০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দিরার সাফল্যে গর্বিত পরিবার, আত্মবিশ্বাসে ভর করে বাবার উৎসাহে অন্ধ্রপ্রদেশের মেয়ে আজ সউদির মেট্রো চালক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 13

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আত্মীয়দের আপত্তি, সমাজের রক্তচক্ষু ছিল। তবে পাশে ছিলেন বাবা। তাই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই মেয়ে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল সেই ছোট্ট থেকেই। আজ তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। হায়দরাবাদের মেয়ে আজ সউদির মেট্রোর চালক। আজ ইন্দিরা ইগালাপতির সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার এমনকী তার এগিয়ে চলার পথে বাধা দেওয়া আত্মীয়রাই।

আত্মীয়রা যখন বিয়েতে পণের জন্য টাকা জমাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন ইন্দিরা তাঁর নিজের স্বপ্ন বুনেছেন। আজ তিনি দেশের গর্ব।

পেশায় সৌদি  আরবের মেট্রো রেলের চালক। ইন্দিরারা আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা। পরে হায়দরাবাদে বসবাস। তিনিই বর্তমানে রিয়াধ মেট্রো রেলের অন্যতম ট্রেনচালক।  ইন্দিরা ও তাঁর সহকর্মীদের হাত ধরেই বদলাচ্ছে সউদি। যেখানে একসময়ে  মহিলাদের কোনওরকম গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হত না, সেখানে ‘ভিশন ২০৩০’-এ জোর দেওয়া হয়েছে নারীর ক্ষমতায়নে।

ইন্দিরার বাবা ছিলেনে মেকানিক। শৈশব থেকেই বাবাকে সাহায্য করতেন ইন্দিরা। পরে মেধার পরিচয় দিয়ে আইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর। বান্ধবীর মতো সফটওয়্যার পেশাদারের পথ বেছে নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু ইন্দিরা সেই পথে না গিয়ে লোকো পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। যেটি পুরুষের ক্ষেত্র বলেই পরিচিত। যদিও সেই ধারণা ভেঙে সৌদি যাত্রার আগেই তিন বছর হায়দরাবাদে মেট্রো রেল চালান তিনি। এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার কিলোমিটার ট্রেন  চালিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপের সময় দোহায় গিয়েও মেট্রো চালিয়েছেন। ইন্দিরার স্বামীও একজন লোকোমোটিভ পাইলট। তিনি দোহায় মেট্রো চালান স্থায়ীভাবে।

ইন্দিরার কথায়, পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ট্রেন চালক  হিসেবে আজ আমি গর্বিত। আত্মবিশ্বাস, স্বপ্নকে পূরণ করার তাগিদ ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ আত্মীয় শঙ্কিত হন। কীভাবে একজন অবিবাহিত তরুণী সউদি আরবে ট্রেনের পাইলট হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু আমি আমার সংকল্পে অটল ছিলাম। আজ আমি আমার স্বপ্ন পূরণে করতে পেরেছি, এটাই পরম প্রাপ্তি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইন্দিরার সাফল্যে গর্বিত পরিবার, আত্মবিশ্বাসে ভর করে বাবার উৎসাহে অন্ধ্রপ্রদেশের মেয়ে আজ সউদির মেট্রো চালক

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আত্মীয়দের আপত্তি, সমাজের রক্তচক্ষু ছিল। তবে পাশে ছিলেন বাবা। তাই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই মেয়ে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল সেই ছোট্ট থেকেই। আজ তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। হায়দরাবাদের মেয়ে আজ সউদির মেট্রোর চালক। আজ ইন্দিরা ইগালাপতির সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার এমনকী তার এগিয়ে চলার পথে বাধা দেওয়া আত্মীয়রাই।

আত্মীয়রা যখন বিয়েতে পণের জন্য টাকা জমাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন ইন্দিরা তাঁর নিজের স্বপ্ন বুনেছেন। আজ তিনি দেশের গর্ব।

পেশায় সৌদি  আরবের মেট্রো রেলের চালক। ইন্দিরারা আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের বাসিন্দা। পরে হায়দরাবাদে বসবাস। তিনিই বর্তমানে রিয়াধ মেট্রো রেলের অন্যতম ট্রেনচালক।  ইন্দিরা ও তাঁর সহকর্মীদের হাত ধরেই বদলাচ্ছে সউদি। যেখানে একসময়ে  মহিলাদের কোনওরকম গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া হত না, সেখানে ‘ভিশন ২০৩০’-এ জোর দেওয়া হয়েছে নারীর ক্ষমতায়নে।

ইন্দিরার বাবা ছিলেনে মেকানিক। শৈশব থেকেই বাবাকে সাহায্য করতেন ইন্দিরা। পরে মেধার পরিচয় দিয়ে আইটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর। বান্ধবীর মতো সফটওয়্যার পেশাদারের পথ বেছে নিতে পারতেন তিনি। কিন্তু ইন্দিরা সেই পথে না গিয়ে লোকো পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। যেটি পুরুষের ক্ষেত্র বলেই পরিচিত। যদিও সেই ধারণা ভেঙে সৌদি যাত্রার আগেই তিন বছর হায়দরাবাদে মেট্রো রেল চালান তিনি। এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার কিলোমিটার ট্রেন  চালিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপের সময় দোহায় গিয়েও মেট্রো চালিয়েছেন। ইন্দিরার স্বামীও একজন লোকোমোটিভ পাইলট। তিনি দোহায় মেট্রো চালান স্থায়ীভাবে।

ইন্দিরার কথায়, পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ট্রেন চালক  হিসেবে আজ আমি গর্বিত। আত্মবিশ্বাস, স্বপ্নকে পূরণ করার তাগিদ ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ আত্মীয় শঙ্কিত হন। কীভাবে একজন অবিবাহিত তরুণী সউদি আরবে ট্রেনের পাইলট হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু আমি আমার সংকল্পে অটল ছিলাম। আজ আমি আমার স্বপ্ন পূরণে করতে পেরেছি, এটাই পরম প্রাপ্তি।