহাবের মামলায় প্রমাণ হয় ভিন্নমতালম্বীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ মনে করে করে সউদি।

 

যুবরাজ সালমানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ট্যুইটের জন্য সালমার এই কঠোর সাজা যুবরাজের দমনমূলক নীতির সর্বশেষ বহি:প্রকাশ।’