করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, ৬ মাস ব্যবধানেই এবার বুস্টার ডোজ, বিনামূল্যে পাবেন ষাটোর্ধরা

- আপডেট : ৬ জুলাই ২০২২, বুধবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। ক্রমশই বেড়ে চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা। এই অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার। সংক্রমণ এড়াতে আগেই ১৮ বছর বয়স পার হলে বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৯ মাসের ব্যবধানে বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ব্যবধান কমিয়ে আনা হল। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে আর ৯ মাস অপেক্ষা করার দরকার নেই, ৬ মাস সম্পূর্ণ হলেই এবার বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।
বুধবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে প্রিকওশন বা বুস্টার ডোজ। আগে সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ। সেই সময় কমিয়ে আনা হল। ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ (এনটিএজিআই)-এর প্রস্তাব মতো করোনা টিকার ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার মধ্যবর্তী ব্যবধান কমিয়ে আনা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। সব রাজ্যগুলিকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
সেইসঙ্গে সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ আরও জানিয়েছেন, এবার ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মীদের সরকারি স্বাস্থ্য সেন্টারগুলিতে বিনামূল্যে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। সুবিধার্থে কো-উইন অ্যাপে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। চিঠিতে স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, এই সমস্ত নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা সতর্কতায় ‘হর ঘর দস্তক ২.০’ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে সকলের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বেড়ে চলা সংক্রমণে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,১৫৯ জন। দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২১২। গোটা দেশে অ্যাক্টিভ কেসের হার ০.২৬ শতাংশ। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ২৭০। পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। শীর্ষে কলকাতা, তার পরেই রয়েছে দুই ২৪ পরগনা। কলকাতায় একদিনে ৮২৫ জন করোনা আক্রান্ত। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৫৫২ জন।