২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার শেষ করতে সিবিআইকে বললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 26

পারিজাত মোল্লা:  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কে ক্রমশ বিঁধছে কলকাতা হাইকোর্ট। একাধারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়,  অপরদিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সমালোচিত হচ্ছে সিবিআই। সোমবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টের  ভর্ত্‍সনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকে।

এদিন নবম দশম শ্রেণির  একটি মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু  বলেন,-  ‘যে বা যারা টাকা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের এই ঢিলেঢালা মনোভাব কেন?এই ছ’বছরে তো অনেকে টাকা পাচার করে দিয়েছে।’এদিন সিবিআইয়ের  উদ্দেশে বিচারপতি  বলেন,-  ‘আদালত কে কেন বারবার বলে দিতে হচ্ছে, একে জিজ্ঞাসা করুন, ওকে জিজ্ঞাসা করুন? এটা তো তদন্তকারীদের করার কথা?’ বিচারপতি এ-ও জানতে চান, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে সিবিআই?’

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বিচারপতি জানান , এটা ভাল দেখায় না যে আদালতকে সবটা বলে দিতে হচ্ছে। সিবিআইয়ের জন্যও এটা ভাল বিষয় নয়’।যারা টাকা নিয়েছে, যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতি এও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কিছু সুবিধাভোগী এখনও কেন বাইরে? তাদের কেন হেফাজতে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি?’সোমবার সিবিআইয়ের উদ্দেশে আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, দ্রুত মামলা শেষ করতে হবে। এই মামলা আর ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। মামলা ঝুলে থাকার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে। শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তা জানতে চেয়েছেন তিনি।দুর্নীতি মামলায় অনেক দিন হল তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু এতদিনেও চূড়ান্ত কোনও জায়গায় আসতে পারেনি তারা। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর প্রশ্ন- ‘ যারা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এছাড়া যারা এই ওএমআর সিট বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতির আরও প্রশ্ন, -‘ কেমন করে সিবিআই তদন্ত করবে সেটার উপদেশ কেন আদালতকে বারবার দিতে হবে? এটা ভালো দেখায় না যে বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে যে সিবিআই এবং কমিশন কী ভাবে কাজ করবে’, বলেন বিচারপতি ।নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের প্রকৃতি নিয়েও এদিন বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতি জানান, – যে বা যারা টাকা পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের ঢিলেঢালা মনোভাব! কেন তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কেন করছে না সিবিআই।কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, কিন্তু বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রাখা হয়েছে’। তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার শেষ করতে সিবিআইকে বললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা:  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কে ক্রমশ বিঁধছে কলকাতা হাইকোর্ট। একাধারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়,  অপরদিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সমালোচিত হচ্ছে সিবিআই। সোমবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টের  ভর্ত্‍সনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকে।

এদিন নবম দশম শ্রেণির  একটি মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু  বলেন,-  ‘যে বা যারা টাকা পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের এই ঢিলেঢালা মনোভাব কেন?এই ছ’বছরে তো অনেকে টাকা পাচার করে দিয়েছে।’এদিন সিবিআইয়ের  উদ্দেশে বিচারপতি  বলেন,-  ‘আদালত কে কেন বারবার বলে দিতে হচ্ছে, একে জিজ্ঞাসা করুন, ওকে জিজ্ঞাসা করুন? এটা তো তদন্তকারীদের করার কথা?’ বিচারপতি এ-ও জানতে চান, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে সিবিআই?’

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বিচারপতি জানান , এটা ভাল দেখায় না যে আদালতকে সবটা বলে দিতে হচ্ছে। সিবিআইয়ের জন্যও এটা ভাল বিষয় নয়’।যারা টাকা নিয়েছে, যারা ওএমআর শিট বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতি এও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কিছু সুবিধাভোগী এখনও কেন বাইরে? তাদের কেন হেফাজতে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি?’সোমবার সিবিআইয়ের উদ্দেশে আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, দ্রুত মামলা শেষ করতে হবে। এই মামলা আর ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। মামলা ঝুলে থাকার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে। শূন্য পদ থেকে যাচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তা জানতে চেয়েছেন তিনি।দুর্নীতি মামলায় অনেক দিন হল তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু এতদিনেও চূড়ান্ত কোনও জায়গায় আসতে পারেনি তারা। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর প্রশ্ন- ‘ যারা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এছাড়া যারা এই ওএমআর সিট বিকৃত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতির আরও প্রশ্ন, -‘ কেমন করে সিবিআই তদন্ত করবে সেটার উপদেশ কেন আদালতকে বারবার দিতে হবে? এটা ভালো দেখায় না যে বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে যে সিবিআই এবং কমিশন কী ভাবে কাজ করবে’, বলেন বিচারপতি ।নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের প্রকৃতি নিয়েও এদিন বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আদালত। বিচারপতি জানান, – যে বা যারা টাকা পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের ঢিলেঢালা মনোভাব! কেন তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কেন করছে না সিবিআই।কিছু সুবিধাভোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, কিন্তু বাকি সুবিধাভোগীদের ছেড়ে রাখা হয়েছে’। তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।