০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ কংগ্রেসের অহংকার এখনও কমেনি” গুজরাতে নাম না করেই ফের রাহুলকে বিঁধলেন মোদি

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 7

 

 

আরও পড়ুন: BREAKING, শুভাংশুর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিল সহ ৫ দেশে সফর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের পারদ চড়ছে ক্রমেই। কংগ্রেস, বিজেপি আপ কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। একবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। গুজরাতে  আক্ষরিক অর্থেই নির্বাচনের আগে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মোদি। করছেন একের  পর এক জনসভা। সোমবার সুরেন্দ্রনগরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানিয়ে বলেন “ কংগ্রেসের অহংকার এখনও কমেনি, তাই ওরা আমার ক্ষমতা নিয়ে  খোঁচা দেয়। এর পাশাপাশি রবিবার ভারত জোড়ো যাত্রায় মেটা পাটকরের সামিল হওয়া নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চায় কেন্দ্র জলচুক্তি নিয়ে মমতার দাবি শুনবে মোদি সরকার

 

কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধি রবিবারে ভারত জোড়ো যাত্রায় বলেছিলেন “ নরেন্দ্র মোদির কত ক্ষমতা তা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেই গুজরাতের মানুষ বুঝিয়ে দেবেন।’’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সুরেন্দ্রনগরের সভা থেকে নাম না করে রাহুল কে খোঁচা দিলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের কথায় ব্যক্তিগত খোঁচা দিয়ে মোদির আক্রমণ করা নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গেও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “ দিদি ও দিদি” বলে সম্বোধন করা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

এখানেই শেষ নয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন সোনিয়া গান্ধি ২০১২ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে মোদি কে বলেন “ মওতা কা সওদাগর”। তখনও গোধরা কান্ডের ক্ষত স্পষ্ট। তাকেই হাতিয়ার করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী। কিন্তু সোনিয়ার এই মন্তব্যকে কিভাবে হাতিয়ার করে ভোটের হাওয়া ঘুরিয়েছিলেন তার সাক্ষী আছে ভারতীয় রাজনীতি। মোদি বুঝিয়েছিলেন এই মন্তব্য আসলে তাঁর নয় গুজরাতবাসির লজ্জা। হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে পারেন প্রয়োজন মত এটাই বোধইয় মোদি ক্যারিসমা। বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

তবে কংগ্রেস কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে  এবার উল্টো পথেই  হাঁটছে শুরু থেকে। নাদিয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থী ধ্রুব পটেল সরাসরি মোদীকে ‘ঘরের ছেলে’ বলে বর্ণনা করে রবিবার বলেছেন, ‘‘ঘরের ছেলে যদি দুষ্টুমি করে, তবু কি আমরা তা বাইরে বলতে পারি?’ রণকৌশল বদলে কি কংগ্রেস পারবে পদ্ম কে সরিয়ে হাত কে শক্ত করতে? তার উত্তর পেতে অবশ্য এখনও কিছুদিনের অপেক্ষা। (২৯২)

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“ কংগ্রেসের অহংকার এখনও কমেনি” গুজরাতে নাম না করেই ফের রাহুলকে বিঁধলেন মোদি

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার

 

 

আরও পড়ুন: BREAKING, শুভাংশুর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিল সহ ৫ দেশে সফর

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের পারদ চড়ছে ক্রমেই। কংগ্রেস, বিজেপি আপ কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নয়। একবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। গুজরাতে  আক্ষরিক অর্থেই নির্বাচনের আগে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মোদি। করছেন একের  পর এক জনসভা। সোমবার সুরেন্দ্রনগরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানিয়ে বলেন “ কংগ্রেসের অহংকার এখনও কমেনি, তাই ওরা আমার ক্ষমতা নিয়ে  খোঁচা দেয়। এর পাশাপাশি রবিবার ভারত জোড়ো যাত্রায় মেটা পাটকরের সামিল হওয়া নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চায় কেন্দ্র জলচুক্তি নিয়ে মমতার দাবি শুনবে মোদি সরকার

 

কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধি রবিবারে ভারত জোড়ো যাত্রায় বলেছিলেন “ নরেন্দ্র মোদির কত ক্ষমতা তা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেই গুজরাতের মানুষ বুঝিয়ে দেবেন।’’ এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সুরেন্দ্রনগরের সভা থেকে নাম না করে রাহুল কে খোঁচা দিলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের কথায় ব্যক্তিগত খোঁচা দিয়ে মোদির আক্রমণ করা নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গেও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “ দিদি ও দিদি” বলে সম্বোধন করা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

এখানেই শেষ নয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন সোনিয়া গান্ধি ২০১২ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে মোদি কে বলেন “ মওতা কা সওদাগর”। তখনও গোধরা কান্ডের ক্ষত স্পষ্ট। তাকেই হাতিয়ার করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী। কিন্তু সোনিয়ার এই মন্তব্যকে কিভাবে হাতিয়ার করে ভোটের হাওয়া ঘুরিয়েছিলেন তার সাক্ষী আছে ভারতীয় রাজনীতি। মোদি বুঝিয়েছিলেন এই মন্তব্য আসলে তাঁর নয় গুজরাতবাসির লজ্জা। হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে পারেন প্রয়োজন মত এটাই বোধইয় মোদি ক্যারিসমা। বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

তবে কংগ্রেস কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে  এবার উল্টো পথেই  হাঁটছে শুরু থেকে। নাদিয়াড় কেন্দ্রের প্রার্থী ধ্রুব পটেল সরাসরি মোদীকে ‘ঘরের ছেলে’ বলে বর্ণনা করে রবিবার বলেছেন, ‘‘ঘরের ছেলে যদি দুষ্টুমি করে, তবু কি আমরা তা বাইরে বলতে পারি?’ রণকৌশল বদলে কি কংগ্রেস পারবে পদ্ম কে সরিয়ে হাত কে শক্ত করতে? তার উত্তর পেতে অবশ্য এখনও কিছুদিনের অপেক্ষা। (২৯২)