পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাগুইআটিতে জোড়া ছাত্র খুনে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হল। পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে বাগুইআটি থানার আইসিকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানান ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন, খুব দুঃখজনক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছেন। দুটি ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে এই ভাবে চলে গেল। মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। দোষীরা শাস্তি পাবে। কাউকে ছাড়া পাবে না। ফিরহাদ বলেন, এই ঘটনায় বাগুইআটি থানার ওসিকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিৎ ছিল। প্রয়োজনে সিআইডির সঙ্গে কথা বলা দরকার। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
বাগুইআটি জোড়া খুনে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকালই সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, তদন্তের ভার সিআইডিকে দেওয়ায় তারা খুশি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তারা।
মৃত অতনুর বাবা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপে তারা খুশি। আমরা চাই যত শীঘ্র সম্ভব দোষীকে গ্রেফতার করা হোক। এই কাজে যারা মদদ জুগিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হোক।
উল্লেখ্য, বাগুইআটিতে দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃত দুই ছাত্রই ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কি কারণে এই নৃশংস ঘটনা তাই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে শুধুই মুক্তিপণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাসন্তীর দুই পৃথক জায়গা ন্যাজাট ও মিনাখাঁ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। নয়ানজুলিতে তাদের দেহগুলি পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ অগস্ট অপহরণ করা হয় অভিষেক নস্কর ও অতনু দে নামে দুই ছাত্রকে। অপহরণের পর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সেই টাকা না পেতেই খুন! এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় নিহত ছাত্রের পরিবার। পুলিশ এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।