১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহার বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন আরজেডি-এর অবোধ বিহারী চৌধুরী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 91

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রবীণ আরজেডি নেতা অবোধ বিহারী চৌধুরী সর্বসম্মতিক্রমে বিহার বিধানসভার স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয় কুমার সিনহার পদত্যাগের পর পদটি খালি ছিল। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর,গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং শক্তিশালী সাত-দলীয় ক্ষমতাসীন ‘মহাগঠবন্ধন’-এর অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে ভি কে চৌধুরী এদিন তার কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।

যদিও নতুন ক্ষমতাসীন জোট অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরেও পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা।বিহার বিধানসভায় বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে মাথা নত করে, আমি স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করছি’।

আরও পড়ুন: ‘হুজুর, আমরা বেঁচে আছি’ বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়ে আর্তি পাঁচ ‘মৃত’ ভোটারের

হাউসে যখন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তখন বিজয় কুমার সিনহা বলেন, ‘চেয়ার হল ‘পঞ্চ পরমেশ্বর’। চেয়ারে প্রতি সন্দেহ পোষণ করে আপনি কী বার্তা দিতে চান? জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে’।বিহার বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা আরও বলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিহারের এসআইআর মামলা: আজ চূড়ান্ত শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে

শুধু তাই নয়, এদিন পদত্যাগ করার সময় তিনি ডেপুটি স্পিকার মহেশ্বর হাজারির পরিবর্তে অধিবেশনের অন্তর্বর্তী স্পিকার হিসাবে জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা নরেন্দ্র নারায়ণ যাদবকে মনোনীত করে উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন। এবং সরকার তার পছন্দকে উপেক্ষা করে এবং হাজারিকে অধিবেশনের সভাপতিত্বের জন্য বেছে নেয়।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

উল্লেখ্য, সদ্য বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাত ধরে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। এরপরেই দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। সেখানেই বিজেপি নির্বাচিত বিধায়ক ভি কে সিনহাকে বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে অপসারণ করার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহার বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন আরজেডি-এর অবোধ বিহারী চৌধুরী

আপডেট : ২৬ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ প্রবীণ আরজেডি নেতা অবোধ বিহারী চৌধুরী সর্বসম্মতিক্রমে বিহার বিধানসভার স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয় কুমার সিনহার পদত্যাগের পর পদটি খালি ছিল। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর,গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং শক্তিশালী সাত-দলীয় ক্ষমতাসীন ‘মহাগঠবন্ধন’-এর অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে ভি কে চৌধুরী এদিন তার কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।

যদিও নতুন ক্ষমতাসীন জোট অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরেও পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা।বিহার বিধানসভায় বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে মাথা নত করে, আমি স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করছি’।

আরও পড়ুন: ‘হুজুর, আমরা বেঁচে আছি’ বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়ে আর্তি পাঁচ ‘মৃত’ ভোটারের

হাউসে যখন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় তখন বিজয় কুমার সিনহা বলেন, ‘চেয়ার হল ‘পঞ্চ পরমেশ্বর’। চেয়ারে প্রতি সন্দেহ পোষণ করে আপনি কী বার্তা দিতে চান? জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে’।বিহার বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা আরও বলেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তিনি প্রতিশোধ না নিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিহারের এসআইআর মামলা: আজ চূড়ান্ত শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে

শুধু তাই নয়, এদিন পদত্যাগ করার সময় তিনি ডেপুটি স্পিকার মহেশ্বর হাজারির পরিবর্তে অধিবেশনের অন্তর্বর্তী স্পিকার হিসাবে জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা নরেন্দ্র নারায়ণ যাদবকে মনোনীত করে উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন। এবং সরকার তার পছন্দকে উপেক্ষা করে এবং হাজারিকে অধিবেশনের সভাপতিত্বের জন্য বেছে নেয়।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

উল্লেখ্য, সদ্য বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাত ধরে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। এরপরেই দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছিল ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। সেখানেই বিজেপি নির্বাচিত বিধায়ক ভি কে সিনহাকে বিধানসভার স্পিকার পদ থেকে অপসারণ করার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।