১৭ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিল্মফেয়ারে পাওয়া উপহার বাথরুমের হাতল হিসেবে ব্যবহার করি: নাসিরুদ্দিন শাহ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জুন ২০২৩, সোমবার
  • / 76

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। তবে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জেরে প্রায়শই বিতর্কে জড়ান ‘এ ওয়েডনেস ডে’ অভিনেতা। দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের একাধিক মনের মতো ছবি উপহার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন, পেয়েছেন অজস্র পুরস্কারও। তবে নাসিরের চোখে পুরস্কারের কোনও মূল্যই নেই! সম্প্রতি এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: শাবান মাসে যে আমল বেশি করতেন রাসূল সা.

অভিনেতার ঝুলিতে অসংখ্য সফল ছবি। পুরস্কারও পেয়েছেন বহু। ‘স্পর্শ’, ‘পার’, ‘ইকবাল’ তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছে। ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, ‘মাসুম’ তাঁকে ফিল্মফেয়ার সম্মান এনে দিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে উপলব্ধি করেছেন, প্রত্যেক অভিনেতা তাঁর চরিত্র জীবন্ত করতে প্রাণপাত করেন। কিন্তু পুরস্কার বা সম্মান পান একজন। নাসিরের মতে, এই পদ্ধতি বাকিদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।এই পদক্ষেপ একেবারেই অন্যায্য। তাই শেষ দুটো পুরস্কার তিনি নিতে যাননি। তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও উদ্যোক্তাদের কোনও অনুরোধ জানাননি।

আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে বাথরুম না বানালে তা ভেঙে দেবে পুরসভা: হুঁশিয়ারি মেয়রের

 

আরও পড়ুন: বুলবুলির পিঠে আন্দামান জেল থেকে বাইরে আসতেন সাভারকর

এই ভাবনা থেকেই নাসির পুরস্কার দিয়ে বাথরুমের দরজার হাতল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘খামারবাড়ি তৈরির সময়েই ঠিক করেছিলাম, পুরস্কারগুলিকে বাথরুমের হ্যান্ডেল হিসাবে ব্যবহার করব। তা হলে যিনি বাথরুমে যাবেন তিনিই পুরস্কার ধরতে পারবেন।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, সমস্ত পুরস্কার আদতে তদ্বিরের ফলাফল। যার তদ্বিরের জোর বেশি   তিনিই পুরস্কার পান। যোগ্য ব্যক্তির হাতে অনেক সময়েই যথাযোগ্য সম্মান পৌঁছোয় না। ব্যতিক্রম ‘পদ্মশ্রী’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান। এই দুই সম্মানে সম্মানিত হওয়ার সময় বাবার কথা মনে পড়েছিল অভিনেতার। অভিনয় জীবনের শুরুতে তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, অনিশ্চিত পেশা আঁকড়ে থাকা সবচেয়ে বড় বোকামি। নাসিরের বক্তব্য, ‘‘সম্মান নিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলাম। তখন বাবার কথা খুব মনে পড়েছিল। উপরের দিকে তাকিয়ে সম্মান দুটো তাঁকে উৎসর্গ করেছিলাম। নিশ্চয়ই বাবা সে দিন খুব খুশি হয়েছিলেন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফিল্মফেয়ারে পাওয়া উপহার বাথরুমের হাতল হিসেবে ব্যবহার করি: নাসিরুদ্দিন শাহ

আপডেট : ৫ জুন ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। তবে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জেরে প্রায়শই বিতর্কে জড়ান ‘এ ওয়েডনেস ডে’ অভিনেতা। দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের একাধিক মনের মতো ছবি উপহার দিয়েছেন নাসিরুদ্দিন, পেয়েছেন অজস্র পুরস্কারও। তবে নাসিরের চোখে পুরস্কারের কোনও মূল্যই নেই! সম্প্রতি এমনই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: শাবান মাসে যে আমল বেশি করতেন রাসূল সা.

অভিনেতার ঝুলিতে অসংখ্য সফল ছবি। পুরস্কারও পেয়েছেন বহু। ‘স্পর্শ’, ‘পার’, ‘ইকবাল’ তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছে। ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, ‘মাসুম’ তাঁকে ফিল্মফেয়ার সম্মান এনে দিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে উপলব্ধি করেছেন, প্রত্যেক অভিনেতা তাঁর চরিত্র জীবন্ত করতে প্রাণপাত করেন। কিন্তু পুরস্কার বা সম্মান পান একজন। নাসিরের মতে, এই পদ্ধতি বাকিদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।এই পদক্ষেপ একেবারেই অন্যায্য। তাই শেষ দুটো পুরস্কার তিনি নিতে যাননি। তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও উদ্যোক্তাদের কোনও অনুরোধ জানাননি।

আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে বাথরুম না বানালে তা ভেঙে দেবে পুরসভা: হুঁশিয়ারি মেয়রের

 

আরও পড়ুন: বুলবুলির পিঠে আন্দামান জেল থেকে বাইরে আসতেন সাভারকর

এই ভাবনা থেকেই নাসির পুরস্কার দিয়ে বাথরুমের দরজার হাতল বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘খামারবাড়ি তৈরির সময়েই ঠিক করেছিলাম, পুরস্কারগুলিকে বাথরুমের হ্যান্ডেল হিসাবে ব্যবহার করব। তা হলে যিনি বাথরুমে যাবেন তিনিই পুরস্কার ধরতে পারবেন।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, সমস্ত পুরস্কার আদতে তদ্বিরের ফলাফল। যার তদ্বিরের জোর বেশি   তিনিই পুরস্কার পান। যোগ্য ব্যক্তির হাতে অনেক সময়েই যথাযোগ্য সম্মান পৌঁছোয় না। ব্যতিক্রম ‘পদ্মশ্রী’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান। এই দুই সম্মানে সম্মানিত হওয়ার সময় বাবার কথা মনে পড়েছিল অভিনেতার। অভিনয় জীবনের শুরুতে তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, অনিশ্চিত পেশা আঁকড়ে থাকা সবচেয়ে বড় বোকামি। নাসিরের বক্তব্য, ‘‘সম্মান নিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলাম। তখন বাবার কথা খুব মনে পড়েছিল। উপরের দিকে তাকিয়ে সম্মান দুটো তাঁকে উৎসর্গ করেছিলাম। নিশ্চয়ই বাবা সে দিন খুব খুশি হয়েছিলেন।