২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইএমএফের ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 512

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ঋণের শেষ দুটি কিস্তি দিতে রাজি হয়েছে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। আগামী জুন মাসেই ১.৩ বিলিয়ন ডলার পাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য তিন বছরের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। যার আওতায় এখন পর্যন্ত দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ২.৩১ বিলিয়ন ডলার ।  আসন্ন এই তৃতীয় কিস্তির মাধ্যমে মোট ছাড়কৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলার।

গত ফেব্রুয়ারিতেই চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজস্ব নীতি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত শর্ত পূরণে বিলম্বের কারণে তা আটকে যায়।   বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করার বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় এত দিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত আইএমএফ তা মেনে নিয়েছে। ফলে ঋণ প্যাকেজের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে জুনে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘চব্বিশের বাংলায়, খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই’, স্লোগান তুলে বাংলাদেশে উল্লাস জনতার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে আইএমএফের সাথে ধারাবাহিক আলোচনার পর এই সমঝোতা হয়েছে। বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত ঘোষণা করবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঋণ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

আরও পড়ুন: ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইএমএফের ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ঋণের শেষ দুটি কিস্তি দিতে রাজি হয়েছে।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। আগামী জুন মাসেই ১.৩ বিলিয়ন ডলার পাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য তিন বছরের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। যার আওতায় এখন পর্যন্ত দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ২.৩১ বিলিয়ন ডলার ।  আসন্ন এই তৃতীয় কিস্তির মাধ্যমে মোট ছাড়কৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলার।

গত ফেব্রুয়ারিতেই চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজস্ব নীতি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত শর্ত পূরণে বিলম্বের কারণে তা আটকে যায়।   বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করার বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় এত দিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল। শেষ পর্যন্ত আইএমএফ তা মেনে নিয়েছে। ফলে ঋণ প্যাকেজের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে জুনে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘চব্বিশের বাংলায়, খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই’, স্লোগান তুলে বাংলাদেশে উল্লাস জনতার

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে আইএমএফের সাথে ধারাবাহিক আলোচনার পর এই সমঝোতা হয়েছে। বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত ঘোষণা করবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঋণ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

আরও পড়ুন: ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ