পরপর দুই সভায় ডাক পেলেন না দিলীপ ঘোষ, দলের সঙ্গে কি সত্যিই দূরত্ব তৈরি হচ্ছে?

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 62
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কি সত্যিই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন? উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা এবং রবিবারের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সভায় ডাক না পাওয়া —এ দুটি ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির। কলকাতায় অমিত শাহ সফরের মাঝে বিস্ফোরক দিলীপ রাজ্য রাজনীতিতে দলীয় অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর নতুন নয়। তবে দিলীপ ঘোষের মতো শীর্ষ নেতাকে পরপর দু’টি বড় সভায় আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এক সময় ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি, ছিলেন সংসদেও। কিন্তু এখন যেন একপ্রকার ‘অচর্চিত’ মুখ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শনিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় আমন্ত্রণ না পেয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আর রবিবার, কলকাতায় অমিত শাহের কর্মীসভাতেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই নিয়ে ফের মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে দিলীপ ঘোষের সাফ বক্তব্য, ‘এর আগেও তো আমি সব জায়গায় যেতাম না। কোর কমিটির মিটিং হলে ডাকা হত, তখন গিয়েছি। আমি জানি না আজকের বৈঠকে কাদের ডাকা হয়েছে। আমাকে যখন দরকার হবে, তখন ডাকা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখনও পার্টির মধ্যেই রয়েছি, সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে ঘুরি, চা চক্র করি, তিরঙ্গা যাত্রায় হাঁটছি। যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, পালন করি। আমি কারও সঙ্গে কোনও দূরত্ব তৈরি করিনি।’
একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন,‘বাংলায় আমার রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে অমিত শাহের হাত ধরেই। মোদীজি যেমন উত্তরবঙ্গে কর্মীদের চাঙ্গা করেছেন, তেমনই দক্ষিণবঙ্গে সেই একই কাজ করবেন অমিত শাহ।’ দিলীপ ঘোষের মতো শীর্ষ নেতাকে পরপর দু’টি বড় সভায় আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।দলবিরোধী কোনও অবস্থানে না থেকেও এমন দূরত্বে রাখা আদৌ কাকতালীয়, না কি তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কলকাতায় অমিত শাহের এই কর্মীসভা কার্যত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির সূচনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে দিলীপ ঘোষের মতো একজন শীর্ষ নেতাকে ‘ঘরের বাইরে’ রেখে কি করে অমিত শাহ ২০২৬ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের রণকৌশল তৈরি করবেন ,তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে? তাহলে কী দিলীপ ঘোষ কে বাইরে রেখেই ২০২৬ এর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি?