১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কার নির্দেশে অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 151

REPRESETATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার আগে খুলতে হবে অন্তর্বাস। কেরলের কোল্লামের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন নয়, একাধিক নিট পরীক্ষার্থীকে এমনটাই বলা হয়েছে । ঘটনায় নিট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।

 

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

তবে কেরল সরকার এই ঘটনায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক ছাত্রীর বাবা অভিযোগ জানানোর পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর একাধিক ছাত্রী একই অভিযোগ জানিয়েছেন। যে সব কর্মীরা ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

 

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু

এক পরীক্ষার্থীর বাবা প্রথম অভিযোগ জানান। এরপরই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরীক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, গত রবিবার তাঁর মেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করার আগে তাঁকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও অনেকের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, যে ছাত্রীর বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁর সঙ্গে মহিলা পুলিশ অফিসারদের একটি টিম কথাবার্তা বলেছে। তারপরেই মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, যাঁরা এ কাজ করেছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

 

পরীক্ষার্থীর বাবার দাবি, মেয়ে এখনও সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতাকে মন থেকে সরাতে পারছে না। তিনি জানালেন, অষ্টম শ্রেণি থেকে তাঁর মেয়ে নিট-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নিশ্চিত ছিলেন, তাঁদের মেয়ে ভাল পরীক্ষা দেবেন এবং র‍্যাঙ্ক ভালই আসবে। কিন্তু এই ঘটনার জন্য তাঁদের মেয়ে পরীক্ষায় মনই বসাতে পারেননি।

 

পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, পরীক্ষা শুরু হতেই তিনি আর তাঁর স্ত্রী বাইরে পেরিয়ে গিয়ে নিজেদের গাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করতে থাকেন। এমনই সময়ে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। লেখা ফুটে ওঠে, ‘ইনফর্মেশন টেকনোলজি’। তাঁদের বলা হয় হলের গেটে যেতে।

 

দম্পতি গিয়ে দেখেন, তাঁদের মেয়ে কাঁদছেন। বাবা-মাকে তিনি সব কথা খুলে বলেন এবং পরিদর্শকদের নির্দেশ অনুযায়ী, মায়ের থেকে একটি শাল নিয়ে নেন। আবারও পরীক্ষার হলে চলে যান তাঁদের মেয়ে। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়েই কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কোলে লুটিয়ে পড়েন মেয়ে। রাজ্যের মহিলা কমিশনও এই ঘটনার জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কার নির্দেশে অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার আগে খুলতে হবে অন্তর্বাস। কেরলের কোল্লামের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন নয়, একাধিক নিট পরীক্ষার্থীকে এমনটাই বলা হয়েছে । ঘটনায় নিট কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।

 

আরও পড়ুন: জিএসটি কাঠামোয় বদল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব অমিত মিত্র

তবে কেরল সরকার এই ঘটনায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক ছাত্রীর বাবা অভিযোগ জানানোর পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর একাধিক ছাত্রী একই অভিযোগ জানিয়েছেন। যে সব কর্মীরা ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।

আরও পড়ুন: নয়া ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ম বদল করছে কেন্দ্র, ক্ষোভ চিকিৎসা মহলে

 

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিল কেন্দ্র, রাজনৈতিক তরজা শুরু

এক পরীক্ষার্থীর বাবা প্রথম অভিযোগ জানান। এরপরই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরীক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, গত রবিবার তাঁর মেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করার আগে তাঁকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়েছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও অনেকের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, যে ছাত্রীর বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁর সঙ্গে মহিলা পুলিশ অফিসারদের একটি টিম কথাবার্তা বলেছে। তারপরেই মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, যাঁরা এ কাজ করেছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

 

পরীক্ষার্থীর বাবার দাবি, মেয়ে এখনও সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতাকে মন থেকে সরাতে পারছে না। তিনি জানালেন, অষ্টম শ্রেণি থেকে তাঁর মেয়ে নিট-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নিশ্চিত ছিলেন, তাঁদের মেয়ে ভাল পরীক্ষা দেবেন এবং র‍্যাঙ্ক ভালই আসবে। কিন্তু এই ঘটনার জন্য তাঁদের মেয়ে পরীক্ষায় মনই বসাতে পারেননি।

 

পরীক্ষার্থীর বাবা জানান, পরীক্ষা শুরু হতেই তিনি আর তাঁর স্ত্রী বাইরে পেরিয়ে গিয়ে নিজেদের গাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করতে থাকেন। এমনই সময়ে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। লেখা ফুটে ওঠে, ‘ইনফর্মেশন টেকনোলজি’। তাঁদের বলা হয় হলের গেটে যেতে।

 

দম্পতি গিয়ে দেখেন, তাঁদের মেয়ে কাঁদছেন। বাবা-মাকে তিনি সব কথা খুলে বলেন এবং পরিদর্শকদের নির্দেশ অনুযায়ী, মায়ের থেকে একটি শাল নিয়ে নেন। আবারও পরীক্ষার হলে চলে যান তাঁদের মেয়ে। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়েই কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কোলে লুটিয়ে পড়েন মেয়ে। রাজ্যের মহিলা কমিশনও এই ঘটনার জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।