পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ও প্রযুক্তিতে আমেরিকা এগিয়ে থাকলেও কিছু কম যায় না রাশিয়া। কিছুদিনের মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘সারমাত’ মোতায়েন করোর ঘোষণা করেছে পুতিন সরকার। রুশ নাগরিকদের আগামী ৩০-৪০ বছরের জন্য নিরাপত্তা দিতে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে মস্কো। রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া ক্ষাৎকারে দেশটির রোসকসমস স্পেস এজেন্সির প্রধান দিমিত্রি রোগজিন বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মস্কো থেকে প্রায় ৩ হাজার কিমি. পূর্বে সাইবেরিয়ার ক্রাসনোয়ারস্কে মোতায়েন করা হবে। এটি হবে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছরের জন্য রুশদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে। গত বুধবার রাশিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সারমাতের প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কথা জানায়। সে সময় পুতিন বলেছিলেন, সারমাত যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধোকা দিতে পারে। ফলে রাশিয়াকে হুমকি দেওয়ার আগে দু’বার ভাবতে হবে সকলকে। দিমিত্রি রোগজিন জানান, শরতের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রটি সাইবেরিয়ার ক্রাসনোয়ারস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে। রাশিয়া দাবি করছে, সারমাতের পাল্লা ৩৫ হাজার কিলোমিটারের মতো। এটি সম্ভাব্য রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে শত্রুদের ধ্বংস করতে পারে। ফলে এটি খুব সহজেই আমেরিকা বা ইউরোপের বিভিন্ন লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে। একটি সারমাত ক্ষেপণাস্ত্র এক সাথে ১৫টি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। তবে পেন্টাগন সারমাত পরীক্ষাকে রুটিন হিসাবে বর্ণনা করে জানিয়েছে, এটি মার্কিন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচিত হবে না এবং এটি মোতায়েন করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন রাশিয়ার। অতীতে রাশিয়া কিনজালের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যা ব্যবহার হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে।