২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ ভারতকে নয়া উপহার প্রধানমন্ত্রীর, ফ্ল্যাগ অফ করে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন মোদির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 44

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ ভারতকে এক নয়া উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কর্নাটক থেকে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ট্রেন চেন্নাই,  বেঙ্গালুরু ও মহিশূরকে সংযুক্ত করবে। সেইসঙ্গে তিনি রেলের ‘ভারত গৌরব’ পলিসির আওতায় ভারত গৌরব কাশী দর্শন ট্রেনেরও উদ্বোধন করেন। এবার সহজেই কাশী পৌঁছনো সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তার পথচলা শুরু করল।

আরও পড়ুন: BREAKING, শুভাংশুর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই প্রসঙ্গে বলেছে,  ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার ফলে শিল্পতালুক চেন্নাই ও তথ্য প্রযুক্তি  হাব বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে। খুব সহজেই  ভ্রমণকেন্দ্র মহিশূরে সহজে পৌঁছনো যাবে। ” কেএসআর বেঙ্গালুরু স্টেশন থেকে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখান থেকে ট্রেনটি চেন্নাই গিয়ে পৌঁছবে।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেন্নাই থেকে মহিশূরে যেতে চেয়ার কারের ভাড়া ১২০০ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া ২,২৯৫ টাকা। মহিশূর থেকে চেন্নাইয়ের ভাড়া যথাক্রমে ১,৩৬৫ এবং ২,৪৮৬  টাকা। ট্রেনটি ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিটে ৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে। চেন্নাই ও  মহিশূরের মধ্যে ২টি স্টেশনে থামবে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন শনিবার থেকে এই ট্রেনের সম্পূর্ণ পরিষেবা শুরু হবে। গতিতে চললে মাত্র তিন ঘন্টায় তিন ঘণ্টায় চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছনো সম্ভব।

দক্ষিণ ভারতকে নয়া উপহার প্রধানমন্ত্রীর, ফ্ল্যাগ অফ করে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন মোদির

এই ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। এই ট্রেনে বিশেষ প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেনের প্রতিটি দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলবে এবং বন্ধ হবে। ট্রেনে  জিপিএস ভিত্তিক অডিয়ো ভিজুয়্যাল প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম,  হটস্পট এবং ওয়াইফাই থাকবে। সিট আরামপ্রদ হওয়ায় যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবে।

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন  করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি-কানপুর-এলাহাবাদ-বারণসী রুটে  ওই ট্রেন চালু করা হয়েছিল।

সম্প্রতি হিমাচল  সফরে গিয়ে চতুর্থ বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  তার পরেই দেশবাসীকে খুশির খবর দিয়ে পঞ্চম বন্দে ভারতের সম্ভাব্য সূচনার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মহিশূর থেকে  চেন্নাই অবধি চলবে এই ট্রেনে। এই ট্রেন চালুর হওয়ার পর দুই স্টেশনের মধ্যে  যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। সম্প্রতি তৃতীয় ও চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সূচনা হয় গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ থেকে।

নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলি আগের তুলনায় একটি উন্নত সংস্করণ,  এটি অনেক হালকা এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন। সংঘর্ষ এড়াতে বন্দে ভারত ২.০ ট্রেনে রয়েছে ট্রাফিক অ্যালার্ট অ্যান্ড কোয়ালিশন সতর্কীকরণ সিস্টেম (টিসিএএস)। যার নাম কবচ। এছাড়াও কোচগুলিতে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা আলো, সঙ্গে রয়েছে ব্যাটারি ব্যাক আপ। ট্রেনের বাইরের অংশে চারটি থেকে আটটি ফ্ল্যাটফর্ম-সাইড ক্যামেরা রয়েছে। কোচগুলিতে রয়েছে। যাত্রী-রক্ষী যোগাযোগের সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় ভয়েস রেকর্ডিং প্রযুক্তি।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দক্ষিণ ভারতকে নয়া উপহার প্রধানমন্ত্রীর, ফ্ল্যাগ অফ করে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন মোদির

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ ভারতকে এক নয়া উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কর্নাটক থেকে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ট্রেন চেন্নাই,  বেঙ্গালুরু ও মহিশূরকে সংযুক্ত করবে। সেইসঙ্গে তিনি রেলের ‘ভারত গৌরব’ পলিসির আওতায় ভারত গৌরব কাশী দর্শন ট্রেনেরও উদ্বোধন করেন। এবার সহজেই কাশী পৌঁছনো সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তার পথচলা শুরু করল।

আরও পড়ুন: BREAKING, শুভাংশুর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই প্রসঙ্গে বলেছে,  ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার ফলে শিল্পতালুক চেন্নাই ও তথ্য প্রযুক্তি  হাব বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে। খুব সহজেই  ভ্রমণকেন্দ্র মহিশূরে সহজে পৌঁছনো যাবে। ” কেএসআর বেঙ্গালুরু স্টেশন থেকে ট্রেনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখান থেকে ট্রেনটি চেন্নাই গিয়ে পৌঁছবে।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেন্নাই থেকে মহিশূরে যেতে চেয়ার কারের ভাড়া ১২০০ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া ২,২৯৫ টাকা। মহিশূর থেকে চেন্নাইয়ের ভাড়া যথাক্রমে ১,৩৬৫ এবং ২,৪৮৬  টাকা। ট্রেনটি ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিটে ৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে। চেন্নাই ও  মহিশূরের মধ্যে ২টি স্টেশনে থামবে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন শনিবার থেকে এই ট্রেনের সম্পূর্ণ পরিষেবা শুরু হবে। গতিতে চললে মাত্র তিন ঘন্টায় তিন ঘণ্টায় চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছনো সম্ভব।

দক্ষিণ ভারতকে নয়া উপহার প্রধানমন্ত্রীর, ফ্ল্যাগ অফ করে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন মোদির

এই ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। এই ট্রেনে বিশেষ প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ট্রেনের প্রতিটি দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলবে এবং বন্ধ হবে। ট্রেনে  জিপিএস ভিত্তিক অডিয়ো ভিজুয়্যাল প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম,  হটস্পট এবং ওয়াইফাই থাকবে। সিট আরামপ্রদ হওয়ায় যাত্রীরা উপভোগ করতে পারবে।

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন  করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি-কানপুর-এলাহাবাদ-বারণসী রুটে  ওই ট্রেন চালু করা হয়েছিল।

সম্প্রতি হিমাচল  সফরে গিয়ে চতুর্থ বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  তার পরেই দেশবাসীকে খুশির খবর দিয়ে পঞ্চম বন্দে ভারতের সম্ভাব্য সূচনার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মহিশূর থেকে  চেন্নাই অবধি চলবে এই ট্রেনে। এই ট্রেন চালুর হওয়ার পর দুই স্টেশনের মধ্যে  যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। সম্প্রতি তৃতীয় ও চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সূচনা হয় গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ থেকে।

নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলি আগের তুলনায় একটি উন্নত সংস্করণ,  এটি অনেক হালকা এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন। সংঘর্ষ এড়াতে বন্দে ভারত ২.০ ট্রেনে রয়েছে ট্রাফিক অ্যালার্ট অ্যান্ড কোয়ালিশন সতর্কীকরণ সিস্টেম (টিসিএএস)। যার নাম কবচ। এছাড়াও কোচগুলিতে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা আলো, সঙ্গে রয়েছে ব্যাটারি ব্যাক আপ। ট্রেনের বাইরের অংশে চারটি থেকে আটটি ফ্ল্যাটফর্ম-সাইড ক্যামেরা রয়েছে। কোচগুলিতে রয়েছে। যাত্রী-রক্ষী যোগাযোগের সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় ভয়েস রেকর্ডিং প্রযুক্তি।