পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। ভোট তরী পার করতে নিজ নিজ ‘আখের’ গোছাতে ব্যস্ত প্রতিটি দলই। টিডিপি (তেলুগু দেশম পার্টির) নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে বৈঠক করেন তিনি। তারপর থেকে শুরু হয়েছে রাজনিতিক তরজা। যদিও জগনের দাবি, তাঁর রাজ্যের জন্য ‘বিশেষ মর্যাদা’ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন তিনি। তবে লোকসভা ভোটের আগে জগনের এহেন সাক্ষাৎকার’কে একটু ‘বাঁকা চোখেই’ দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, অন্ধ্রের রাজনীতিতে জগনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু গত বুধবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু ছ’বছর পরে ফের এনডিএ-তে যোগ দেবেন বলেই জল্পনা তুঙ্গে। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর উদ্দেশে ইতিমধ্যেই তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে টিডিপি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট। ঘটনাক্রমে, জগনের বোন শর্মিলা ভাই’য়ের হাত ছেড়ে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাংগঠনিক প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন শর্মিলা। ক্ষমতাসীন হতে না পারলেও শর্মিলা’র হাত ধরে কংগ্রেস এ বার জগনের দলের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। সে ক্ষেত্রে সুবিধা হবে চন্দ্রবাবুর। সেই আশঙ্কাতেই কি মোদির ‘দরবারে’ জগন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।