২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোভিডের পুরনো আতঙ্কে চিন, ২ বছর পর করোনায় মৃত ২

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 33

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এক বছর পর ফের কোভিডের আতঙ্ক নতুন করে ফিরল চিনে। করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে চিনের প্রায় ১৫টি শহরে লকডাউন জারি আছে। এবার করোনায় মৃত্যু হল দুজনের। ফলে ২০১৯ সালের সেই করোনা আতঙ্ক নতুন করে দেখা দিল চিনে। উহান থেকে শুরু হওয়া আতঙ্ক ক্রমশই বিশ্বকে কাবু করে ফেলে। আর শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গোটা বিশ্বই লকডাউনে জালে বন্দি হয়ে যায়। প্রায় দু বছর পর করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল চিনে। জিলিন প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ অথরিটি করোনায় মৃত্যুর এই খবর জানিয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর জানুয়ারি মাসে শেষবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল চিনে। তারপর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আর কোভিডে কোনও মৃত্যু হয়নি।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

সম্প্রতি সংক্রমণের এক নতুন ঢেউ প্রবেশ করার ইঙ্গিত পেয়েই চিনের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে বিধি নিষেধ জারি হয়েছে। শনিবার চিনে নতুন করে ২ হাজার ১৫৭ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে জিলিন প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই প্রদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই কারণেই ওই প্রদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
চিনের বারবার লকডাউনের প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যাতে তেমন কোনও প্রভাব না পড়ে, সে দিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন শি জিনপিং। বাড়ানো হচ্ছে টিকার হার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছিল ৪ শতাংশে। যেখানে প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৮.৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

করোনা ভাইরাস মহামারির আঘাত সামলে বেশ দ্রুতেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল চিনের অর্থনীতি। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মন্দাভাব কাটেনি। আর এর সঙ্গে দেশটির লাখো মানুষের জীবিকা জড়িত থাকায় অর্থনীতিতে একটা ধীরগতি রয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত

২০২১ সালের শেষের দিকে এসে চিনা অর্থনীতির যে দুর্বল দশা ফুটে ওঠে। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা হয়েছিল তিয়ানজিনের মতো শহরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। চিনে পণ্য উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই তিয়ানজিন। এছাড়া চিনা নেতারা পর্যটনের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিলেন, সেটাও ভূমিকা রেখেছে অর্থনীতির মন্থর গতির পেছনে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কোভিডের পুরনো আতঙ্কে চিন, ২ বছর পর করোনায় মৃত ২

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এক বছর পর ফের কোভিডের আতঙ্ক নতুন করে ফিরল চিনে। করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে চিনের প্রায় ১৫টি শহরে লকডাউন জারি আছে। এবার করোনায় মৃত্যু হল দুজনের। ফলে ২০১৯ সালের সেই করোনা আতঙ্ক নতুন করে দেখা দিল চিনে। উহান থেকে শুরু হওয়া আতঙ্ক ক্রমশই বিশ্বকে কাবু করে ফেলে। আর শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গোটা বিশ্বই লকডাউনে জালে বন্দি হয়ে যায়। প্রায় দু বছর পর করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল চিনে। জিলিন প্রদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ অথরিটি করোনায় মৃত্যুর এই খবর জানিয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১-এর জানুয়ারি মাসে শেষবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল চিনে। তারপর গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আর কোভিডে কোনও মৃত্যু হয়নি।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

সম্প্রতি সংক্রমণের এক নতুন ঢেউ প্রবেশ করার ইঙ্গিত পেয়েই চিনের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে বিধি নিষেধ জারি হয়েছে। শনিবার চিনে নতুন করে ২ হাজার ১৫৭ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে জিলিন প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই প্রদেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই কারণেই ওই প্রদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
চিনের বারবার লকডাউনের প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যাতে তেমন কোনও প্রভাব না পড়ে, সে দিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন শি জিনপিং। বাড়ানো হচ্ছে টিকার হার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছিল ৪ শতাংশে। যেখানে প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৮.৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

করোনা ভাইরাস মহামারির আঘাত সামলে বেশ দ্রুতেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল চিনের অর্থনীতি। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় মন্দাভাব কাটেনি। আর এর সঙ্গে দেশটির লাখো মানুষের জীবিকা জড়িত থাকায় অর্থনীতিতে একটা ধীরগতি রয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত

২০২১ সালের শেষের দিকে এসে চিনা অর্থনীতির যে দুর্বল দশা ফুটে ওঠে। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা হয়েছিল তিয়ানজিনের মতো শহরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। চিনে পণ্য উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই তিয়ানজিন। এছাড়া চিনা নেতারা পর্যটনের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিলেন, সেটাও ভূমিকা রেখেছে অর্থনীতির মন্থর গতির পেছনে।