১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআইয়ের , ‘মুখ’ পুড়ল হাইকোর্টে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 57

পারিজাত মোল্লা:  নিম্ন আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, প্রতিটি জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক / বিচারপতিরা।

কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সিবিআইকে। মূল সুবিধাভোগীদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না? আর কত দিন লাগবে তদন্ত শেষ করতে?’

আরও পড়ুন: দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে হানা ইডির, তল্লাশি আরও ১০টি জায়গায়

এদিন রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় এই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আব্দুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে  সিবিআই।নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর নিম্ন আদালতে একাধিকবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআইকে একাধিকবার প্রশ্নবাণ ছুড়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: হাইকোর্ট – সুপ্রিম কোর্ট একযোগে এসএসসি পরীক্ষায় দাগিদের আবেদন খারিজ করলো

এবার হাইকোর্টে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  অভিযুক্ত আবদুল খালেকের জামিনের মামলার শুনানি চলে  বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেই শুনানিতে এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, -‘যে বা যারা এইসব বেআইনি নিয়োগের মামলায় মূল সুবিধাভোগী, তাঁরা কি গ্রেফতার হয়েছেন?’

আরও পড়ুন: ICDS সুপারভাইজার নিয়োগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন, -‘ সিবিআই এতদিন তদন্ত করছে, তাহলে মূল সুবিধাভোগীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি?’ আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে অভিযোগ করেন, -‘ আবদুল খালেকের নাম এফআইআর বা চার্জশিটে নেই। অথচ তাঁকে ৭৬ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মূল ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।

‘এরপরই তিনি আবদুল খালেককে আটকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি সিবিআইয়ের থেকে জানতে চান, ‘ধৃত অভিযুক্তর থেকে কী কী তথ্য নথি পাওয়া গেছে? ‘কতদিন সময় লাগবে এই তদন্ত শেষ করতে? ধৃতের নাম চার্জশিটেও নাম নেই। শুধু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেবে বলে কি এইভাবে সিবিআই আটকে রাখার আবেদন করতে পারে?’ শুনানি শেষে বিচারপতি জানান, এই মামলায় যেহেতু জালিয়াতির ধারা যুক্ত হয়েছে, তাই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো।পরবর্তীতে জামিন বিষয়ক শুনানিটি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআইয়ের , ‘মুখ’ পুড়ল হাইকোর্টে

আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  নিম্ন আদালত থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, প্রতিটি জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক / বিচারপতিরা।

কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার ফের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সিবিআইকে। মূল সুবিধাভোগীদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না? আর কত দিন লাগবে তদন্ত শেষ করতে?’

আরও পড়ুন: দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে হানা ইডির, তল্লাশি আরও ১০টি জায়গায়

এদিন রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় এই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আব্দুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে  সিবিআই।নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর নিম্ন আদালতে একাধিকবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআইকে একাধিকবার প্রশ্নবাণ ছুড়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: হাইকোর্ট – সুপ্রিম কোর্ট একযোগে এসএসসি পরীক্ষায় দাগিদের আবেদন খারিজ করলো

এবার হাইকোর্টে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  অভিযুক্ত আবদুল খালেকের জামিনের মামলার শুনানি চলে  বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেই শুনানিতে এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, -‘যে বা যারা এইসব বেআইনি নিয়োগের মামলায় মূল সুবিধাভোগী, তাঁরা কি গ্রেফতার হয়েছেন?’

আরও পড়ুন: ICDS সুপারভাইজার নিয়োগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন, -‘ সিবিআই এতদিন তদন্ত করছে, তাহলে মূল সুবিধাভোগীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি?’ আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে অভিযোগ করেন, -‘ আবদুল খালেকের নাম এফআইআর বা চার্জশিটে নেই। অথচ তাঁকে ৭৬ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মূল ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।

‘এরপরই তিনি আবদুল খালেককে আটকে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি সিবিআইয়ের থেকে জানতে চান, ‘ধৃত অভিযুক্তর থেকে কী কী তথ্য নথি পাওয়া গেছে? ‘কতদিন সময় লাগবে এই তদন্ত শেষ করতে? ধৃতের নাম চার্জশিটেও নাম নেই। শুধু সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেবে বলে কি এইভাবে সিবিআই আটকে রাখার আবেদন করতে পারে?’ শুনানি শেষে বিচারপতি জানান, এই মামলায় যেহেতু জালিয়াতির ধারা যুক্ত হয়েছে, তাই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো।পরবর্তীতে জামিন বিষয়ক শুনানিটি হবে ডিভিশন বেঞ্চে।