পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দিল্লির দরজায় কড়া নাড়ছে বড়ো ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।ফের জোরদার হচ্ছে বড়োল্যান্ড রাজ্যের দাবি।অসম থেকে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে এই দাবি।বড়ো ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা বনসু এর সভাপতি বানজিত মঞ্জিল বসুমাতারী,অল ইন্ডিয়া বোডো পিপলস ন্যাশনাল লিগ ফর বডোল্যান্ড এর সভাপতি সানসুমা খুঙ্গুর বিশ্বমুথিয়ারি, মঙ্গলবার প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতে আয়োজিত একটি প্রেস কনফারেন্সে বড়োল্যান্ড স্টেটহুড তৈরির দাবিতে সোচ্চার হন।
কেন তারা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন সেই কথা বলতে গিয়ে সানসুমা বলেন আমাদের একটা নির্দিষ্ট দাবি আছে। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার। সোমবার যন্তর-মন্তরে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচীরও আয়োজন করা হয়।
সোমবার যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালিন মোট ৭০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
বড়োল্যান্ডের স্বপক্ষে ওই বিক্ষোভ সভায় বলা হয় তারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদবানি উভয়কে আন্তরিকভাবে এবং সততার ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ধন্যবাদ জানায়। ভারতের সংবিধান, ২০০৩ –এর ষষ্ঠ তফসিল সংশোধন করার জন্য।
কি দাবিঃ
তাদের দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে বোড়ো যুবকদের জন্য বিশেষ রিজার্ভেশন সহ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বোড়ো রেজিমেন্ট তৈরি করা। উত্তর কার্বি আংলং এবং দিমা-হাসাও-এর বোড়ো কাচারিদের তপশিলী জাতি ও উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ -এ স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় বোড়ো চুক্তির সম্প্রসারণ। কটা জেলাকে নিয়ে এই বোড়োল্যান্ডের দাবি করা হচ্ছেএখন দেখে নেওয়া যাক কিএই বোড়োল্যান্ড।কটা জেলাকে নিয়ে এই বোড়োল্যান্ডের দাবি করা হ চ্ছে।চারটি জেলা নিয়ে বড়োল্যান্ড সৃষ্টি হয়েছে। সেইগুলি হল যথাক্রমে কোকড়াঝাড় জেলা, বাক্সা জেলা, ওদালগুরি জেলা এবং চিরাং জেলা। অঞ্চলটির ক্ষেত্রফল প্রায় ৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার। বোড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে হওয়া বোড়ো চুক্তির ফলাফল হিসাবে বড়োল্যান্ড গঠন করা হয়েছিল।
বোড়ো সমস্যা কী?
অসমের নোটিফায়েড তফশিলি জনজাতিদের মধ্যে বোড়ো সম্প্রদায় বৃহত্তম। অসমের মোট জনসংখ্যার ৫-৬ শতাংশ এই বোড়োরা। ১৯৬৭-৬৮ সালে এই বড়োল্যান্ডের দাবি সামনে আসে। প্লেনস ট্রাইবাল কাউন্সিল অফ অসম নামে একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৮৫ সালে আসাম আন্দোলনের জেরে যখন আসাম চুক্তি হয়, তখন অনেক বোড়োরাই বিষয়টি মূলত অসমিয়াভাষীদের স্বার্থরক্ষা করবে বলে ভেবেছিলেন। ১৯৮৭ সালে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মর নেতৃত্বে অল বোড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আবসু) পুনরুজ্জীবিত হয় ও বোড় রাজ্যের দাবি তোলে। ১৯৮৬ সালে তৈরি হয় সশস্ত্র বোড়ো সিকিউরিটি ফোর্স, যার নেতৃত্বে ছিলেন রঞ্জন দইমারি।
বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল কাউন্সিল কি সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত বডি। এর আগে দুটি বোড়ো চুক্তি হয়েছে, এবং দ্বিতীয় চুক্তি অনুসারে বিটিসি গঠিত হয়। ১৯৮৭ সালে আবসুর নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়, তারই পরিণতিতে ১৯৯৩ সালে বোড়ো চুক্তি হয়।